“হঠাৎ বিকট শব্দ। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল টিনের চালে একটা ড্রোন এসেছে পড়েছে।”
Published : 02 Feb 2025, 03:46 PM
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত চলাকালে একটি ড্রোন বিকট শব্দে ময়দানে আছড়ে পড়লে আতঙ্কে হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত মানুষ।
রোববার সকালে এ ঘটনায় আহত অন্তত ৪১ জন টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “যতটুকু জানতে পেরেছি, ইজতেমা ময়দানের মোনাজাতের চিত্র ধারণ করার কাজে কোনো এক সাংবাদিকের ব্যবহার করা একটি ড্রোন ময়দানে আছড়ে পড়ে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে অনেকে আহত হন।”
আখেরি মোনাজাত চলাকালে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে টিনের ছাউনিতে ড্রোনটি আছড়ে পড়লে বিকট শব্দ হয়। মূলত ওই শব্দের কারণেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে অবস্থানরত মো. হাসান নামের একজন বলেন, “মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের তখন আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছিলেন। মোনাজাতের শেষ দিকে কয়েক মিনিট আগে উপর থেকে কিছু একটা এসে পড়ল।
“হঠাৎ বিকট শব্দ। কিছু বুঝে উঠতে না পেরে সেখানে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। পরে শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল টিনের চালে একটা ড্রোন এসেছে পড়েছে।”
গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই কেউ ড্রোনটি নিয়ে গেছে।
“সেটা কীভাবে সেখানে পড়েছে, আর কারাইবা নিয়ে গেল তা জানার চেষ্টা করছি। তবে ড্রোনটি পুলিশ কিংবা কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয় বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাটি অনুসন্ধান করছি।”
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “একটি ড্রোন আকাশে উড়ছিল সম্ভবত ড্রোনটির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি ইজতেমা ময়দানের একটি কামরার টিনের ছাউনিতে আছড়ে পড়ে। তাতে মুসল্লিরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।”
হুড়োহুড়িতে আহত যারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের একটি তালিকা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তারা হলেন– আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১) জয়নাল (২৪), মকবুল হোসেন (৬৪) সোহাগ (৬০), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫), সালামত (১৮), মুস্তাকিন (৩৩), কবির হোসেন (৩০), মুবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), মামুন হোসেন (২১), মো. বাসেদ (১৩), খোকন (৪৩), জুয়েল (২৫)।
এছাড়া কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪১), জবরুল (৩১), জয়নাল (৫৪), কাওছারুল আলম (২৮), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮), আফতাব উদ্দিন (৪৭) মো. আমান (২৮), আনোয়ার (৪৫), সোহেল (৩৫), ফজল হক (৪৫) ও মুজাফফর আলীর (৪৪) নাম আছে তালিকায়।