“সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরকেও এদেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।”
Published : 30 Oct 2024, 12:56 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরকে অবাঞ্ছিত দাবি করে তাদের আত্মপ্রকাশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন শিক্ষার্থীরা। সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বাংলা বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব। আর প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকি দর্শন বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
শিবিরের আত্মপ্রকাশ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিন বলেন, “১৯৭১ সালের গণহত্যার সহযোগী সংগঠন জামায়াত-শিবির। শেখ হাসিনার সরকারের হাতে যেমন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে হত্যার খুনের দাগ রয়েছে, তেমনি ৭১ এর গণহত্যার রক্তের দাগও জামায়াত-শিবিরের হাতে লেগে রয়েছে। এই গণহত্যার দায় তারা অস্বীকার করতে পারে না।
“আশির দশকেও ছাত্রশিবির একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিকৃষ্টতম কার্যক্রম চালিয়েছে। এখন আবারও তারা পুর্নবাসিত হওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আমরা বারবার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে প্রতিহত করে এসেছি। যার ফলশ্রুতিতে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরকেও এদেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।”
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, “১৯৭১ এবং ২০২৪ এই দুই সালকে যারা অস্বীকার করবে তাদের কখনোই জনগণ ক্ষমা করবে না। আজকে দেখলাম যে, শিবির প্রেস রিলিজ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। ছাত্র শিবিরকে কোনোদিন দেখিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আন্দোলন করতে। কোনোদিন কি ওরা শ্রমিক হত্যা নিয়ে আন্দোলন করেছে?
“তারা সবসময় শাহবাগ আর শাপলা ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত। এরকম বিভাজনের রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। যে রাজনৈতিক দলের হাতে রক্তের দাগ রয়েছে সেই সংগঠনকে রাজনীতি করতে হলে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে। সেটা সামাজিক বিচারও হতে পারে, আইনি বিচার হতে পারে। এজন্য তাদের ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদেরকে ক্যাম্পাসে আসতে হবে।”