দুই দিনে সরকারের এক উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
Published : 19 Oct 2024, 11:56 PM
কয়েক বছর ধরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পুরোনো বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিবছর দেখা দিচ্ছে বন্যা।
ওই এলাকায় সবশেষ গত ৩ অক্টোবর ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন স্থানীয়রা।
বন্যা হলেই নদীটির বাঁধ ভাঙা অংশে পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয় প্রকল্প নিয়ে কাজ করে। বারবার সংস্কারেও সুফল মিলেনি। ভোগান্তির শেষ নেই এলাকাটির মানুষের।
তবে গত দুই দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের ওই এলাকা পরিদর্শনে আশার আলো দেখছেন দুর্ভোগের শিকার মানুষেরা।
শনিবার উপজেলার মহারশি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়া সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া ব্রিজপাড় পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।
তিনি বলেন, “আমি আজকে মূলত আসছি, শেরপুরে সাম্প্রতিক বন্যায় নদীর বাঁধের এবং মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দেখার জন্য। মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে যাতে আর বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ না হয় সেজন্যে ভবিষ্যতে কী করা যায় তা জানার জন্য স্থানীয়দের মতামত জানলাম।”
তার ভাষ্য, “স্থানীয়দের মতামত ও আমাদের টেকনিক্যাল টিমের মতামত নিয়ে এই নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।”
পরিদর্শনকালে নাজমুল আহসানের সঙ্গে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনায়েত উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দিদারুল আলম, শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খাঁন, ঝিনাইগাতী উপজেলার ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম ওই এলাকা পরিদর্শনে যান।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ওই এলাকা পরিদর্শনে ‘আশার আলো’ দেখছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন, “গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এসেছিলেন। আজ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও তার দল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। তাদের বক্তব্যে আমরা আশার আলো দেখছি।”
সরকারের কাছে ওই বেড়িবাঁধটির সফল বাস্তবায়নের দাবি জানান ইউপি সদস্য জাহিদুল হক মনির।