২১ বছর পর আবার ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
Published : 22 Dec 2024, 12:55 AM
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে।
প্রায় ২১ বছর পর আবার নদীতে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রৌমারী থেকে সদর উপজেলায় যাওয়ার পথে নদের দুইশ বিঘা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান।
নৌকার যাত্রীরা জানান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা সেতুর পূর্বপাড়ে ফজলুল করীম জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিতে সকালে রৌমারী থেকে চরমোনাই অনুসারীরা নৌকায় করে রওনা দেন। নৌকায় ১৮ জন যাত্রী ছিলেন।
নৌকাটি চিলমারী উপজেলায় নদীর মাঝপথে পৌঁছালে ২০ থেকে ২২ জন মুখোশধারী ডাকাত অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা যাত্রীদের মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। পরে সবার কাছে থাকা নগদ টাকা ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।
নৌকায় থাকা রৌমারী উপজেলার পুরারচর গ্রামের ব্যবসায়ী ময়েজ উদ্দিন বলেন, “একদল ডাকাত নৌকার কাছে এসে অতর্কিত মারধর চালায়। বলে, ‘যার কাছে যা আছে দিয়ে দেও, ঝামেলা করলে নদীতে ফেলে দেব।’ পরে জীবনের ভয়ে আমার কাছে থাকা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন দিয়ে দেই।”
ভয়ে নৌকার অন্য যাত্রীরাও যার কাছে যা ছিল ডাকাতদের দিয়ে দেন বলে জানান তিনি।
নৌকার মাঝি আবু তালেব বলেন, “মাঝ নদীতে হঠাৎ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল ডাকাত নৌকায় হানা দেয়। ডাকাতরা যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখায় ও মারধর করে। ভয়ে যা বলছে তাই শুনতে বাধ্য হয়েছি।”
তিনি বলেন, সবশেষ ২০০২-২০০৩ সালে ডাকাতি হয়েছিল। প্রায় ২১ বছর পর আবার ডাকাতির ঘটনা ঘটল। ডাকাতির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নৌ যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ডাকাতির খবর শোনার কথা জানিয়ে ওসি লুৎফর রহমান বলেন, “ঘটনাটি আমার এরিয়ার মধ্যে নয়, তাই কিছু করা সম্ভব হয়নি।”