নুর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
Published : 23 Mar 2025, 06:54 PM
খুলনায় অপহৃত এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে খুলনা মহানগরীর বসুপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয় বলে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক তৈমুর ইসলাম জানান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারু, জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনা মহানগরের সদস্য ইমন মোল্লা, খুলনার স্থানীয় দৈনিক প্রবর্তন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক কে এম জিয়াউস সাদাত এবং ইমনের সহযোগী জয় হাসান ও সাকিব রহমান।
অপহৃত ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম নুর আলম। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার ছেলে কৌশিক আহমেদ খুলনা নগরীর বসুপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তিনি ছেলের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। শুক্রবার রাতে ছেলের বাসা থেকে নূর আলমকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় পুলিশ।
ডিবি পরিদর্শক তৈমুর বলেন, সাংবাদিক জিয়াউস সাদাত আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলমের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তিনি নুর আলমের খুলনায় আসার ব্যাপারটি জানতেন। তাকে অপহরণ করা হলে মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি যুবদল নেতা পিয়ারু ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ইমনকে জানান।
“এরপর তিনজন মিলে পরিকল্পনা করে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নুর আলমকে তার ছেলের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসেন। এবং এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।”
তৈমুর বলেন, “শনিবার সন্ধ্যা থেকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। নগরীর ময়লাপোতা এলাকায় মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে প্রথমে ইমন মোল্লাকে আটক করা হয়। পরে তার বসুপাড়ার বাসা থেকে ব্যবসায়ী নুর আলমকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে ইমন মোল্লার দুই সহযোগী জয় হাসান ও সাকিব রহমানকে আটক করা হয়। ওই দুজন নুর আলমকে পাহারা দিচ্ছিলেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, যুবদল নেতা পিয়ারু ও জিয়াউস সাদাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”
এ ঘটনায় নুর আলমের ছেলে কৌশিক আহমেদ সোনাডাঙ্গা থানায় রোববার মামলা করেন বলে জানান খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) মোহাম্মদ আহসান হাবীব।
তিনি সন্ধ্যায় বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। খুলনার মুখ্য মহানগর আদালত-২ এর বিচারক মো. আল আমিন আসামিদের জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।