ইটভাটাগুলো বন্ধের পর পানি ছিটিয়ে এর চুল্লি নিভিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস।
Published : 23 Dec 2024, 09:12 PM
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় অনুমোদনহীন ১৫টি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেইসঙ্গে এসব ভাটা মালিককে প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সদর উপজেলা, দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, মানিকছড়ি ও গুইমারায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ।
বন্ধ হওয়া ইটভাটাগুলোর মধ্যে সদর উপজেলার তিনটি, দীঘিনালার দুটি, পানছড়ির দুটি, রামগড়ের চারটি এবং গুইমারা ও মানিকছড়ির চারটি।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র বলেন, অনুমোদন ছাড়া সেলিম অ্যান্ড ব্রার্দাসসহ তিনটি ভাটা পরিচালিত হচ্ছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী তিন ভাটা মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে ইটভাটার চুল্লি নিভিয়ে দেন বলে জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির ইটভাটা মালিক সমিতির সমন্বয়ক মো. সেলিম বলেন, “হাই কোর্টের যে স্থগিতাদেশ রয়েছে, তা আমরা এখনো অফিসিয়ালি পাইনি। সেটা পেলে ইটভাটা চালাতে পারব। আমরা পরিবেশ সম্মত ইটভাটা করার পরও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাচ্ছি না।
“ইটভাটার লাইসেন্স পাচ্ছি না। লাইন্সেস না থাকার কারণে প্রশাসন ভাটা বন্ধ করে দিচ্ছে। লাইসেন্স করার জন্য যা যা দরকার তা আমরা করব। লাইসেন্স নিয়ে ভাটা পরিচালনা করতে চাই। এরই মধ্যে প্রতিটি ভাটায় আমরা আড়াই কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়ে গেছে।”
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, “পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে অবৈধ ভাটা বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। জেলার সব অবৈধ ভাটা বন্ধ করা হবে।”