কিছুদিন পর মোস্তাফিজ আনসারের চাকরি ছেড়ে উপজেলা পরিষদের পাশে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো শুরু করেন।
Published : 17 Nov 2024, 12:33 PM
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ থেকে ২৮টি মোবাইল ট্যাব ও ৩টি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে সাবেক এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া।
গ্রেপ্তার মো. মোস্তাফিজ (২৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাদুউর ইউনিয়নের মান্দাপুর গ্রামের কবির হোসনের ছেলে। তিনি সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের আনসার সদস্য ছিলেন।
ওসি শাহীন মিয়া জানান, ১৬ অগাস্ট রাতে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের পরিসংখ্যান কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে চলমান অর্থনৈতিক শুমারি তালিকাকারীদের ২৮টি মোবাইল ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়।
পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় ডিভাইসগুলি ট্র্যাক করে বিভিন্ন জনের কাছে পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মো. মোস্তাফিজের নাম বেরিয়ে আসে।
ওসি শাহীন মিয়া বলেন, ১৬ অগাস্ট রাতে মোস্তাফিজ আনসার সদস্য হিসেবে উপজেলা পরিষদে রাত্রিকালীন ডিউটিতে ছিলেন। চুরিতে তিনি জড়িত থাকার বিষয়টি তখন টেরই পাওয়া যায়নি।
ঘটনার কিছুদিন পর মোস্তাফিজ আনসারের চাকরি ছেড়ে উপজেলা পরিষদের পাশে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো শুরু করেন।
শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের পর মোস্তাফিজ জানান, চুরির পর ট্যাবগুলো তিনি অনলাইনে নোয়াখালী সেল বাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল বাজারের মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
ওসি জানান, এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে চোরাই একটি মোবাইল ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে চুরি হওয়া ট্যাবের মধ্যে ২৩টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
পরে এ ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকালে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের আদেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।