যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লংঘন করছে? যা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ বারবার দাবি জানালেও তাকে ফেরত পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2023, 04:51 AM
Updated : 9 August 2023, 04:51 AM

বঙ্গবন্ধুর দণ্ডিত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে কি না, তা ‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয়’ বলে মনে করেন সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক। 

সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ প্রতিবেদনের প্রশ্নে ফারহান হকের এমন উত্তর আসে। 

দুই দফায় ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকি পাঁচ খুনি এখনও রয়েছে অধরা। তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।

এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ বারবার দাবি জানালেও তাকে ফেরত পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

বঙ্গবন্ধুর ঘাতক রাশেদ চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লংঘন করছে কিনা, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্রের কাছে। 

জবাবে ফারহান হক বলেন, “আমি মনে করছি এটি দ্বিপক্ষীয় ইস্যু, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করা যেতে পারে।”

আগামী ১৮ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হবে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। এর অংশ হিসেবে ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর হবে ‘এসডিজি সামিট’। জাতিসংঘ উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিভিন্ন দেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে কীভাবে আরো ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে বিশদ দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে সেই বৈঠকে। 

জাতিসংঘ উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার বিভিন্ন সূচক, যেমন ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণ, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্যসেবার মত ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসা পাচ্ছে। যেসব দেশ এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে আছে, আসন্ন এসডিজি সামিটে তাদের পুরস্কৃত করার কোনো পরিকল্পনা জাতিসংঘের আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ফারহান হকের কাছে। 

জবাবে তিনি বলেন, “এসডিজি সামিট শুরু হোক, তখন দেখা যাবে কীভাবে আমরা এ বিষয়টির বাস্তবায়ন করতে পারি। তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, অংশগ্রহণকারী সবার সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী উত্থাপিত প্রস্তাবের আলোকে কিছু করার কথা আমরা ভাববো।