যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় গুলিতে নিহত প্রবাসীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেখানে বসবাসরত অন্য বাংলাদেশিরা। তহবিলে এপর্যন্ত জমা হয়েছে ৪৫ হাজার একশ’ ডলার।
Published : 29 Sep 2017, 05:11 PM
নিহত রেজওয়ানের (২০) বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সোনাইমুরীর আমিরাবাদ গ্রামে। পিতা মোহাম্মদ শরীফুল্লাহ ও মাতা খোদেজা বেগম। চার ভাই বোনের মধ্যে রেজওয়ান ছিলেন তৃতীয়।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে আটলান্টার ডোরাভিল আত্তাকওয়া মসজিদে প্রবাসী শ্রমিক রেজওয়ানের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিতে সভা করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় তহবিল। তিনি জানান, তহবিলে জমা হওয়া টাকায় নিহত রেজওয়ানের লাশ দাফন, তার ঋণ করা টাকা পরিশোধ ও বাকি টাকা বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আটলান্টা সোনালী একচেঞ্জের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন আহমেদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে টাকা পাঠানোর নির্ধারিত ফি মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জর্জিয়া রাজ্যের সর্বস্তরের প্রবাসীরা যেখানে এই তরুণ ছেলেটির মৃত্যুতে তহবিল সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, সেখানে সোনালী একচেঞ্জের এই সহযোগিতাটুকু একেবারে সামান্য হলেও মহতী কাজে শরীক হওয়ার একটা সুযোগ পেলাম।”
প্রবাসীরা জানান, রেজওয়ান তিন মাস আগে বাংলাদেশ থেকে আটলান্টায় আসেন। অভিবাসন ভিসার বৈধ কাগজ না থাকায় চল্লিশ হাজার ডলার ঋণ করে ছয় মাসের চেষ্টায় ব্রাজিল ও মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তিনি।
রেজওয়ানের পিতা মোহাম্মদ শরীফুল্লাহ বলেন, “আমি সৌদি আরবে কাজ করতাম। রেজওয়ান আটলান্টায় সাইফুলের দোকানে কাজ পাবার পরই আমাকে সৌদির চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল সে।”
গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রবাসী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৫) ও তার কর্মচারী রেজওয়ান গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার সময় নিজ দোকানের সামনে হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন সাইফুল। গুলিবিদ্ধ রেজোয়ান স্থানীয় গ্রেডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |