রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে শুধু সরকার পরিবর্তনে কাজ হবে না জানিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সংগঠনের প্রথম কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী প্রয়াত আবদুস সালামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ কোন পথে যাবে তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। রাষ্ট্রের গতিমুখ বদলাতে হবে। শুধু সরকার পরিবর্তনেই সংকটের সমাধান আসবে না, রাষ্ট্র কাঠামোর রূপান্তর করতে হবে।
“এই লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক শক্তিকে একত্রিত হতে হবে। অন্যথায় কেউই আমরা রেহাই পাব না।”
সরকার দেশকে ‘বিপজ্জনক অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“দেশের স্বার্থে পররাষ্ট্র নীতি তৈরি হচ্ছে না, গদি রক্ষার স্বার্থে তৈরি হচ্ছে নীতি। ফলে এরা (আওয়ামী লীগের সরকার) আমাদের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিচ্ছে। সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে দেশকে বিপজ্জনক পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে,” বলেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “দেশের গুনগত যে পরিবর্তনের জন্য আমরা আন্দোলন করছি, সেটা দেশের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের মৌলিক অধিকার ফেরানোর জন্য। গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ী হতে হবে, এর আর কোনো বিকল্প নাই।”
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “মধুর ক্যান্টিন, পল্টন মোড় এখন চলে গেছে ওয়াশিংটনে। সুষ্ঠু ভোটের দাবি আজকে জনদাবিতে পরিণত হয়েছে, দেশে-বিদেশে এখন এই দাবিরই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।”
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “সকালটা শুরু হয়েছে গাজীপুরে নৌকা ডুবির খবরে। নৌকার আরো ভরাডুবি হবে। এমনকি জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হবে।”
জাসদের (নুরুল আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, “ধৈরয্য ও সহনশীলতা রাজনীতির মূল কথা। সরকার সহনশীলতা হারিয়ে ফেলেছে। সরকারের লম্ফঝম্প দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটাই পতনের চিহ্ন। রাজপথের লড়াইই পরিবর্তনের একমাত্র পথ।”
জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হাকিম, ভাসানী অনুসারি পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম ও গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল বক্তব্য রাখেন।