“পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করতে হবে,” বলেন শাহ আলম।
Published : 19 Feb 2024, 07:04 PM
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের অনুসন্ধান ও পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এক সমাবেশে এ দাবি জানান জোট নেতারা।
সেখানে অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, “লুটেরাদের প্রশ্রয় দিয়ে ব্যক্তিখাত গড়ে তোলা যায় না; এটা হয় স্বজন তোষণমূলক পুঁজিবাদ, এটা হয় শাসক দলের। খেলাপি ঋণ কম দেখানোর জন্য নানা পদ্ধতি বের করা হচ্ছে। এতে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় না, হবে না। খেলাপি ঋণ এখনও বেড়ে চলছে।''
ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশের পাশাপাশি তাদের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দেওয়ার দাবি জানান এ অর্থনীতিবিদ।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘‘দেশের আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনার দায় বাংলাদেশ ব্যাংক এড়িয়ে যেতে পারে না। খেলাপি ঋণ আদায় ও পাচারের টাকা ফেরত আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’’
প্রিন্স বলেন, ‘‘বিগত রাতের ভোটের সংসদে যে খেলাপিদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তার খবর কী? কাদের প্রশ্রয়ে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, জানতে চাই। অনুসন্ধান করে অর্থপাচারকারীদের নামের তালিকা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করতে হবে।’’
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘‘সরকার শুধু লুটেরাদের পাহারাদার নয়, এরা এই লুটের অংশীদার। এদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।’’
বেনামি ঋণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘‘২০০৮ সালের পর দেশের টাকা ফেরত আনা হলো, অথচ আওয়ামী দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে কারোর টাকা ফেরত আনা হলো না। এখন কিছু গোষ্ঠী, পরিবার সরকারের ছত্রছায়ায় ব্যাংক লুটপাট করে চলেছে।’’
ব্যাংকগুলোতে ঋণ নিয়ে অনেক ‘লোমহর্ষক’ ঘটনা আছে মন্তব্য করে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধরণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘‘এমন কোনো ব্যাংক খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখান থেকে টাকা লুটপাট হয়নি। অথচ অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।’’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে করা এ সমাবেশ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনেও অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।