এক মাস আগে শফিকুর রহমানের ছেলেকে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
Published : 13 Dec 2022, 10:44 AM
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি।
সোমবার রাত ১টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জামায়াত নেতাদের ভাষ্য।
কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি বিষয়ে আমরা পরে বিস্তারিত জানাব।”
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে তাদের আমিরের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তারকৃত জামায়াতের সকল নেতা-কর্মী এবং গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সকল নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান সে সময় বলেছিলেন,ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার আনসার আল ইসলামের তিন সদস্য আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেখানে রাফাতের নাম আসে।
“তারা বলেছে, রাফাত তাদের এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত করতে দাওয়াত দিয়েছিল। এই তিনজনসহ প্রায় ১১জন এই রাফতের দাওয়াতে হিজরতের উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়েছিল।”
জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন আরও ২ দিনের রিমান্ডে
রাফাত ওই জঙ্গি সংগঠনটির ‘সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের’ দায়িত্বে রয়েছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান সে সময় বলেছিলেন, “রাফাতের বিরুদ্ধে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।”
জামায়াত আমির শফিকুর রহমান একসময় তাদের দলের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সিলেট শাখার সভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। ১৯৮৩ সালে তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এ দলের নেতৃত্বে আসেন শফিকুর। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এবং ২০১৭ সাল থেকে তিনি সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১২ সালের নভেম্বরে পান আমির পদ।
গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ঢাকা-১৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান শফিকুর।