স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে বা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না।
Published : 23 Nov 2023, 06:47 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার বা প্রভাব বিস্তারে যাতে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকে, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের।
১০ দফা নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে ইসির নির্দেশনা পাঠানোর পর এই উদ্যোগ নিল স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম স্বাক্ষরিত আদেশ সব সিটি ও পৌর মেয়র; জেলা, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। এ সংক্রান্ত অনুলিপি ইসি সচিবকেও পাঠানো হয়।
১০ নির্দেশনা
স্ব স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া;
নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ/নির্দেশ জারি করেছে কিংবা করবে তা প্রতিপালন;
নিৰ্বাচনী মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী হয়- সেদিকে লক্ষ্য রাখা;
কোনো নির্বাচনি অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যে কোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা;
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না- যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে;
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না- যা কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে;
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না;
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;
ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে এবং
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর; বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি তারিখ ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন: নতুন প্রকল্প, ত্রাণ বিতরণ, অর্থ ছাড় ও ফলক উন্মোচনে মানা