এ নিয়ে মোট ২৫৬ জন ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ ফিরে পেলেন।
Published : 14 Dec 2023, 11:07 PM
ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে আপিলের শুনানির পঞ্চম দিনে এসে বাধা কাটল ৪৩ প্রার্থীর; যারা যাচাই বাছাইকালে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে আছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান।
আর বৃহস্পতিবার ঢাকার নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পঞ্চম দিনে এসে বাদ পড়ে গেছেন ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম। ঋণ খেলাপির দায়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে সালামের প্রার্থিতা বাতিল চান এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আবেদীন খান।
এ নিয়ে রোববার শুরু পাঁচ দিনের আপিল শুনানিতে মোট ২৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন আপিল শুনানি শেষে এসব রায় দেয়।
এদিন রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের পক্ষে ও বিপক্ষে মোট ১০১টি আপিল আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে ইসিতে। এর মধ্যে ৫২টি আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। চারটি আবেদন শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে এবং একটির আপিলকারী অনুপস্থিত ছিলেন।
বুধবার চতুর্থ দিনে (১৩ ডিসেম্বর) ৪৫ জন, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনে ৬১ জন, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে ৫১ জন এবং রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান।
ছয় দিনের টানা এ শুনানি শেষ হবে শুক্রবার। প্রতিদিন শুনানি শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছে ইসি। কমিশনের সিদ্ধান্ত পক্ষে না গেলে কোনো ব্যক্তি উচ্চ আদালতেও যেতে পারেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
পঞ্চম দিনে স্বতন্ত্রে বৈধ হলেন যারা
ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ঢাকা -১৪ আসনে মো. মহিবুল্লাহ।
রংপুর বিভাগের রংপুর-১ আসনে মোশাররফ হোসেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনে হামিদুল হক খন্দকার।
আপিলে প্রার্থিতা বাতিল নৌকার সালামের
আখতারুজ্জামানসহ ২৮ জনের প্রার্থিতা ফিরল
চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে মনিন্দ্র কুমার নাথ, কক্সবাজার-১ আসনে কমর উদ্দীন, নরসিংদী-৫ আসনে মো. সোলায়মান খন্দকার।
খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নজরুল ইসলাম মল্লিক, খুলনা -৪ আসনে জুয়েল রানা, খুলনা-১ আসনে প্রশান্ত কুমার রায়।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়া -৩ আসনে খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, নাটোর -১ আসনে মো. রমজান আলী।
ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ-৬ আসনে খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও
সেলিমা বেগম।
এছাড়াও যশোর-৫ আসনে আমজাদ হোসেন লাভলুর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
বাংলাদেশ সংস্কৃতিক মুক্তিজোট
ঢাকা-৭ আসনে নুরজাহান বেগম, ঢাকা-২০ আসনে মো. আমিনুর রহমান, পঞ্চগড়-১ আসনে আব্দুল মজিদ, ঝিনাইদহ-২ আসনে শরীফ মোহাম্মদ বদরুল হায়দার, রাজবাড়ী-২ আসনে আব্দুল মালেক মণ্ডল ভোটে লড়তে পারবেন।
জাতীয় পার্টি
মাদারীপুর-২ আসনে একেএম নুরুজ্জামান, নাটোর-৪ আসনে এসএম সেলিম রেজা, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন, ঝালকাঠি-১ আসনে এজাজুল হক, ঢাকা -১৯ আসনে আইরিন পারভীন বৈধ প্রার্থী হল।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপি
রাজশাহী-৪ আসনে জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাহ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নাহিদ আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
ইসলামী ঐক্যজোট
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে শফকত হোসাইন, ইসলামী ঐক্য জোট প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
জাসদ
কুমিল্লা-৯ আসনে মনিরুল আনোয়ার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
তরিকত ফেরারেশন
কুষ্টিয়া-৩ আসনে মেহেদী হাসান রিজভী ও পিরোজপুর -৩ আসনে শহিদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ হল।
বিএনএফ
ঢাকা-৫ আসনে এস এম লিটন ও ঢাকা -১৩ আসনে মো. জাহাঙ্গির কামালও বৈধ প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করতে পারবেন।
অন্যান্য
এছাড়া কুমিল্লা-৩ আসনে গণফ্রন্টের প্রার্থী শরিফুল আলম চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-৪, আসনের কৃষক শ্রমিক লীগের মোহাম্মদ আবু শামীম হামিদ, কুমিল্লা-৩ আসনে ন্যাপের ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, ঝিনাইদহ-২ আসনে সুপ্রিম পার্টির নজরুল ইসলাম, যশোর-৩ আসনে খেলাফত আন্দোলনের মুহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাজী আব্দুল জলিল, ঢাকা-০৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. কবির হোসেন, কুমিল্লা-১০ আসনে গণফোরামের শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা-৯ আসনে তৃণমূল বিএনপির রুবিনা আক্তার, মানিকগঞ্জ -১ আসনে বিএনএমের মোনায়েম খান বৈধ প্রার্থী হয়েছেন।