“একটাই লক্ষ্য, দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। এর জন্য এ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি,” বলেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আখতারুজ্জামান।
Published : 14 Dec 2023, 02:40 PM
নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির পঞ্চম দিনে দুপুর পর্যন্ত মোট ২৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান।
হলফনামায় মামলার তথ্য ও ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপন করার অভিযোগে আখতারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন আপিল শুনানি করে রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করায় প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন এ প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবি্ুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন আপিল শুনানি শেষে এই রায় দেয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আখতারুজ্জামান বলেন, “আমার প্রাণপ্রিয় দল বিএনপি থেকে বিদ্রোহ করে এসেছি নির্বাচন দেখতে। একটি জিনিস দেখতে, সরকার সঠিক সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় কিনা। একটাই লক্ষ্য, দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। এর জন্য এ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত খালেদা জিয়া মুক্ত না হবেন, ততক্ষণ আমার বিজয় হবে না। আমি দেশমাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব।”
বৃহস্পতিবার ৪০১ থেকে ৫০০ নম্বর আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এর মধ্যে বেলা ১টা পর্যন্ত ৬০টি আপিলের শুনানি হয়েছে। এর মধ্য ২৮টি আপিল মঞ্জুর হয়েছে, ৩০টি নামঞ্জুর এবং একটি স্থগিত রয়েছে। একটির আপিলকারী অনুপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্রের বৈধতার পক্ষে-বিপক্ষের ৫৬১টি আপিল আবেদনের ওপর রোববার শুরু হওয়া এই শুনানি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
পুলিশ সুপারের বদলি চেয়েও পিছু হটলেন জাপার ছয় প্রার্থী
গত চার দিনে দুই শতাধিক প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। শুনানি শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছে ইসি। কমিশনের সিদ্ধান্ত পক্ষে না গেলে কোনো ব্যক্তি উচ্চ আদালতেও যেতে পারেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়া্রদারের বদলি চেয়ে এদিন সকালে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন এ জেলার ৬ আসনে জাতীয় পার্টির ছয় প্রার্থী। তবে দুপুরেই আবার ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করে আবেদন তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন তাদের একজন।
ওই ছয় প্রার্থী হলেন- যশোর-১ আসনের মো. আক্তারুজ্জামান, যশোর-২ আসনের ফিরোজ শাহ, যশোর-৩ আসনের মো. মাহবুব আলম, যশোর-৪ আসনের মো. জহুরুল হক, যশোর-৫ আসনের এমএ হালিম এবং যশোর-৬ আসনের জিএম হাসান।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়া্রদার বর্তমান সংসদ সদস্য পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের জামাতা। সেই সুযোগে এলাকায় ‘প্রভাব বিস্তার’ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। সে কারণে পুলিশ সুপারের বদলি চেয়ে তারা নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন।
তাদের চিঠিতে বলা হয়, “যশোর জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার জেলায় প্রায় তিন বছর কর্মরত আছেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তার শ্বশুর বাড়ি মণিরামপুর উপজেলায়। তিনি যশোরে কর্মরত থাকলে সুষ্ঠু, সরল ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ থাকবে না।”
ওই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে যশোর-১ আসনের প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ওই কর্মকর্তার বদলি চেয়ে সিইসিরর কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশে আমরা এ আবেদনগুলো আবার তুলে নেব। ভুলে এসব অভিযোগ দিয়ে আবেদন করা হয়েছেম সেজন্য প্রত্যাহারের জন্য বলা হবে।”
আরও পড়ুন