চার দিনের শুনানিতে এ পর্যন্ত ২১১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।
Published : 13 Dec 2023, 06:26 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা হারানোদের আপিল শুনানির চতুর্থ দিনে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪৩ জনের; এ নিয়ে শুনানিতে মোট ২১১ জন ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেন।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুনানি চলে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ৪৩ জন ছাড়াও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৫২ জনের। আর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে দুজনের ক্ষেত্রে।
শুনানিতে ঋণ খেলাপির দায়ে যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে ইসি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ইসিতে আপিল করা হয়েছিল। পরে শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে এখন তার আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
যশোরে নৌকার প্রার্থী এনামুলের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তার আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল। শুনানিতে রড-সিমেন্টের ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ ফেরত না দেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলের কথা জানানো হয়।
এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা হারানো কুমিল্লা-৯ আসনের জাসদের প্রার্থী মনিরুল আনোয়ার ইসিতে আপিল করেছিলেন। বুধবারের শুনানিতে তার বিষয়েও পরে সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন বলে জানিয়েছে।
একইসঙ্গে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছে ইসি।
শামীমের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে ইসিতে আপিল করেছিলেন তার আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর বিরুদ্ধেও আপিল করা হয়েছে। তার বিষয়েও সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
শামীম, আজাদ ও মনিরুলের বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন।
আপিল শুনানির প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পায়, ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ছয়টির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়। দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পায় ৫১ জন। বাতিল হয় ৪১ জনের।
তৃতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পান ৬১ জন, বাতিল হয় ৩৫ জনের এবং দুজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে প্রথমে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৫৬১টি আপিল আবেদন ইসিতে জমা পড়ে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে ইসি।
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি ।
[এই প্রতিবেদনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল কবীর ইমনের প্রার্থিতা বাতিলের তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল, যা সঠিক নয়। যাচাই করে বিষয়টি সংশোধন করে নেওয়া হল। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।]