সাধারণত ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে আগে এই সাক্ষাতের প্রথা রয়েছে।
Published : 04 Nov 2023, 02:27 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আগামী ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাতে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে এই সাক্ষাৎ বেশ গুরুত্ব বহন করে। সাধারণত ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে আগে এই সাক্ষাতের প্রথা রয়েছে।
গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহেই বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা হয়নি।
শনিবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা চলার দিন তারিখটি প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসির একান্ত সচিব রিয়াজউদ্দীন।
তিনি বলেন, “নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরুর পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিল ইসি। ৯ নভেম্বর দুপুরে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়েছে।”
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো ২০১৩ সালের মতোই হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ফিরে গিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। দলটির শীর্ষস্থানীয় বহু নেতা গ্রেপ্তার হলেও অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বক্তব্যে নতুন কর্মসূচির কথা জানাচ্ছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দাবির বিষয়টি পূরণ তাদের এখতিয়ারের বাইরে। তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো ভোটের আয়োজন করা।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট আয়োজনে আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে। পরে জানানো হয়, ভোট হতে পারে ডিসেম্বরের শেষেও। চূড়ান্ত তারিখ জানা যাবে তফসিল ঘোষণার পর।
প্রস্তুতির সার্বিক তুলে ধরার পর সুবিধাজনক দিনে তফসিল নিয়ে কমিশন সভায় বসে ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে থাকে নির্বাচন কমিশন।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে।
আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে ইসি