সবশেষ ২০১৫ সালে দলটির ইফতারে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির নেতারা অংশ নিয়েছিলেন।
Published : 30 Mar 2024, 06:44 PM
৮ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
শনিবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ইফতারে আগে দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
সবশেষ ২০১৫ সালে হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে জামায়াতের ইফতারে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরের বছরে জামায়াত ইফতার পার্টির আয়োজন করলেও পুলিশের বিধিনিষেধে বাতিল হয়ে যায়। এরপর থেকে সেভাবে বড় আকারে ইফতার মাহফিল করে দেখা যায়নি দলটিকে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর থেকে দীর্ঘদিনের মিত্র ও জোট সঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বিএনপির। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই দুই দলের শীর্ষ নেতারা পারস্পরিক বাকযুদ্ধেও জড়ান।
এক পর্যায়ে জামায়াতকে নিয়ে গঠিত ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দল দুটির নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কাছাকাছি হতে দেখা যায়নি।
গত বছর বিএনপির ইফতারে জামায়াতকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। এবার ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতারে জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ চার নেতা যোগ দেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির কারা
জামায়াতের ইফতারে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস ।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও জয়নাল আবেদিন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন আবদুস সালাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারওয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, দলটির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন ও শায়রুল কবির খানও যান ইফতার পার্টিতে।
ভেঙে দেওয়া ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে ছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি আবদুল হালিম, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।