অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের মামলায় ১৩ বছর কারাদণ্ড হয় আমানের; হাই কোর্ট তা বহাল রাখে।
Published : 06 May 2024, 12:47 PM
দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমনেকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ; তবে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে এক মাসের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আমানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
আমান চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করায় এ আদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে গত ২০ মার্চ জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নেওয়ার শর্ত দেওয় হয়। এরপর তিনি কারামুক্ত হন।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। একই বছরের ২১ জুন আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট হাই কোর্ট তাদের খালাস দেয়।
হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাই কোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়।
২০২৩ সালের ৩০ মে হাই কোর্ট আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়।
ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন আমান উল্লাহ আমান এবং একই সঙ্গে জামিন আবেদন করেন তিনি।