পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে গণতন্ত্র মঞ্চ পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
Published : 31 Jul 2024, 04:00 PM
কোটা আন্দোলনকে ধ্বংস করতেই সরকার বিরোধীদলের ওপরে সহিংসতার দোষ চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বুধবার দুপুরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মঞ্চের সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি বলেন, “সারাদেশ আজকে এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। শতশত শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। সরকার এতো লাশের মিছিল, এতো লাশ তারা তৈরি করেছে, তাকে ঢাকতে পারছে না। তাকে ঢাকার জন্য আজকে আমরা দেখছি, তারা নানান রকম রাজনৈতিক কৌশল ব্যবহার করছে।
“একদিকে সরকার বলছে, এই কাজ জামায়াত-শিবির করেছে, তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যদিকে আমরা দেখি তারা (সরকার) যে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে, তার ৮০ থেকে ৯০ ভাগের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নাই।”
তিনি বলেন, “সরকারের প্রতারণা আজকে পরিষ্কার। তারা সমস্ত আন্দোলনকে ধ্বংস করতে চায়। সমস্ত আন্দোলনকে ধ্বংস করার জন্য সহিংসতার দায় চাপিয়ে যেভাবে অতীতে করেছে, সেইভাবেই তারা আজকে আন্দোলন ধবংস করতে চায়।”
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টনে মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অবস্থান নেন।
এ অবস্থায় মঞ্চের নেতারা তাৎক্ষণিক বিজয় নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনের ফুটপাতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, “সহিংসতা হয়েছে অনেকগুলো স্থাপনায়, এটা কারা করেছে আমরা স্বাধীন নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চাই। কিন্তু তার আগেই কারা এই সমস্ত কাজ করেছে তার দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। সমস্ত দোষ তারা আন্দোলকারীদের ওপর দিয়েছে, বিরোধী দলের ওপর দিয়েছে।”
“এর মধ্যে আমরা দেখলাম যে, তারা নির্বিচার গ্রেপ্তার -হয়রানি, হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন এসব করছে। আন্দোলনকারী নেতৃত্বকে তুলে নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার গণতন্ত্র মঞ্চ সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জোনায়েদ সাকি জানান।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, সংকটটা রাজনৈতিক। রাজনৈতিক সংকটকে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করেন। রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হলে আপনারা পদত্যাগ করেন, পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলকে আস্থায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে সম্ভব স্বল্পতম সময়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ আপনারা তৈরি করতে পারেন।
“সরকার যদি সেই পথে না হাঁটে, তাহলে যে গণজাগরণ তৈরি হয়েছে, মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ তাদেরকে টেনে নামাতে বাধ্য করবে।”
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকবর খান সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।