বিএনপি নেতা বলেন, “শেখ হাসিনা যাওয়ার পরে যে রাজনীতি আসবে সেগুলো হবে ‘ভিন্ন রাজনীতি’।”
Published : 08 Oct 2023, 04:52 PM
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীন সরকারের ‘টুলস’ বা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছেন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, তার কাছ থেকে তাদের কোনো প্রত্যাশা নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, “তিনি (সিইসি) যে কথাগুলো বলেন, সেই আগের মত চুরি করে ক্ষমতায় বসানোর চিন্তা তার মধ্যে। তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করার কোনো কারণ নাই।
“কে যেন একজন এখানে বলছিলেন…চিফ ইলেকশন কমিশনার নাকি বলেছেন, সরকারের সহায়তা লাগবে না, আবার বলে কোনো সমস্যা নাই। একেক সময়ে একেক কথা উনি বলেন।”
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন আমীর খসরু।
সিইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই লোকটার (সিইসি) কাজ হচ্ছে, ওহ যে কাজগুলো করছেন এটাই তার কাজ। তাকে ওখানে বসানো হয়েছে তিনি একটা টুলস, ফ্যাসিস্ট রেজিমের টুলস। তার তো কাজই হচ্ছে যে, আগামী নির্বাচনটা কীভাবে চুরি করে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় বসানো যায়। দিস ইজ হিজ জব। তার থেকে কী এসপেক্ট করবেন? এদের কাজ থেকে কিছু এসপেক্ট করতে পারবেন না।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ক্ষমতাসীন সরকারকে সরাতে হবে বলে মন্তব্য করেন খসরু।
“পরিত্রাণ পেতে হলে একটাই কাজ, সেটা হচ্ছে, এই রেজিমকে সরাতে হবে। এই রেজিমকে বিদায় করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে। এটা কোনো দলের সংগ্রাম না, এটা ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম।
“একবার মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এবার দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ, এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
সরকার পতনের পর দেশে ‘ভিন্ন রাজনীতি’র সূচনা হবে মন্তব্য করে তিনে বলেন, “শেখ হাসিনা যাওয়ার পরে যে রাজনীতি আসবে সেগুলো হবে ‘ভিন্ন রাজনীতি’। যে জন্য আমরা ৩১ দফাটা দিয়েছি, সেই রাজনীতির দিকে দেশটাকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। সেজন্য রূপান্তমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ভিন্নরূপে গড়ে তুলতে হবে।
“সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিকভাবে মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, অংশীদার অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই কারণে আমরা শেখ হাসিনার পতন আমরা চাইছি। শুধু যে একজন ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য এই আন্দোলন নয়।”
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মমিনুল আমিন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।