প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাদের নির্বাচিত কমিটির তালিকা জমা দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আরো আট মাস সময় চেয়েছে।
Published : 25 Sep 2013, 01:09 AM
মঙ্গলবার দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপির পক্ষ থেকে ইসির কাছে আবেদন জমা দেন।
বিএনপি সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলীয় কাউন্সিল করে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত বছর তা শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাউন্সিল করতে পারেনি বিএনপি।
তবে কবে নাগাদ নতুন কাউন্সিল করা হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি বিএনপির পক্ষ থেকে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের নির্বাচিত কমিটির নাম কমিশনে জমা দেয়ার বিধান থাকায় নির্ধারিত সময়েই কাউন্সিলের বাধ্যবাধকতায় পড়ছে দলগুলো।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (৯০বি) অনুচ্ছেদে দলের নিবন্ধনের শর্তে রয়েছে: দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণে কেন্দ্রীয় থেকে সবপর্যায়ে কমিটি নির্বাচত হতে হবে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালার ৯ ধারা অনুযায়ী, দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নতুন কমিটির সদস্যদের তালিকা ও সভার কার্যবিবরণী কমিশনে দাখিল করতে হবে। কমিশন সময়ে সময়ে যেসব তথ্য-দলিল চাইবে তা দিতে হবে। যেসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবে তা পালন করতে হবে।
শর্ত অনুসরণে ব্যর্থ হলে ৯০ (এইচ) বিধান অনুযায়ী দলের নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতা ইসির রয়েছে।
সময় চেয়ে আবেদন জমা দেয়ার পর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, “দলের জাতীয় কমিটির অনেক নেতা কারাগারে রয়েছেন, দলীয় অফিসে হামলা হয়েছে, কম্পিউটারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র খোয়া গেছে, জাতীয় কাউন্সিলের জন্য অপরিহার্য দলিলাদি বিনষ্ট হয়েছে।
“সব মিলিয়ে জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি স্বল্প সময়ে সম্ভব নয়। তাই জাতীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাচন করে ইসিতে জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য দরখাস্ত দিয়েছি।”
পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হলে কাউন্সিল করে জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে বলে বিএনপির আবেদনে বলা হয়।
রিজভী বলেন, “৩১ মে পর্যন্ত সময় চেয়েছি। কী কারণে জাতীয় কাউন্সিল ও নির্বাহী কমিটি করতে পারিনি তা দরখাস্তে বলেছি ও সময় চেয়েছি।”
নবম সংসদের আগে প্রথমবারের মতো নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে ইসি। নবম সংসদের আগে ২০০৮ সালে দলগুলো ইসির কাছে নিবন্ধিত হওয়ার পর ছয় মাসের মাথায় কাউন্সিল করেছিল দলগুলো।