ঢাকা, ফেব্র“য়ারি ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সিইসি পদে নিয়োগ চূড়ান্ত হলেও দায়িত্ব নেওয়ার আগে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাতে নারাজ সাবেক সিএসপি কর্মকর্তা কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ।
কাজী রকিবের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ বুধবার দুপুরে নিশ্চিত হওয়ার পর বিকালে তার প্রতিক্রিয়া জানতে টেলিফোন করা হলে তিনি এখনি কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।
অবসরপ্রাপ্ত এই সচিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনো সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন হাতে পাইনি, শপথও নিইনি। সিইসি হিসেবে যোগদানের কিছু প্রক্রিয়াও রয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার আগে, কিছু বলতে চাই না। এখনি কিছু বলাটা ঠিক হবে না।”
তবে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে তাকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিক্রিয়ায় নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন কাজী রকিব। তিনি বলেছেন, তাকে ঠিকভাবে উদ্ধৃত করা হচ্ছে না।
সার্চ কমিটি নাম সুপারিশের পর রাষ্ট্রপতি সিইসি পদে বুধবার দুপুরে কাজী রকিবকে নিয়োগ দেন। সন্ধ্যায় তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কাজী রকিব শিক্ষা সচিব হিসেবে ২০০৩ সালে অবসরে যান। এর আগে স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। কর্মজীবনে বিভিন্ন কর্পোরেশনে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
তার এক সময়ের সহকর্মী একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়া রকিব সৎ এবং আদর্শবান কর্মকর্তা হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।”
নতুন প্রতিষ্ঠানে সহকর্মী কারা হচ্ছেন, বিকাল পর্যন্ত তা-ও না জানার কথা বলেন কাজী রকিব। “অন্যদের নাম এখনো জানি না,” বলেন তিনি।
সিইসির পাশাপাশি নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চার জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপনও হয়েছে। তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু হাফিজ, সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবেদ আলী এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ মো. শাহনেওয়াজ।
কবে নাগাদ শপথ হচ্ছে- জানতে চাইলে কাজী রকিব বলেন, “মনে হয় সময় লাগবে। এখনো কাগজ পাইনি। যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদেরও বলেছি, শপথের পরে বিস্তারিত জানাব।”
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সাদিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, নিয়োগের প্রজ্ঞাপন পেলে শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে সময় চাইবেন তারা।
তবে বুধবার শপথ হচ্ছে না বলে সুপ্রিম কোর্টের নিবন্ধক এ কে এম শামসুল ইসলামের কথায় স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অফিস সময় পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে শপথ অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনো কাগজপত্র আসেনি। সে ক্ষেত্রে বুধবার শপথ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নেই বললে চলে।”
বিদায়ী সিইসি হঠাৎ ইসিতে
বুধবার সকালে বিদায়ী সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা শেরেবাংলা নগরে ইসি সচিবালয়ে গিয়েছিলেন বলে তার একান্ত সচিব (দায়িত্বের সময়কার) এ কে এম মাজহারুল ইসলাম।
গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন শামসুল হুদা। রোববার ছিল তার শেষ কর্মদিবস।
মাজহার বলেন, “স্যার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভুলে ফেলে গিয়েছিলেন। তা নিতেই সকালে আসেন তিনি। ঘণ্টাখানেক সময় কাটান তিনি।”
গ্রহণযোগ্য হবে: সাখাওয়াত
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন হওয়ায় তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করেন বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন। তবে আগামীতে ইসি গঠনে আইন করার তাগিদ দেন তিনি।
সাখাওয়াত বুধবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন তো ভালো হচ্ছে। আমাদের চেয়েও ভালো হয়েছে মনে করি। আমরা তো এভাবে আসিনি। তবে আগামীতে একটা আইন হলে আরো ভালো হয়।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইসি/এমকে/এমআই/১৮২২ ঘ.