খেলা শেষের আগে রেয়াল মাদ্রিদের শেষ ধরে নিলেই প্রতিপক্ষ বিপদে পড়তে বাধ্য, মনে করিয়ে দিলেন রদ্রিগো।
Published : 01 May 2024, 02:29 PM
পেছন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ সব নজির গত কয়েক মৌসুমে মেলে ধরেছে রেয়াল মাদ্রিদ। হার না মানা মানসিকতায় ধ্রুপদি সব ম্যাচের জন্ম দিয়েছে তারা। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়তো সেদিক থেকে খুব স্মরণীয় ম্যাচের তালিকায় ঢুকে যাবে না। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে পেছন থেকে ফিরে আসাটাও তো কম কথা নয়। সেটিই মনে করিয়ে দিলেন রদ্রিগো, শেষের আগে রেয়াল মাদ্রিদের শেষ ধরে নিলেই বিপদ!
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখ এগিয়ে ছিল ২-১ গোলে। কিন্তু ৮৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে রেয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি শেষ হয় ২-২ সমতায়।
ম্যাচে প্রথম এগিয়ে গিয়েছিল অবশ্য রেয়ালই। তবে সেটিকেও‘ঘুরে দাঁড়ানোর’ কাতারে ফেলা যায়। কারণ, ম্যাচের প্রথম ২২-২৩ মিনিট তো খেলায় অনেকটাই অসহায় মনে হচ্ছিল তাদের। বায়ার্নের আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত ছিল তারা। কিন্তু ২৪তম মিনিটে টনি ক্রুসের অসাধারণ এক পাস থেকে বায়ার্ন রক্ষণকে হতভম্ব করে রেয়ালকে এগিয়ে দেন ভিনিসিউস।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরে বায়ার্ন। ৫৩তম মিনিটে বুলেট গতির শটে দুর্দান্ত এক গোলে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান লিরয় সানে। মিনিট চারেক পরই পেনাল্টি থেকে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন। এরপর শেষ দিকে রেয়ালের আরেকটি প্রত্যাবর্তনের পালা।
ম্যাচের পর রদ্রিগো বললেন সেটিই। ম্যাচের চিত্র যেমনই থাকুক, রেয়ালের সম্ভাবনা শেষ ধরে নেওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা।
“এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এটা সবসময়ই এরকম থাকবে আমাদের জন্য। যখন লোকে মনে করবে আমরা শেষ, তখনই বিপদ, তখনই আমরা বেশি বিপজ্জনক হতে পারি।”
পিছিয়ে পড়ে ড্র করার পর স্বস্তি পাচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তিও। তবে দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন রেয়াল মাদ্রিদ কোচ। তিনি এখন তাকিয়ে ঘরের মাঠে পরের লেগে।
“মনে হয়েছে আমরা স্বস্তিতেই খেলছি, কিন্তু তীব্রতা যথেষ্ট ছিল না। তাড়নায় ঘাটতি ছিল। আমরা ওদেরকে একটু বেশিই সুযোগ দিয়েছি খেলা নিয়ন্ত্রণ করার। মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ কিছু বল হারিয়েছি আমরা। লো-ব্লকে নেমে খেলতে চাইনি আমরা, কিন্তু সেটিও করেছি। শেষ পর্যন্ত ড্রয়ে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি।”
“এটা ভালো ফলাফল। তবে আরও ভালো করতে পারতাম আমরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ভাগে আমরা সবচেয়ে ভালো খেলেছি। কিন্তু তখনই দুটি গোল হজম করেছি। তারা (বায়ার্ন) নিজেদের সেরাটা মেলে ধরেছে আজকে, আমরা তা পারিনি। তবে পরের লেগে তা দেখানোর সুযোগ আমাদের আছে।”
জোড়া গোল করে প্রথম লেগের নায়ক ভিনিসিউসও তাকিয়ে সামনের লড়াইয়ে। তার বিশ্বাস, ঘরের মাঠে দারুণ কিছু করে ফাইনালে জায়গা করে নেবে রেয়াল।
“মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে আমাদের। আগামী কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। পরের লেগে আমরা ও আমাদের সমর্থকেরা সবটুকু উজাড় করে দেব নিজেদের মাঠে। অপেক্ষা এখন ঘরের মাঠে জাদুকরি এক রাতের এবং ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করার।”