গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো এবং র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ‘ভুল’ তথ্যের উপর ভিত্তি করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে জাসদ।
Published : 12 Dec 2021, 08:06 PM
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার রোববার এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান কূটনৈতিক সম্পর্কের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ হিসাবে বাংলাদেশের জনগণের কাছে বিবেচিত হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সম্প্রতি যে গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করে, তাতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম হাউসের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় গণতন্ত্রের মাপকাঠিতে দক্ষিণ এশিয়া ও সারা পৃথিবীর দেশগুলির মধ্যে যাদের অবস্থান বাংলাদেশের অনেক অনেক নিচে, বাইডেন প্রশাসন সেই দেশগুলোকেও তাদের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।”
এরপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক প্রধান ও বর্তমানে পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদসহ ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, “র্যাব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাম্প্রতিক মনোভাব ও সিদ্ধান্ত তাদের সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান, নারী পাচার বিষয়ে তাদের সরকারের নীতির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।”
“যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বাংলাদেশ বিষয়ে সাম্প্রতিক ভুল সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের তথ্যগত বিভ্রাট থেকে উৎসারিত। বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের তথ্যের উৎসও বস্তুনিষ্ঠ নয়,” বলেন জাসদ নেতারা।
তারা আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান হবে।
“বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে তাদের নিজেদের ঘোষিত নীতির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ ভুল পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বা অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।”