তাপপ্রবাহের মধ্যে যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ কেটে ফেলার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে।
Published : 19 May 2024, 07:06 PM
যশোর-নড়াইল মহাসড়ক ছয় লেইনে উন্নীত করার কাজ শুরুর আগে দুই পাশের গাছ কাটার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছে হাই কোর্ট।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান পর্যন্ত আদালতের এই স্থিতাবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন এইচআরপিবি’র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে এদিন শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার এবং সড়ক বিভাগের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম জহিরুল ইসলাম।
দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ কেটে ফেলার খবর সংবাদমাধ্যমে এলে জনস্বার্থে গত ৫ মে রিট আবেদন করে এইচআরপিবি। ওই আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৭ মে আদালত রুল জারি করে এবং স্থিতাবস্থার আদেশের জন্য ১২, ১৩ ও ১৯ মে শুনানি হয়।
রোববার শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, “সরকার যশোর-নড়াইল ছয় লেইন রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কোনো টেন্ডার আহ্বান করা না হলেও ওই রাস্তার দুপাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।
“প্রচণ্ড দাবদহে মানুষের প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। গাছ সংরক্ষণ করেও ছয় লেনের রাস্তার কাজ করা সম্ভব। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।”
মনজিল মোরসেদ জানান, শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে দাবি করা হয়, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনো আইন দেশে নেই এবং গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে।
এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ২০৩০ সালে দাবদাহে অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার, তাও বিঘ্নিত হবে।”
শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট দরপত্র আহ্বান পর্যন্ত গাছ কাটায় স্থিতাবস্থা দিয়েছে বলে জানান মোরসেদ।
এইচআরপিবির পক্ষে ওই রিট পিটিশন করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই।
সরকারের কেবিনেট বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব, পরিবেশ বিভাগের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শককে রিটে বিবাদী করা হয়।