প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোর পর্দায় আরও একবার ফিরে আসছে তার জীবনের অজানা-অদেখা নানা গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’।
Published : 26 Sep 2020, 08:50 PM
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৩ বছর পূর্ণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দিনে ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ ডকুড্রামাটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ ১০টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে।
এই প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনা করেছে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন- সিআরআই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এর প্রযোজক। পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের পিপলু খান।
একই দিনে দুপুর ১২টায় একুশে টিভি এবং দুপুর ৩টায় একাত্তর টিভি ও চ্যানেল আই ডকুড্রামাটি সম্প্রচার করবে।
এছাড়া গাজী টেলিভিশন দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে, ডিবিসি বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে, সময় টিভি বিকাল ৫টায়, দেশ টিভি ৫টা ৩০ মিনিটে, বাংলা টিভি রাত ৮টা ৫০ মিনিটে, বিজয় টিভি রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ও মাছরাঙ্গা রাত ১১টায় সম্প্রচার করবে।
১৯৫২ সালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় আসা থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা উঠে এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকা অবস্থায় পরিবারের সব সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এরপর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরা, দিক হারানো আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলকে আবার কক্ষপথে ফেরানো, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব- শেখ হাসিনার জীবনের এসব বিষয়ই প্রামাণ্যচিত্রে তুলে এনেছেন নির্মাতা।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রে খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক, তার সংস্পর্শে বেড়ে ওঠা, বাবার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি তার অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টি।
প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন দেবজ্যোতি মিস্ত্র, সিনেমাটোগ্রাফি সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা নবনীতা সেন।
গত বছর ১৫ নভেম্বর স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রিমিয়ার শো হয় এই প্রামাণ্যচিত্রের। দর্শকদের জন্য স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, মধুমিতা সিনেমা হল এবং সিলভার স্ক্রিনে প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহে বক্স অফিসে সবচেয়ে সফল ছিল ডকুড্রামাটি।
দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে পরবর্তীতে সারা দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের আরও ৩৫টি সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় এই প্রামাণ্যচিত্র।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এটি দেখানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে বলে জানান প্রামাণ্যচিত্রটির পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন।