শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমিতে চলমান সাহিত্য উৎসবে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি লেখক, কবি ও সাহিত্যিকরা এই প্রামাণ্যচিত্র দেখেন।
প্রদর্শনী শেষে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং এর নির্মাতা পিপলু খান নির্মাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন।
“একজন মানুষ হিসেবে তিনি অসাধারণ। তাকে আমরা টেলিভিশনে দেখি, অফিসিয়াল ইভেন্ট, পুরস্কার বিতরণে, বক্তৃতায় তাকে আমরা পাই। কিন্তু এই ডকুফিল্মে আমরা এমন জায়গায় যেতে চেয়েছি যেখানে তার সাথে ক্যামেরা যায় না।তার লাইব্রেরি, তার পড়ার ঘর, রান্নাঘর…।”
পাঁচ বছর ধরে ডকুফিল্মটি নির্মাণের সময় প্রধানমন্ত্রী ‘স্ক্রিপ্ট’ কোথায় জানতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম কোনো স্ক্রিপ্ট নেই। আপনিই আমাদের স্ক্রিপ্ট। আপনার ঘটনাবহুল জীবনই স্ক্রিপ্ট।”
“আমি মানুষকে শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানাতে চেয়েছি। তার জীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”
নির্মাতা পিপলু খান এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আপা’ সম্বোধন করে তার কাজ শুরু করার কথা জানান।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, পরিবারের সদস্যরা ছাড়া এই বাড়িটিকে আমার চেয়ে বেশি কেউ এখন চেনে না।
“কাজ করতে গিয়ে আমি পুরো বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধু যেভাবে টুঙ্গীপাড়া যেতেন সেভাবে যাওয়ার জন্য আমরা নৌকা ভাড়া করেছিলাম। শুধু জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের বোঝা না, পাশাপাশি বিপরীত বিষয়গুলোও আমাকে জানতে হয়েছে।”
নির্মাণ কাজে মিউজিককে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি অনেক কবিতা পড়তে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রামাণ্যচিত্রে আবহসংগীতের কাজ করা কলকাতার দেবজ্যোতি মিশ্রও আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারতীয় লেখক আঞ্জুম কাটেয়াল।
দেশি-বিদেশি কবি, সাহিত্যিক, লেখক, অনুবাদকদের বার্ষিক মিলনমেলা ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’র এর নবম আসর শুরু হয় বৃহস্পিতবার। বাংলা একাডেমিতে তিন দিনের এই উৎসবে বাংলাদেশের বাইরে ১৮টি দেশের শতাধিক অতিথি অংশ নিয়েছেন।