‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ নির্মাণের গল্প বললেন রাদওয়ান

ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রদর্শিত হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের অজানা-অদেখা নানা গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2019, 05:11 PM
Updated : 8 Nov 2019, 07:22 PM

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমিতে চলমান সাহিত্য উৎসবে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি লেখক, কবি ও সাহিত্যিকরা এই প্রামাণ্যচিত্র দেখেন।

প্রদর্শনী শেষে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র  রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং এর নির্মাতা পিপলু খান নির্মাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের অজানা-অদেখা অনেক ঘটনা নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ শুক্রবার বাংলা একাডেমিতে ঢাকা লিট ফেস্টে প্রদর্শন শেষে আলোচনায় অতিথিরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

অনেক আগে থেকে এমন একটা ‘ডকুফিল্ম’ তৈরির কথা ভাবা হচ্ছিল জানিয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, “জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেছি, কিন্তু যখন তার সাথে আমি, তিনি আমার খালা, খালার চেয়েও বেশি। কারণ পঁচাত্তরের ১৫ই অগাস্ট ট্রাজেডিতে পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর তিনিই আমার কাছে আমার নানা, নানি, মামা আর হারানো স্বজনদের প্রতিনিধিত্ব করেন।

“একজন মানুষ হিসেবে তিনি অসাধারণ। তাকে আমরা টেলিভিশনে দেখি, অফিসিয়াল ইভেন্ট, পুরস্কার বিতরণে, বক্তৃতায় তাকে আমরা পাই। কিন্তু এই ডকুফিল্মে আমরা এমন জায়গায় যেতে চেয়েছি যেখানে তার সাথে ক্যামেরা যায় না।তার লাইব্রেরি, তার পড়ার ঘর, রান্নাঘর…।”

পাঁচ বছর ধরে ডকুফিল্মটি নির্মাণের সময় প্রধানমন্ত্রী ‘স্ক্রিপ্ট’ কোথায় জানতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম কোনো স্ক্রিপ্ট নেই। আপনিই আমাদের স্ক্রিপ্ট। আপনার ঘটনাবহুল জীবনই স্ক্রিপ্ট।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের অজানা-অদেখা অনেক ঘটনা নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ শুক্রবার বাংলা একাডেমিতে লিট ফেস্টে প্রদর্শন শেষে আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, “ডকুফিল্মে আপনারা শুনেছেন শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আমাদের বাচ্চাদের মন খারাপ হবে এমন কিছু তাদের বলি না। ছোট বেলা থেকেই আমরা ১৫ই অগাস্ট সম্পর্কে জানতে পারি। জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।

“আমি মানুষকে শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানাতে চেয়েছি। তার জীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”

নির্মাতা পিপলু খান এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আপা’ সম্বোধন করে তার কাজ শুরু করার কথা জানান।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, পরিবারের সদস্যরা ছাড়া এই বাড়িটিকে আমার চেয়ে বেশি কেউ এখন চেনে না।

“কাজ করতে গিয়ে আমি পুরো বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধু যেভাবে টুঙ্গীপাড়া যেতেন সেভাবে যাওয়ার জন্য আমরা নৌকা ভাড়া করেছিলাম। শুধু জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের বোঝা না, পাশাপাশি বিপরীত বিষয়গুলোও আমাকে জানতে হয়েছে।”

নির্মাণ কাজে মিউজিককে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি অনেক কবিতা পড়তে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রামাণ্যচিত্রে আবহসংগীতের কাজ করা কলকাতার দেবজ্যোতি মিশ্রও আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারতীয় লেখক আঞ্জুম কাটেয়াল।

দেশি-বিদেশি কবি, সাহিত্যিক, লেখক, অনুবাদকদের বার্ষিক মিলনমেলা ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’র এর নবম আসর শুরু হয় বৃহস্পিতবার। বাংলা একাডেমিতে তিন দিনের এই উৎসবে বাংলাদেশের বাইরে ১৮টি দেশের শতাধিক অতিথি অংশ নিয়েছেন।