ভারতে পাচ্ছে নগদ, আমাদের সব বাকির খাতায়: সিপিবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে প্রাপ্তি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।

দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর আহমেদ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারত তার চাওয়া নগদে পেলেও বাংলাদেশের চাওয়াগুলো রয়ে গেছে বাকির খাতায়।

প্রধানমন্ত্রী তার চার দিনের সফরে শেষে ঢাকায় ফেরার ঠিক আগে এই প্রতিক্রিয়া জানায় বাম দলটি।

শেখ হাসিনার এই সফরে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হলেও বাংলাদেশের বহু প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তির জট খোলেনি।

বিবৃতিতে সিপিবি বলেছে, “তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি, বাণিজ্য ঘাটতি দূর, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধ, সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল প্রকল্প বাতিল, সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা না থাকায় বাংলাদেশের জনগণ প্রচণ্ড হতাশ।

“পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদানে স্পষ্ট ‘না’ জানিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে অখ্যাত প্রায় মরা চারটি নদীর পানি দেওয়ার যে হাস্যকর প্রস্তাব দিয়েছেন, তা এদেশের জনগণকে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।”

বাংলাদেশের পাট পণ্যে ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা এই সফরে আসেনি। টিপাইমুখ বাঁধ কিংবা সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো আলোচনার খবরও আসেনি দুই দেশের যৌথ ঘোষণায়।

সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতকে ক্রমাগতভাবে নগদ সুবিধা দেওয়া হলেও বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অধিকাংশ ইস্যুকে বাকির খাতায় পেন্ডিং করে রেখে শুধু প্রতিশ্রুতির ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে প্রবোধ দেওয়া হয়েছে।”

এই সফরে আন্তরিক সহযোগিতা প্রসারিত করার যে সুযোগ ছিল, ভারতের একতরফা আচরণ তার মূলে ‘কুঠারাঘাত’ করেছে বলেও মন্তব্য করেন সিপিবি নেতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, “এই পরিস্থিতির জন্য ভারতের উগ্র সাম্প্রদায়িক সরকার দায়ী হলেও বাংলাদেশের সরকারের দুর্বলতা ও ভুলনীতি দায় এড়াতে পারে না।”