‘‘একজন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে,” বলেন তিনি।
Published : 09 Nov 2023, 09:40 PM
সরকার ‘একতরফা’ নির্বাচনের দিকে এগোলেও তা জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তার অভিযোগ, ‘‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা জাতির নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে এবং আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।
‘‘কিন্তু বঞ্চিত, ব্যাথাহত, নিপীড়িত জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না।”
বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘‘সীমা লঙ্ঘনকারী আওয়ামী লীগের বেপরোয়া দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে জনগণ পথে পথে, সড়কে সড়কে, মহাসড়কে মানবপ্রাচীর গড়ে তুলে অবরোধ অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি ও পরিত্রাণ পেতে এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে প্রেরণের দাবিতে অবরোধ চলবে, দলের মহাসচিবসহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে অবরোধ চলবে, রক্ত ঝরানোর যে সহিংস নীতি গ্রহণ করেছে তা প্রতিরোধ করতে অবরোধ চলবে, গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড্ডয়ন না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।”
এই বিএনপি নেতা বলেন, “পৃথিবীর নিষ্ঠুর এবং স্বৈরতন্ত্রের যেসমস্ত দেশ আছে, যেখানে এখনও ফিউডালিজম-সামন্ততন্ত্র, রাজতন্ত্র বিরাজমান; সেখানেও কিন্তু সেখানকার সরকার এই ধরনের কথা বলার বা হুমকি দেওয়ার সাহস পায় না।
‘‘একজন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আর আওয়ামী মন্ত্রী-নেতারা ক্রমাগতভাবে কদর্য ও ভয়ানক বাণীমালা দিয়ে যাচ্ছেন। অবলীলাক্রমে তারা বাংলাদেশে শুধুমাত্র তাদের প্রতিপক্ষই নয়, জাতিসংঘ, মানবাধিকার গ্রুপ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অচল, অবান্তর, বর্জনীয় শব্দে বাক্যবান নিক্ষেপ করে যাচ্ছেন।”
তার অভিযোগ, “মিথ্যা প্রচারে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে অন্যের ওপর দায় চাপাতে র্যাব-পুলিশকে দিয়ে তীব্র দমনপীড়নের কৃতিত্বে আস্ফালনের দ্বারা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।”
রিজভী দাবি করেন, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ৩৬৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহাসমাবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৩১ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।