প্রবীণ রাজনীতিক মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয় এ প্রজ্ঞাপন করে।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের গত বৃহস্পতিবারের সভায় প্রবীণ এ রাজনীতিককে সংসদ উপনেতার পদে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর স্পিকারের সম্মতিসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে সংসদ সচিবালয়।
মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে, এম, আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংসদ উপনেতা হিসেবে ১৪ জানুয়ারি থেকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুবিধাদি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে সংসদ উপনেতার পদটি শূন্য ছিল।
৮১ বছর বয়সী মতিয়া শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসন থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন।
সাবেক এই মন্ত্রী জাতীয় সংসদের উপনেতা মনোনীত হওয়ার পর গত শুক্রবার ধানমণ্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বলেছেন, “আমরা যখন রাজনীতিতে পা রেখেছি, তখন আমাদের সমস্ত ভুবন জুড়ে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণীয়, বরণীয় এবং শ্রদ্ধার জায়গায় রাখে।
“সংসদীয় গণতন্ত্রের যে নর্মস আছে, সেগুলো বজায় রেখে…মূল তো হচ্ছে আমাদের নেত্রী সংসদের চিফ- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; আমি তার কাছে থাকব, পাশে থাকব।"
এক সময়ের বাম এই নেতা পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রাজপথের লড়াইয়ে থাকেন সামনের কাতারে, হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।
জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা যখন দলে ‘সংস্কারের’ দাবি তোলেন, তখন যে কয়েকজন নেতা শেখ হাসিনার পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের একজন মতিয়া।
‘সংস্কারপন্থি’দের দলের নীতি-নির্ধারণী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মতিয়া চৌধুরীর উপর শেখ হাসিনার আস্থা দেখা গেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।