যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এক মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 06 Jan 2024, 04:45 PM
ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার পর গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে যাত্রাবাড়ী থানার পুরনো এক মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল আলম।
অন্যদিকে নবীর পক্ষে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী মো. সেলিম।
শুনানি শেষে ঢাকার বিচারক ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী তিন দিন হেফাজতে নিয়ে নবীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এই মামলার রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই আসাদুজ্জামান বলেন, “নবী উল্লাহ নবী ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানাধীন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড়গামী রাস্তার সড়কে বিজিবি মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অবস্থান করে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, বাঁশ-লাঠি ও ককটেল নিয়ে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকেন এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করেন।”
অন্যদিকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে নবীর আইনজীবী সেলিম বলেন, “নবী উল্লাহ নবী সমাজে একজন শ্রদ্ধাভাজন প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাকে জামিন দেওয়া হোক। তিনি বিচারের মুখোমুখি হবেন।”
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুরে ঢোকার আগে আগে আগুন লাগানো হলে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন পুড়ে মারা যান।৭ জনুয়ারি নির্বাচন ঘিরে বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাতেই ৬৬ বছর বয়সী নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নবী যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তাকে ছাড়াও যুবদলের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুরনো খবর