“আমি মনে করি, সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভেঙে দিয়েছেন,” বলেন তিনি।
Published : 28 Jan 2024, 01:42 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত ‘প্রতিবেশীসুলভ আচরণ’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “বিএনপি যখন কোনো কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, সংসয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভেঙে দিয়েছেন।
“আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ নেই।”
রোববার সচিবালয়ে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
তিনি বলেন, “নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংসতা বা সহিংস কোনো কর্মসূচি দেয়, কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।”
‘সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না’ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, “বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সবই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনেক দিন পর গতকাল আবির্ভূত হলেন, এতদিন পলাতক ছিলেন। তিনি এতদিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন, সেই জবাব তো পেলাম না।
“কঠিন সময় পার করা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, সেটা আমরা পালন করব।”
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আগামী মঙ্গলবার; তার আগে প্রধান হুইপ ও পাঁচ হুইপ নিয়োগ দেওয়া হলেও বিরোধী দলীয় নেতা এখনও অনুমোদন হয়নি।
সংসদে বিরোধী দল কারা হচ্ছে- সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এখানে তো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেকে অভিজ্ঞ আছেন।”
দ্রব্যমূল্য নিয়ে চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়ে কাদের বলেন, “দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা একটি চ্যালেঞ্জ আছে।
“এ নিয়ে এ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা কাজে বসে গেছি।”