“যে কোনো কর্মসূচি হোক, সেটা নির্বাচনে বাধা দেয়, হুমকি দেয়, সন্ত্রাসী কাজ করে, ভয় দেখায়- সেটার নিষেধ, দেয়া যাবে না”, বলেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।
Published : 13 Dec 2023, 07:40 PM
সভা-সমাবেশের অধিকার ক্ষুন্ন করতে নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়নি দাবি করে কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, সরকারের অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারবে।
বুধবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচনে বাধা দেয়- এমন সভা, সমাবেশ, আন্দোলন কর্মসূচি যদি থাকে, সেটি যেন না করতে দেয়া সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।”
মঙ্গলবার নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকে ভোটের আগ পর্যন্ত যে কোনো দলের সভা, সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের এই চিঠি দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি, মানববন্ধনের মত মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করার পর্যায়ে পড়ে কিনা, একজন সাংবাদিক তা জানতে চান আলমগীরের কাছে।
জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এ ধরনের কর্মসূচিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সরকার অনুমতি দিলে করবে। এখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।”
ভোট বর্জন করে এক দফার আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলের হরতাল-অবরোধের মধ্যে এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে কমিশনের চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে কি না, সে প্রশ্নও রাখেন সাংবাদিকরা।
তবে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য ইসি চিঠি দেয়নি মন্তব্য করে আলমগীর বলেন, “যে কোনো রাজনৈতিক দল বলতে পারে যে, ভোটে অংশ নেবে না, ভোট দিতে না আসার আহ্বানও জানাতে পারে। সেটা শান্তিপূর্ণ হলে কোনো নিষেধ নেই।
“কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নির্বাচনে বাধা দেয়া, মারধর করা, জ্বালাও-পোড়াও করা, রেল লাইন কেটে দেয়া- এগুলো যেন করতে না পারে সেজন্য আমরা বলেছি।”
তিনি বলেন, “যে কোনো কর্মসূচি হোক, সেটা নির্বাচনে বাধা দেয়, হুমকি দেয়, সন্ত্রাসী কাজ করে, ভয় দেখায়- সেটার নিষেধ, দেওয়া যাবে না।
“তবে দেশের যে কোনো লোকের সমাবেশ, বক্তব্য রাখার অধিকার আছে। সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে করতে হয়, সেভাবে করতে পারবে।”
নির্বাচনের আচরণবিধি ও নির্বাচন অপরাধ আইনের প্রসঙ্গ টেনে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ লাগে। এটা ক্ষুন্ন করে এমন প্রোগ্রাম দিলে করা যাবে না।”