ব্যানার নামাতে নেতাদের হুঁশিয়ারিতেও কান দিচ্ছেন না কর্মীরা।
Published : 12 Jul 2023, 05:25 PM
সরকার পতনে বিএনপির ‘এক দফা’ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে কর্মীরা ‘কথা না শোনায়’ বিরক্তি ও হতাশা প্রকাশ করেছেন নেতারা।
নয়া পল্টনে বিএনপির জমায়েতের অদূরে গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে জড়ো হয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
এই ‘শান্তি সমাবেশে’ নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা তাদের ব্যানার তুলে ধরছেন। সেই ব্যানার নামাতে বারবার অনুরোধ করে এক পর্যায়ে মঞ্চ থেকে আসে হুঁশিয়ারি- ‘বহিষ্কার করব’।
তাতেও কাজ না হওয়ায় এক নেতা হতাশ হয়ে বলেন, ‘কেউ কথা শোনে না...’।
দুপুরের পর সমাবেশ শুরু হতেই ব্যানারে ঘিরে যায় মঞ্চের সামনের পুরো অংশ। বারবার সেগুলো নামিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন নেতারা। কিন্তু তা আর নামানো হয় না।
দুপুর পৌনে ২টা থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ছাড়াও সিটি মেয়র, সংসদ সদস্যরা ব্যানার নিয়ে মিছিল করতে করতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় জড়ো হন। বেলা ৩টার দিকে সমাবেশ শুরু হলে মঞ্চে আসতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
সভা শুরু হওয়ার পর থেকে মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বলে আসছিলেন ব্যানার নামানোর জন্য।
আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “আপনার মঞ্চকে ব্যানার দিয়ে ঢেকে ফেলেছেন, আপনারা ব্যানার নামিয়ে ফেলুন।”
তাতেও কাজ না হওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “আপনারা ব্যানারগুলো নামান। আজকের এই সমাবেশ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইট থেকে নগর ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের নেতারা সামনে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না।
“আপনারা ব্যানারগুলো নামিয়ে ফেলুন, দয়া করে ব্যনারগুলো নামিয়ে ফেলুন। আমার সামনে আমার ছবি দিয়ে যারা ব্যানার করেছেন তারা আগে নামান।”
তবু ব্যানারগুলো তুলে ধরাই ছিল। পরে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মাইক নিয়ে বলেন, “নেতারা এতবার বলছেন, তারপরও ব্যানার নামাচ্ছেন না, আপনাদের খবর আছে! যারা ব্যানার নামাচ্ছেন না, তাদের খবর আছে, তালিকা করে বহিষ্কার করব, রাজনীতি শিখিয়ে দেব। ব্যানার নামান।”
পরে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, “আজকে আমাদের শান্তি সমাবেশ, ব্যানারগুলো গুটিয়ে ফেলুন।”
এরপরও সেগুলো না নামায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কেউ কথা শোনে না। সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন বহিষ্কার করবে, তবুও কেউ কথা শোনে না।”
এর আগে সমাবেশে মঞ্চেরর সামনে বসা নিয়ে মারামারিতে জড়ায় দুটি পক্ষ। একে অন্যের দিকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে থাকে তারা।
তখনও মঞ্চ থেকে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি নেতারা বারবার হুঁশিয়ার করছিলেন, তবে তাতে কাজ হচ্ছিল না।