বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
Published : 14 Nov 2023, 06:18 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিঙে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এরা (সরকার) জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মাদ, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে।
“শেখ হাসিনা তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে অবৈধভাবে তফসিল দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছেন।”
নির্বাচনের তফসিল কখন ঘোষণা করা হবে, তা বুধবার সকালে জানাবেন ইসি সচিব। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসার পর ব্রিফিংয়ে আসেন রিজভী।
তিনি বলেন, “আমরা কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, এই তফসিল নাটক বন্ধ করুন। আগে পদত্যাগ করুন, কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, এই দলদাস নির্বাচন কমিশন বাতিল করুন।”
বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
‘অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা ওরাই করছে’
রিজভী বলেন, “ইতিহাস এই স্বাক্ষ্য দেয় যে, আগুন সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ, গুম-খুন-ভাঙচুর-সহিংসতার আতুরঘর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী দুঃশাসনে পিষ্ট প্রতিবাদী মানুষকে নিশ্চিহ্ন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বরাবরই দলীয় ও রাষ্ট্রশক্তিকে দিয়ে সন্ত্রাস নাশকতা চালিয়ে আসছে। অগ্নিসন্ত্রাস শব্দটিকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
“অপরাধ করে তারা তার দায় চাপিয়ে দেয় বিএনপির লোকজনের ওপর। এই পলিসিটা তারা অনেকদিন ধরে নিয়েছে, অনেকদিন ধরে এই পলিসিটা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার অনুসঙ্গ হিসেবে আমরা দেখতে পাই।”
উদারহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা গুলি খাচ্ছে, রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন ভোগ করছে। গত ২৯ জুলাই রাজধানীর মাতুয়াইলে জনগণের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী আগুনসন্ত্রাসীরা মুখোশ পরে বাসের ড্রাইভারের সামনেই আগুন দিয়েছে। ড্রাইভারও বলেছেন, দশ হাত দূরে পুলিশ ছিল, তাকে (ড্রাইভারকে) বলছে তাড়াতাড়ি নেমে যা, নাহলে তোকেসহ আগুন লাগিয়ে দিব।
“গত ২ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে ফেনীর লালপুলে মহাসড়কে চিনিভর্তি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সদর উপজেলাধীন ধলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি নুর উদ্দিন টিপুকে গ্রেপ্তারে প্রমাণিত হয় অতীতের মতো আওয়ামী লীগ আগুনসন্ত্রাস, নাশকতা করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে।”
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ৪২০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং বিভিন্ন মামলায় ১৩ হাজার ৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।