আসছে নির্বাচনের জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের হিসাব কষেছে ইসি সচিবালয়।
Published : 06 Oct 2023, 01:03 AM
রাজনৈতিক অঙ্গনে মতভেদ না কাটলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কাজ গুছিয়ে রাখছে নির্বাচন কমিশন। ব্যয়ের যে ফর্দ করেছে, তাতে ভোটের খরচ পাঁচ বছর আগের দ্বিগুণ দেখা যাচ্ছে।
সর্বমোট ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি হিসাব কষেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এই ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশই হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে বিরোধের মধ্যেই সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। আগামী জানুয়ারিতে ভোট গ্রহণের তারিখ রেখে নভেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ভোটের ক্ষণ গণনা শুরুর এক মাস আগে বৃহস্পতিবার সবশেষ প্রস্তুতি ও অগ্রগতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য নির্বাচন কমিশনারের সামনে তুলে ধরে ইসি সচিবালয়। সেখানেই সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “ইউনিট অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয়টা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।”
তিনি জানান, এই অঙ্কের ৬৫ শতাংশ খরচ হবে ভোটের কাজে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় হবে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ৭০০ কোটি টাকার মতো। এবার প্রায় ১২ কোটি ভোটারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাড়ার পাশাপাশি নির্বাচনী সামগ্রীর দামও বেড়েছে। সেই সঙ্গে জ্বালানিসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বাড়ছে।
অশোক দেবনাথ বলেন, “আমরা মোটামুটি এখনও অনট্র্যাকেই আছি। প্রস্তুতিমূলক কাজ ৮৫ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। অনেক কিছু কেনাকাটা হয়ে গেছে, জেলা পর্যায়েও পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আগামীতে প্রস্তুতিমূলক যেসব কাজ রয়েছে, তাও সময়মতো হয়ে যাবে।”
এবার সংসদের তিনশ আসনে ভোটগ্রহণ হবে ব্যালটে। এমন নির্বাচনের জন্য ১৩ ধরনের উপকরণ কিনতে হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা ও তালা, অমোচনীয় কালি, বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, সিল, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড, রশি ইত্যাদি।
নির্বাচন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাতা ও প্রশিক্ষণ, কেনাকাটা থাকে। এছাড়া নির্বাচনে ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা কাজ করেন। দায়িত্ব পালন করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক লাখ সদস্য।
অতিরিক্ত সচিব অশোক দেবনাথ বলেন, “তফসিল ঘোষণার আগের কাজগুলো নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। তফসিল ঘোষণার পর কিছু কাজ থাকবে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ থাকবে আমাদের।”