পায়রা উড়িয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন

সম্মেলন ঘিরে সাজানো হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। নির্মাণ করা হয়েছে বর্ণাঢ্য ও সুবিশাল নৌকার আদলে প্যান্ডেল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2022, 06:03 AM
Updated : 6 Dec 2022, 06:03 AM

জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করে আর পায়রা উড়িয়ে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় তিনি সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আর ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উত্তোলন করেন দলীয় পতাকা।

পরে পায়রা অবমুক্ত করে ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ছাত্রলীগের দলীয় সংগীত গাওয়া হয়।

৩০ তম জাতীয় সম্মেলনের আহ্বায়ক অসীম কুমার বৈদ্য ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার রেজাউল করিম সুমন পরে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেন।

এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব পাবে দেশের সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন এই সংগঠন। ‘সাংগঠনিক নেত্রী’ শেখ হাসিনাই পরবর্তী শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

এ আয়োজন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে সুবিশাল নৌকার আদলে। রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছাত্রলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের পাশাপাশি সারা দেশের জেলা মহানগর, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোর থেকেই দলে দলে জড়ো হন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড।

সকালে সেগুনবাগিচা, টিএসসি, রমনা কালী মন্দির গেট, দোয়েল চত্বরেও দেখা যায় আনন্দমুখর পরিবেশ। নানা রঙের পোশাক আর টুপি পরে, বাদ্য বাজিয়ে সম্মেলনে আসেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। 'ছাত্রলীগের সম্মেলন' সফল হোক সফল হোক' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

ছাত্রলীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই শেষ হয়েছিল ওই সম্মেলন।

এর আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি চূড়ান্ত করেন শেখ হাসিনা।

পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা শোভন ও রাব্বানীকে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের সভাপতি ও সাধারাণ সম্পাদক করা হয়। এর আগে সম্মেলনের এক বছর পর ২০১৯ সালের ৩১ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

Also Read: ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

Also Read: ছাত্রলীগের সম্মেলন: যানবাহন চলাচলে এড়াতে হবে যেসব সড়ক

Also Read: সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত ছাত্রলীগ