Published : 01 Feb 2022, 08:42 PM
ওয়ার ইজ কামিং―কামিং ইন ইউরোপ। ইউরোপের কী হয়েছে! কেন যুদ্ধে জড়াচ্ছে? কার সাথে জড়াচ্ছে? কেন ইউরোপ? দুনিয়ার বাকিসব ঠাণ্ডা মেরে গেছে কি!―বীর্যহীন বুড়োর মত, যে পরম শীতের দিনে তাঁর লুপ্ত নিশানা খুঁজে ফেরে। সেই নিশান একেবারে নির্জীব, একেবারে শীতল। তার সমস্ত গৌরব হৃত হয়েছে, সে কারও হৃদয়েই আর শিহরণ তুলতে সক্ষম নয়। ইউরোপের অবস্থা কি এমন হয়েছে? এত করুণ অবস্থা? হোয়াট ইউরোপ! পূূর্ব না পশ্চিম, নাকি পূর্ব বনাম পশ্চিম? আবারও যুদ্ধ ইউরোপে! দুটো না বিশ্ব যুদ্ধ হলো!
আমাদের এই উপমহাদেশীয় বাস্তবতায় আমরা কুরুক্ষেত্রের মানে বুঝি, হাড়ে হাড়ে বুঝি। কুরু-পাণ্ডবের ভ্রাতৃঘাতি যুদ্ধের কী ফল, ভারতীয় লোকদের মানস-কাঠামোয় এর কী প্রভাব আমরা জানি―মরমে মরমে। ইতিহাস বা ঐতিহাসিকতার প্রভাব গায়ের জোর বা ধর্মের জোর ছাড়া অস্বীকার করা যায় না। মুসলমান হওয়ার যুক্তিতে 'আমরা নই ভারতীয়' এ কথা বলে এক শ্রেণির মানুষ তা আস্বীকার করছে ১৯৪৭ সাল থেকে; তাতে কী লাভ? আমাদের তো কিছুতেই 'আরব' প্রমাণ করা যাবে না, আবার ভারতীয় বলে আমাদের নৃতাত্ত্বিকভাবে আর্য হিসেবে প্রমাণ করাও যাবে না। যদিও ভারত উপমহাদেশের মানুষের একটি ক্ষুদ্র অংশ নৃতাত্ত্বিকভাবেই আর্য।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রভাবের কথা আমরা জানি, বিশেষ করে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষেরা। আমাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ যে অনার্য সে কথাও আমরা জানি। অনার্যরা অসূর, অনার্যরা রাক্ষস, অনার্যরা যক্ষ, অনার্যরা দাস বিশেষ করে মাহিষ্য দাস; তবে অনার্যরা পৌরাণিক বিবরণ অনুযায়ী কিছুতেই 'দক্ষ' নয়। পৌরাণিক যুগে দক্ষ হওয়ার বিষয়কে অনার্যরা রীতিমত ঘৃণা করত। দক্ষের পরিণতির খবরও আমাদের জানা। দক্ষযজ্ঞ-কা- দ্রষ্টব্য। অনেক দিন পর্যন্ত এ কারণে আমরা অনার্যরা এক্সপারটাইজ অর্জন করতে চাইনি। 'দক্ষ'দের দেখেশুনে আমাদের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল যে দক্ষ অর্থাৎ এক্সপার্ট মানে হচ্ছে বাটপার, কুটিল চরিত্রের মানুষ। তাই দক্ষের মাথা কেটে তাতে ছাগলের মাথার বসানোর খবরে আমরা খুশি হয়েছিলাম। এখন অবশ্য সে বিশ্বাস আর নেই। তবে আমাদের সামষ্টিক স্মৃতিতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রভাব রয়ে গেছে। আমাদের বিশেষ করে বাংলা অ লের মানুষের বড় একটি অংশ ধর্মে মুসলমান হলেও, জাতে আরব নই। আবার আমরা ভারতীয় হলেও আর্য নই। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রভাব আমাদের ঐতিহাসিকতার অংশ। দিস ইজ হিস্টরিসিটি। ঐতিহাসিকতাকে অস্বীকার করা বোকামি।
আমাদের (অর্থাৎ ভারতীয়দের) যেমন কুরুক্ষেত্রের পৌরাণিক স্মৃতি তেমনি ইউরোপীয়দের এবং কিঞ্চিৎ পরিমাণে মার্কিন, কানাডিয় এবং লাতিনোদের মনে রয়েছে বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি। বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি কিছু না কিছু পরিমাণে সারা দুনিয়াবাসীরই রয়েছে, এশিয়াবাসীরও রয়েছে। দুটি বিশ্বযুদ্ধের সময় উপনিবেশবাদ জেঁকে বসেছিল; এখনও আছে অন্যভাবে। মোটামুটি সারা পৃথিবীই ইউরোপের কিছু দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়েছিল, বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর। মূলত ইউকে বা ব্রিটিশের উপনিবেশ ছিল পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ। এক সময় স্পেনের উপনিবেশের পরিধি ছিল ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৯০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল স্পেনের উপনিবেশ ছিল। মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার উপনিবেশেগুলো লাতিন বা ল্যাটিন আমেরিকা নামে পরিচিত। ওই অঞ্চলের লোকগুলোকে বলা হয় লাতিনো। স্পেনের পর সবচেয়ে বড় উপনিবেশ এলাকা হয় ব্রিটিশের। এক সময় বলা হতো, সান নেভার সেটস ইন ব্রিটিশ এম্পায়ার। ফ্রান্স, ইতালিরও কিছু উপনিবেশ ছিল; মূলত আফ্রিকা মহাদেশে। নেদারল্যান্ডস, পর্তুগালের উপনিবেশও ছিল। নেদারল্যান্ডসের উপনিবেশগুলো ছিল মূলত ইন্দোচীন অঞ্চলে। পর্তুগালের সবচেয়ে বড় উপনিবেশ ছিল ব্রাজিলে। এ কারণে ব্রাজিলের ভাষা পর্তুগিজ। লাতিনোদের ভাষা স্পেনিশ― ব্রাজিলীয়রাও লাতিনো বটে। উপনিবেশের সবচেয়ে বড় প্রভাবটা পড়েছে ভাষায় ও সংস্কৃতিতে। আমেরিগো ভেসপুচির 'আবিষ্কৃত' অঞ্চলে উপনিবেশ কায়েম হয়েছিল ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কারণে। কলম্বাসের পেছনে স্পেনের রানির সমস্ত অর্থবিনিয়োগ বাস্তব রূপে দেখা দেখা দিয়েছিল স্পেনিশ উপনিবেশের আকারে। জার্মানিরও কিছু উপনিবেশ ছিল। যাই হোক, সেই উপনিবেশ সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে। ইউরোপের প্রোথিতযশা সাম্রাজ্যগুলোর অবসান হয়েছে, বিলীন হয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, বিলীন হয়েছে ওসমানীয় (অটোমান) সাম্রাজ্য, বিলীন হয়েছে জাপানের সাম্রাজ্য, বিলীন হয়েছে রুশ সাম্রাজ্যও। দুটি বিশ্বযুদ্ধ আসলে সাম্রাজ্য-হন্তারক যুদ্ধ। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হাজির হলো (তাও ইউরোপীয়) দুটি বিপরীতধর্মী রাষ্ট্র―যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন, দুটি বিপরীতধর্মী আদর্শের শিবির; সমাজতান্ত্রিক শিবির ও পুঁজিবাদী শিবির।
এ দুই শিবিরের এক যুদ্ধ চলমান ছিল―সবাই জানে―যার নাম কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধ। স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হইয়াও শেষ হয় না। ফলে আরো একটি যুদ্ধের আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে ইউরোপকে আর সেই সাথে গোটা বিশ্বকে। গত কয়েক বছর ধরে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এবং/অথবা অল্টারনেটিভ মিডিয়ার একটাই আওয়াজ―ওয়ার ইন ইউরোপ; ওয়ার ইন ইউরোপ ইজ এমিনেন্ট―ইউরোপে আরো একটি যুদ্ধ আসন্ন।
যুদ্ধটি হবে ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এবং সেটি হলে হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা তার চেয়েও ভয়াবহ। কথাটি শুনে বাঙালি মানসে হয়ত একটা সন্দেহ জাগবে―সোভিয়েত ইউনিয়ন তো আর নেই। রাশিয়া কি সোভিয়েতের মাত্রায় সামর্থ্যবান? রাশিয়ার কি লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছিল তা বিশ্ববাসী দেখেছে। পুতিনের মধ্যে একটা স্বজাত্যবাদী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে বটে, তবে তার পক্ষে কি সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রের মত অপ্রতিদ্বন্ধী (!) পরাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা? কী দিয়ে লড়বে? গত দুই আড়াই বছর ধরে বিশেষ করে অল্টারনেটিভ মিডিয়ায় বলা হচ্ছে বটে ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বনাশী যুদ্ধের কথা এবং এ লেখা চলাকালেও বেশ কিছু আর্টিকেলে তা বলা হয়েছে এবং সেগুলো হেঁজিপেঁজি লেখকদের নয়, যাকে বলে স্টলওয়ার্ট লেখকদের। তাদের নাম উল্লেখ করতে পারতাম বটে; স্থানসঙ্কুলানের কথা ভেবে করলাম না। তার চেয়ে বরং যেসব উপকরণ-সরঞ্জাম-যুদ্ধাস্ত্রের নিরিখে এ কথা বলা হচ্ছে এবং এখনও বলছেন সেদিকে বরং মনযোগ দেওয়া যাক―
ইয়েলেৎসিনের সময়ে সোভিয়েতের সামরিক শক্তি ধরে রাখাটাই কঠিন ছিল রাশিয়ার জন্য। ওয়ান্স মাইটি রেড আর্মি তার সংহতি রক্ষা করতে পারছিল না। পুতিনের ক্ষমতাসীন হওয়া এক্ষত্রে রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক হয়ে দেখা দিল। পুতিন খুব সতর্কতার সঙ্গে রুশ আর্মির পুনর্গঠন শুরু করলেন। ২০০৭ সাল থেকে আধুনিকায়ন শুরু হলো। টার্গেট ছিল ২০২০ সালের মধ্যে আধুনিকায়ন শেষ করা। ২০১৮ সালের মধ্যেই ৭০ শতাংশ আধুনিকায়ন সম্পন্ন হলো। সমরাস্ত্রের ক্ষেত্রে বেশকিছু ব্রেকথ্রু ঘটলো। ২০২০ সালের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রায় শত ভাগ আধুনিকায়নের কাজ শেষ হলো। আরো আধুনিকায়নের কাজ চলমান। মোটকথা, রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তার কিছু উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে: পসিদন (পসিডন বা পসাইডন) [Poseidon appears to be a deterrent weapon of last resort. An aircraft carrier battle group would have reduced chances of defending itself against it and anti-submarine warfare units would have very little time to react because of the speed at which it travels. The Poseidon appears to be a torpedo-shaped robotic mini-submarine which can travel at speeds of 185 km/h. Poseidon is a family of drones, some of which are designed only for destroying coastal cities and thus rely on " stealth" capabilities rather than on high speed. The Pentagon estimates maximum speed of the Poseidon to be about 56 kn (104 km/h; 64 mph) without the supercavitation option.]
পসিদন সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপণযোগ্য আন্ডারওয়াটার পারমাণবিক টর্পেডো। সারমাত (আরএস-২৮) টাইপের মিসাইল আভাগার্দ নামের হাইপারসনিক গ্লাইডারের সাহায্যে নিক্ষেপণযোগ্য। আভাগার্দের গতি ২০ মাখ অর্থাৎ শব্দের গতির ২০ গুণ। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। বলা যায় অপ্রতিরোধ্য। কিনজাল (ড্যাগার) নামের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এর বাইরেও আরো কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রয়েছে এস-৩০০, এস-৪০০, এস-৫০০, এস-৫৫০ এন্টি-এয়ারক্রাপ্ট, অ্যান্টি-মিসাইল মিসাইল। অর্থাৎ আকাশপ্রতিরক্ষার ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের কিন্তু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই, যা আছে তাদের বলা যায় সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, বড়জোর ৬-৭ মাখের। সর্বশেষ তারা ৯ মাখের একটা হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ মাখের হিসাবে, আকাশপ্রতিরক্ষার হিসাবে, সাবমেরিনের ক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার চেয়ে পিছিয়ে আছে। আধুনিক ট্যাংকের হিসাবেও তারা পিছিয়ে আছে। ফলে রাশিয়ার সামরিক শক্তিকে হেয় করার কোনো সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের এখন আর নেই। পুরো যুদ্ধজাহাজ স্টিলথ করে রাখার প্রযুক্তিও রাশিয়ার আছে।
বিশ্ববাস্তবতা গত তিরিশ বছরে অনেক বদলেছে। আমাদের ধারণার চেয়ে দ্রুত বদলেছে। চীন এখন জিডিপির (নমিনাল অর্থনীতি) দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি আর পারচেইজিং পাওয়ারের (ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে) দিক থেকে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বের প্রথম অর্থনীতি। সামরিক শক্তির দিক থেকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বিশ্বের সবচেয়ে বড়। আর ১৮ বা ১৯ মাখের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ২০২১ সালের শেষের দিকে। রাশিয়ার পরেই গণপ্রজাতান্ত্রী চীন হাইপারসনিক শক্তিধর দেশ, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে। উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে, তাদের অফিশিয়াল স্বীকৃতি সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরা একটা হাইপারসনিক পাওয়ার বেল্ট তৈরি করেছে। ইরান এখন সবচেয়ে ভাল কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করছে রাশিয়ার সাথে, সিরিয়া ও ইরাক রণক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে। দিনকয়েক আগে ইরান রাশিয়া ও চীনের সাথে মিলে ভারত মহাসাগরে নৌশক্তির মহড়া দিয়েছে। তাদের বলা হয় এক্সিস অব রেজিস্টেন্স। এ অক্ষে প্রচ্ছন্নভাবে উত্তর কোরিয়াও আছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান ইসলামী প্রজাতন্ত্র এখন মৈত্রিতার দিক থেকে ঐতিহাসিক শীর্ষে অবস্থান করছে। চীন কোরিয়ার সাথে বরাবরই রাশিয়ার (সোভিয়েত আমল থেকে) কূটনৈতিক-সামরিক সম্পর্ক ছিল, এখন তারা কূটনৈতিক সৌহার্দ্যের মাহেন্দ্রক্ষণে। এটাকে 'এশীয় প্রতিরোধ পক্ষ'ও বলা যেতে পারে।
সামরিক শক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কম নয়। হয়ত তাদের হাইপারসনিক সক্ষমতা এখনো নিশ্চিত হয়নি, তবে তাদের সুপারসনিক সক্ষমতা রয়েছে। তাদের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, এইজিস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে, পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে; থাড (টার্মিনাল হাই অল্টিচিউড এরিয়া ডিফেন্স) সিস্টেমস রয়েছে। দুনিয়া ধ্বংস করার সামর্থ্য তাদের রয়েছে। তাদের পক্ষে রয়েছে ন্যাটো (তথা পাশ্চাত্য), কানাডাকেও তারা সহযোগী হিসেবে পাবে (নোরাড বা নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড সূত্রে)।
এবার যুদ্ধ বাঁধলে কুরুক্ষেত্রের পৌরাণিক বাস্তবতাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েই বাঁধবে। এ যুদ্ধ থেকে বিশ্ববাসীর রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় থাকবে না। দুনিয়াটাকে শ্মশান হতেই হবে। এটা কাম্য হতে পারে না। শান্তি চায় এমন কোনো মানুষের কাম্য হতে পারে না।