প্রকল্পটির মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বাজারের বিক্রেতা, প্যাকেজিং সরবরাহকারী, সরকারি কর্মকর্তা, বাজার কমিটি ও গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রকল্পে যুক্ত করা হবে।
Published : 08 May 2024, 09:58 PM
শহরাঞ্চলের পরিবেশগত স্থায়িত্ব বৃদ্ধি এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) সম্মিলিতভাবে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে।
বর্জ্য কমাতে ও পুনর্ব্যবহারের জন্য খাদ্যপণ্যের বাজারে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বিকল্প উদ্ভাবন এবং প্লাস্টিক পণ্য সরবরাহকারী ও বর্জ্য সংগ্রহকারীদের সহায়তা করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
ইউনিলিভার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের শহরগুলোর পরিবেশগত ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনে সবজি বাজারে নিম্নমানের প্লাস্টিক বর্জ্য সরবরাহকারীদের লক্ষ্য করে ‘ফর পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট: রেজিলিয়েন্ট, হেলদি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সিস্টেমস’ শীর্ষক এই পাইলট প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বাজারের বিক্রেতা, প্যাকেজিং সরবরাহকারী, সরকারি কর্মকর্তা, বাজার কমিটি ও গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রকল্পে যুক্ত করা হবে।
এতে খাদ্যপণ্য বাজারে এককালীন ব্যবহৃত পলিথিনের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি একটি টেকসই প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্কাশন পদ্ধতি খুঁজতে সহযোগিতামূলক সমাধান বের করা এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
গেইন- এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার এ প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, “বাংলাদেশে টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের পথে জনবান্ধব নকশা ব্যবহার করে প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস করা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার লক্ষ্য। উদ্যোগটি খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখবে এবং বিক্রেতা ও বাজার কমিটির নেওয়া অভিনব উদ্যোগ এবং মালিকানার মাধ্যমে শহর ও কাঁচা বাজারকে ভোক্তাবান্ধব করে তুলবে।”
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার জানান, পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য কমাতে সহায়তা করতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ তৈরি এবং সহযোগিতা করাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
“গেইন-এর সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব কাঁচা বাজারের প্লাস্টিক বর্জ্য এবং খাদ্য স্বাস্থ্যবিধির ওপর গুরুত্ব দেয়। এর মাধ্যমে শুধু জনস্বাস্থ্যের উন্নতিই নয় বরং সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভোক্তাদের আচরণ পরিবর্তনে অবদান রাখা এবং আরও পরিবেশ সচেতন সমাজ গড়ে তোলা হবে।”