বিদেশীরা ঠেলাঠেলি করে খুব একটা কাবু করতে পারছে না শেখ হাসিনার সরকারকে। ভিনদেশী এই সব হস্তক্ষেপে বিএনপি ও তার সমমনারা তেমন সুবিধা করতে না পারলেও আগামী নির্বাচনে বৈতরণী পাড়ি দেওয়াটা আওয়ামী লীগের জন্য হয়তো খুব সহজ হবে না।
Published : 17 Jul 2023, 12:12 AM
বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন ঘিরে মার্কিন কূটনীতিকদের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছিল, অন্তত সংবাদমাধ্যমগুলো সেভাবেই তুলে ধরতে চেয়েছিল। শেষপর্যন্ত ওই সফরের ফলাফল কী দাঁড়াল?
রাশিয়ার ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের খবরটি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ গুরুত্ব পেয়েছিল। পরে যে খবরটি বাংলাদেশের মিডিয়ায় গুরুত্ব পেয়েছে সেটা তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা। তারপরই এলো যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার বাংলাদেশ সফরের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক এই আন্ডার সেক্রেটারির দলবল নিয়ে সফরের খবরে দেশের রাজনীতিক মহলের অনেকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। আজরার সঙ্গে সফরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি ডনাল্ড লু এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলী কৌরও ছিলেন।
গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো আর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে চারপাশে তোলপাড় ছিল আগে থেকেই। আজরা জেয়ার এই সফরেও এমন কিছু তোলপাড় হবে বলে মনে করা হয়েছিল। আজরা ও তার দল অনেকেরই আশায় জল ঢেলে দিয়ে গেলেন। অথচ আজরা জেয়ার সফর দিয়ে আওয়ামী লীগকে কিছুটা ঘায়েল করার চেষ্টা করেছিল বিএনপি; শুধু বিএনপি নয়—বিএনপিপক্ষীয় রাজনীতিক, সামাজিক এবং ব্যবসায়ী মহলও। ব্যাপক আশা ছিল তাদের। সবাই মিলে সরকারকে নাকানিচুবানি খাওয়াবে। কিন্তু সেটার কতটুকু হলো—ঢিলেঢালা কিছু কথা বলে চলে গেল যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ওই টিম। এখন অনেক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হচ্ছে এ নিয়ে। যারা মনে করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিনিধিদল বিএনপির জন্য বড় ব্যাকআপ হয়ে তাদেরকে চাঙ্গা করে তুলবে রাজনীতির ঘরে-বাইরে, বিএনপির নির্বাচনে আসার অনুকূল পরিবেশটি নিশ্চিত করবে, শুধু তাই নয় বিএনপি নির্বাচনে যোগদান করলে তাদের জয় পাইয়ে দেবে, তারা নিশ্চয়ই হতাশ। তাদের এই সব আশা-আকাঙ্ক্ষার দিক থেকে আজরা জেয়ার সফর গুরুত্বপূর্ণই ছিল। নির্বাচন আর বেশি দূরে নেই। হয়তো আজরা জেয়া অন্যদের মতো এটা বুঝেছেন যে, বিএনপিকে খেলা শিখিয়ে-পড়িয়ে মাঠে নামানো সহজ নয়।
আজরা জেয়ার দল বিএনপির সঙ্গে কোনো বৈঠক করেছে তেমন খবর আমরা কোথাও দেখিনি। সম্ভবত কোনো মিটিংও করেনি। এতবড় একটা সফরে যিনি প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, তার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে পারেনি বিএনপি। খুশিতে ডগমগ বিএনপি এটা করতে ব্যর্থ হল কেন?
এরকম কোনো সাক্ষাৎকার কর্মসূচি থাকলে বিএনপি শিবিরে উত্তেজনার স্রোত বইত। শেষ পর্যন্ত আজরার এই সফর বিএনপিকে আবারও সেই হতাশার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। কারণ নিজেদের শক্তিতে বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভবনা ক্ষীণ। কে এসে হাত ধরে তাদের হাঁটাহাঁটি শেখাবে। ব্যাপক জনসমর্থন সত্ত্বেও দুর্বল-দীর্ণ বিএনপি নেতৃত্ব। প্রবাসে বসে কোনো নেতা বড় বড় কথা বললেই কি কেউ তাদেরকে বাজির ঘোড়া মানবে?
গত ১১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত টানা চারদিনের সফরে আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কথাবার্তা কি হয়েছে, তা-ও প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতো বলেছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আজরা জেয়া নিজেও। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে’ হতে পারে, সেজন্য যতটা ভূমিকা রাখা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র তা রাখবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আজরা। গত ১৩ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন আজরা। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ‘দৃঢ় অঙ্গীকারের’ কথা তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতি, সে অনুযায়ী, আমরা সব সময় অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। বাংলাদেশেও সেটা যাতে সম্ভব হয়, সেজন্য দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসাবে আমাদের সহায়ক ভূমিকা আমরা রাখতে চাই।”
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ চাইলেও এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত নয় বলে আরেক প্রশ্নে মন্তব্য করেন আজরা জেয়া। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার সম্ভাবনা নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি বলব, আপনি জানেন, নির্বাচনের সময়সূচির বিষয়টি বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবাই সংলাপের পক্ষে, আপনি যেভাবে বলেছেন সে রকম সরাসরি সম্পৃক্ততা আমাদের নেই।”
সফর শেষে ফেরার সময় এক টুইট বার্তায় আজরা জেয়া লিখেছেন, “দেখা হবে ঢাকা! একটি ফলপ্রসূ ও উৎসাহব্যাঞ্জক সফরের জন্য সরকারের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীল সমাজ, রাষ্ট্রদূত হাস এবং আমাদের নিবেদিত ঢাকাস্থ দূতাবাস টিমকে ধন্যবাদ। অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য জোরালো পদক্ষেপ, শ্রম অধিকার এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তাসহ অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখতে আমরা উন্মুখ।”
তাহলে শেষপর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কী বললেন তিনি? ‘অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য জোরালো পদক্ষেপ’ চেয়েছেন। বাকিটা কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের স্বীকৃতি দিতে আসা। যুক্তরাষ্ট্র এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে চায়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের কথাই আছে। বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এই স্বার্থ সংশ্লিষ্টতাই তাদের সফরের মূল এজেন্ডা ছিল না। এটা মনে করার কারণ আছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও পাল্টা চাপ তৈরি করা হয়—যেটা ছিল সরকারের একটা নজিরবিহীন পদক্ষেপ। ধারণা করা যায়, ছেড়ে কথা বলেনি আমাদের সরকারপক্ষ। সঙ্গে নিশ্চয়ই যুক্ত হয়েছিল চীন এবং রাশিয়া নিয়ে আলাপ। কারণ এদেশে তাদের কূটনৈতিক স্বার্থও রয়েছে।
তারপরও বিএনপি শিবির আরও আশা করেছিল—ভিসানীতির মতো কঠোর কোনো পদক্ষেপের কথা বলতে পারেন আজরা। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কিছু কর্মকর্তার জন্য যেমন, তেমনি অন্য কারও ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এরকমটাও আশা ছিল তাদের। গার্মেন্টস ব্যবসা বা অন্যান্য পণ্য রপ্তানি তথা অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির আভাস-ইঙ্গিতের ‘আশা’ও করেছিল তারা। যে কারণে সরকারের ওপর থেকে ব্যবসায়ীদের সমর্থন হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়েও ইতিউতি আলোচনা চলছিল। কিন্তু এসবের কিছুই না পেয়ে হতাশ সরকারের বিরুদ্ধপক্ষ।
সরকারের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। সেগুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। এই সফরে সেটা স্তিমিত হলো কিনা তা হয়তো ভবিষ্যতে বোঝা যাবে।
আজরা জেয়ার হিসেবের জবাব মিললে তো আপাতত কথাই নেই। তিনি প্রতিশোধ বা ভয়ভীতির শঙ্কামুক্ত থেকে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথাও বলেছিলেন। প্রতিনিধিদল শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম হত্যার বিষয়টি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে আলোচনায় অবতারণা করেছে।
দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের কূটনৈতিক তৎপরতাও চলছে। তাই বিএনপি ও সমমনাদের উত্তেজনায় আজরা জেয়া জল ঢেলে দিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের নিরুদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এবি পার্টি নামে একটি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। প্রতিনিধি দলটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দুটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে বলে আমরা গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। প্রশ্ন দুটি হলো, ১.সুষ্ঠু নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ আছে কিনা এবং ২. সব দল ভোটে অংশ নেবে কিনা।
বিএনপি ও জামায়াত বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কথা বলেছে জাতীয় পার্টিও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বাকি চার দলের কাছেই বিদ্যমান আইন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনুকূলে কিনা, তা জানতে চায় প্রতিনিধি দল। আগামী নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠালে তারা কীভাবে দেখবে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বলেছে, পর্যবেক্ষক পাঠালে স্বাগত জানানো হবে। তবে বিএনপি ও জামায়াত জানায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে। পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি হবে না—এ বিষয়ে দলগুলোকে কিছু বলেননি ইইউ প্রতিনিধিরা। তবে জানা গেছে, পর্যবেক্ষক পাঠানোর ক্ষেত্রে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিনিধি দলটি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিদেশীরা ঠেলাঠেলি করে খুব একটা কাবু করতে পারছে না শেখ হাসিনার সরকারকে। ১৫ জুলাই ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা’ শীর্ষক সম্মেলনে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাওয়ার কথা বললেন। পরিস্থিতি কি বদলে যাচ্ছে? ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা কয়দিন আগেও মনে করতেন শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে না, তারাও সমস্বরে শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। আগের দিন ব্যবসায়ীদের এমন সমর্থনের খবরে আলোচনা তৈরির পরদিন ১৬ জুলাই সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা নিজেদের ভালোটা বোঝেন। শেখ হাসিনাই পরীক্ষিত। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য তাকেই দরকার।
ভিনদেশী সব হস্তক্ষেপে বিএনপি ও তার সমমনারা যে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা’ শীর্ষক ওই সম্মেলনে বিএনপিপন্থী বলে পরিচিত ব্যবসায়ী নেতাদের বক্তব্যেও ইঙ্গিত মিলেছে। তাই বলে আওয়ামী লীগের নিশ্চিন্ত হওয়ার তেমন কিছু ঘটেনি। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের’ দাবিটা দেশের ভেতরে ও বাইরে সমানভাবে জোরালো হতে থাকবে। তাই ওই নির্বাচনে বৈতরণী পাড়ি দেওয়াটা আওয়ামী লীগের জন্য হয়তো খুব সহজ হবে না।