শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার এক ভগ্নরূপ বিরাজ করছে আমাদের চারিধারে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সর্বশক্তি নিয়ে।
Published : 29 Oct 2022, 01:14 PM
সামাজিকভাবে মানুষ আজ বড় বিপন্ন। ভাবাদর্শের দিক থেকে বাংলাদেশের সমাজ ক্রমেই অন্ধকার ও অন্ধচিন্তা দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। সাম্প্রদায়িক ভেদচিন্তা ক্রমান্বয়ে মানবিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটিয়ে চলেছে এবং মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতিবাচক প্রবণতা ক্রমান্বয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের জন্ম হলেও তা ক্রমান্বয়ে সাম্প্রদায়িক ও লুটেরা অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর এ রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে সমস্ত সরকার অধিষ্ঠিত হয়েছে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই তা ঘটেছে। রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতার কারণে সমাজ তথা সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সমাজের কারণে পরিবার, পরিবার থেকে নষ্ট হচ্ছে ব্যক্তি। আর জাতি হিসেবে আমরা ক্রমেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছি।
একদিকে উন্নয়নের নামে লুটপাট বাণিজ্য, অর্থ পাচার; অন্যদিকে পুঁজিবাদী অর্থনীতির গর্ভজাত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, মৌলবাদী গোষ্ঠীর তাণ্ডব জনজীবনকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত। শুধু ধর্মীয় পরিচয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে তা নয়, প্রগতিশীল মুক্তমনের মানুষও একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে, নিগৃহীত হচ্ছে তাদের নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে। মানুষের মানবিক মূল্যবোধ আজ ক্ষয়িষ্ণুপ্রায়। শিক্ষাখাত বিপন্ন। শিক্ষা কারিকুলাম থেকে হেফাজত ইসলামের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অনেক আগেই প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ পড়েছে। এখন আবার প্রগতিশীল শিক্ষক, বিজ্ঞান শিক্ষক, হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষকসহ অমুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের বেছে বেছে তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে বাংলার অসাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ হাসন-লালনের গান ও তার সাধকবৃন্দ।
দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন সাম্প্রদায়িকতার রোগে আক্রান্ত। এমনকি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতিষ্ঠানসমূহও একই দোষে দুষ্ট। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে লেখা হয়েছে– ‘প্রভু! আমায় জ্ঞান দাও’, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে লেখা– ‘ঐশী জ্যোতিই আমাদের পথ প্রদর্শক’, ঢাকার আগারগাঁও-এ অবস্থিত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউশনের সামনে লেখা– ‘যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই (আল্লাহ) আমাকে আরোগ্য দান করেন।’ বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর যুক্তির পরিবর্তে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস। আবার কিন্ডারগার্ডেনগুলোর দিকে তাকালে আরও ভয়াবহ চিত্র ভেসে ওঠে। কিন্ডারগার্ডেনে এমন সব বই পড়ানো হয় যার সাথে জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই বরং ওই সমস্ত পাঠ্যপুস্তক থেকে কোমলমতি শিশুরা ধর্মীয় অপব্যাখ্যার দ্বারা বিভ্রান্ত হয়। রাষ্ট্র এর সবকিছু দেখেও নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। কোথাও কোথাও এদের সহযোগী হয়ে উঠছে প্রশাসন। সবচেয়ে হতাশাজনক চিত্র হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যেই একটি ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। মায়ের আচলের তলায় সন্তান যেমন বড় হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনি শাসকগোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় এরা লালিত-পালিত হচ্ছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এদেরকেই লুটপাট বা ধর্মীয় উস্কানিমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে পারছে না। কথা বলতে গেলে একদল স্বার্থান্বেষী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী টুঁটি চেপে ধরছে। তারা ভূয়া-মিথ্যে এবং বানোয়াটভাবে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে, ফেইসবুকে ফেইক আইডি খুলে ওই ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করছে। এদের একটা অংশ রাস্তার ধারের, উদ্যানের গাছ কেটে, নদীর পাড়, মাঠ-ঘাট দখল-দূষণে মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। জন্ম নিয়েছে লুটপাটের অর্থনীতি। একদিকে অল্প কিছু মানুষ ব্যাপক সম্পদের অধিকারী, অন্যদিকে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ সীমাহীন দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। বাড়ছে উৎপাদনের উপকরণ জ্বালানি থেকে শুরু করে সকল কিছুর দাম। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এসব মোকাবিলায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা। জনগণ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করার সক্ষমতা হারাচ্ছে। অল্পকিছু মানুষ মুখ খুললেও তাদের টুঁটি চেপে ধরছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনের বদৌলতে প্রশাসন হামলার শিকার ব্যক্তিকে রক্ষা না করে তাকেই গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করছে। রক্ষা পাচ্ছে হত্যাকারী, হামলাকারী, দখলদার, জুলুমবাজ, লুণ্ঠনকারীর দল।
একসময় এ সকল অন্যায়-অত্যাচার-জুলুমের বিরুদ্ধে বামপন্থি রাজনৈতিক দলসমূহ শক্ত অবস্থান গড়ে তুলত, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্রিয় থাকত। কিন্তু তাদের মধ্যেও সুবিধাবাদের প্রশ্রয়, অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং অনৈক্যের কারণে তারাও এখন আর তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ, খাদ্যমন্দার অশনি সংকেত তখন জাতীয় জীবনের এই দুর্দশা মানুষকে বিপন্ন করে তুলছে। জীবনানন্দের ভাষায় কেবলই বলতে ইচ্ছে করছে– ‘অদ্ভূত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ’। তাহলে কি এটাই ভবিতব্য, এ অবস্থা থেকে মুক্তির আর কি কোনো উপায় নেই? সত্যি বলতে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি আমরা। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে পারে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক শক্তি। কারণ সুস্থ চিন্তার মানুষগুলো, বিশেষ করে যারা আজও অসম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে, যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখে, তাদের আশ্রয় পাওয়ার মতো দৃশ্যমান রাজনৈতিক শক্তির আজ বড় অভাব। ব্যাপক সংখ্যক মানুষ, যারা ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ করেন, যারা অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ লালন করেন তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। তাদের সংগঠিত করা বা নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই।
শ্রীহীন এ অবস্থার শ্রী ফেরাতে পারে সংস্কৃতির শক্তি। কিন্তু সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রসমূহ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। বিপন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনও। যে সংকট আজ সমাজের অভ্যন্তরে দানা বেধেছে তার তুলনায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। সামগ্রিক সাংস্কৃতিক কর্মধারায় নির্জীবতা ও নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি এক ধরনের তোষামোদী সংস্কৃতি বা সংস্কৃতিকর্মীর প্রতাপ লক্ষ্যণীয়। জন্ম নিয়েছে এক চাটুকার শ্রেণি। যাদের দাপটে ও প্রভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায় দীর্ঘ অবদান রাখা এবং নিবেদিতপ্রাণ সংস্কৃতিকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। ফলে গণমুখী সংস্কৃতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলন আজ মৃতপ্রায়। ফেডারেশনের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। বস্তুতপক্ষে সেখানে কোনো কার্যক্রম নেই। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট তো অনেক আগেই কার্যকারিতা হারিয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে জোট পুনর্গঠিত হয়েছে। বিশাল কলেবরে জোটের কমিটি গঠিত হয়েছে। এবারের কমিটিতে বেশকিছু নারী সদস্য স্থান পেয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু সেখানে দেশের মানুষ এবং তাদের যে সংকট ওসব নিয়ে ভাববার মানুষ নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীকে ঘরে বন্দি করে রাখার যে অপতৎপরতা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ব্যাপারে তাদের খুব বেশি মাথাব্যথা নেই। তাদের কাছে প্রধান হয়ে উঠেছে, ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে নিজের এবং ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করা।
শিল্পকলা একাডেমির অবস্থাও তথৈবচ। কার্যক্রম বলতে গৎবাধা কিছু সরকার নির্দেশিত ও মিলনায়তন কেন্দ্রীক অভিজাত শ্রেণির সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। সেখানে স্থানীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিস্তার ঘটানোর ক্ষেত্রে তাদের কোনো ভূমিকা নেই, নেই উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে জনমানসের উপযোগী কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন। তাদের কাছে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাও গৌণ হয়ে পড়েছে। কেবলই লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে এসকল প্রতিষ্ঠান। একটি প্রগতিশীল সংস্কৃতি চর্চার মধ্যদিয়ে জাতির মন ও মানসকে সমৃদ্ধ করার কোনো প্রচেষ্টা তাদের নেই। অন্যদিকে, একসময়ে এদেশের বুদ্ধিজীবীদেরও সমাজকে প্রগতিমুখী করায় একটা ব্যাপকভিত্তিক ভূমিকা ছিল। বর্তমানে সেটাও কলুষিত হয়ে পড়েছে। তারাও লালসার বৃত্তে আবদ্ধ।
দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল ক্ষমতায় থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যে ধরনের সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার ওই লক্ষ্যে তেমন কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে বিপরীতমুখী ধারা সেখানে আসন গেড়ে বসেছে। তারা কেবলই আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলেন আর গালভরা বুলি আওড়ান, ‘এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের এবং সংস্কৃতিবান্ধব সরকার’ বলে। কিন্তু সরকার কতটা সংস্কৃতিবান্ধব তা তার জাতীয় বাজেটের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। স্বাধীনতার পর জাতীয় বাজেটের আকার বেড়েছে কয়েক শ গুণ। কিন্তু সংস্কৃতি খাতের বাজেট এখনো ০.১০ শতাংশেরও কম। একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি তার মানবিক ঋদ্ধি তথা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবিক ঋদ্ধি এ দুয়ের সমন্বয়ে ঘটে সমৃদ্ধি। একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে উন্নয়নের পাশাপাশি যদি তার মানবিক ঋদ্ধি ঘটাতে না পারা যায় তাহলে সে উন্নয়ন স্থায়ীত্ব লাভ করবে না। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। তাই একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সংস্কৃতিকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার তথা নীতিনির্ধারকদের নীতি প্রণয়ন, প্রয়োগের ব্যর্থতা এবং দূরদর্শীতার অভাবে সমাজ, রাষ্ট্রসহ জনমানস আজ অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে বসেছে।
সমাজ মানসের এই কলুষ দূর করতে হলে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির শক্তিতেই। কিন্তু শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার এক ভগ্নরূপ বিরাজ করছে আমাদের চারিধারে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সর্বশক্তি নিয়ে। মানুষের মধ্যে আশাবাদের জন্ম নেবে এমন সব ক্ষেত্রের দ্বার উন্মোচন করতে হবে। উদীচীর মতো দু-একটি সংগঠন হয়তো ওই প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। চেষ্টা করছে সকল ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। কিন্তু সেই শক্তির আরও সংঘবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। সমাজের অভ্যন্তরে যে বিষবৃক্ষ গ্রথিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম রচনায় প্রয়োজন ব্যাপকতর সাংস্কৃতিক জাগরণের। এজন্য প্রগতিশীল সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের মেলবন্ধন রচনা এখন সময়ের প্রয়োজন। উদীচীকেই সেখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজেদেরকে সংগঠিত হতে হবে এবং তার পাশাপাশি সমমনা সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে সাথে নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী এ জাতি পরাজিত হতে পারে না। আমরা পরাজিত হতে দিতে পারি না। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করতে হবে, অগ্রসর করে নিতে হবে সংস্কৃতির শক্তিকে। তাদের মন ও মননকে জাগ্রত করতে হবে সংস্কৃতিবোধে।