স্বস্তির দুর্গাপূজা ও করতোয়ায় ভয়াবহ নৌকাডুবি

উৎসবটা সবার হওয়ার কথা থাকলেও এবার অন্তত কিছু পরিবারে উৎসবের আমেজ নেই, কতগুলো বাড়িতে নেই আলোর মালা, এমনকি হয়তো জ্বলেনি সন্ধ্যাপ্রদীপও।

বিভুরঞ্জন সরকারবিভুরঞ্জন সরকার
Published : 5 Oct 2022, 07:41 AM
Updated : 5 Oct 2022, 07:41 AM

এই লেখাটি পাঠক যেদিন পড়বেন সেদিন, দুর্গোৎসবের শেষ দিন। মর্ত্য থেকে আজ কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী। সেই কারণেই এই তিথিকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়। পৌরাণিক কাহিনি মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে নয় দিন নয় রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তার বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলেন মা দুর্গা। তাই এই দিনটিকে ‘বিজয়া’ বলা হয়। দেবী দুর্গা অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। তার এই জয়ের মধ্য দিয়ে অন্যায় ও অশুভের বিরুদ্ধে ন্যায় ও শুভশক্তির জয় হয়েছিল।

দুর্গাপূজাকে বাঙালি হিন্দুর প্রধান উৎসব বলা হলেও ত্রিপুরা, হাজং, বানাই, পাত্র, কোচ, মাহাতোসহ ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষও দুর্গা পূজা করে থাকেন। বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের আটপৌরে সংসারে হাজারো না পাওয়ার হতাশা, ব্যর্থতা এবং বিপর্যয়ের মধ্যেও অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দেবী দুর্গার উপাসনা করে এই বিশ্বাস নিয়ে যে দেবী তার সব দুর্গতি মোচন করবেন।

হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবী দুর্গার মর্তে আগমন ও গমন যে বাহনে, তার ওপর নির্ভর করে গোটা বছরটা পৃথিবীবাসীর কেমন কাটবে। ওই দিক থেকে এবারের দুর্গাপূজা বিশ্ববাসীর জন্য শুভ। শাস্ত্রানুযায়ী, সপ্তমীতে দেবী দুর্গার আগমন এবং দশমিতে গমন হয়। সাধারণত প্রতি বছর সপ্তমী ও দশমী কী বার পড়ছে তার ওপর নির্ভর করে দেবীর কিসে আগমন এবং গমন সেটা বোঝা যায়। এই বছর দেবী দুর্গার আগমন গজে, যার অর্থ শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা। কৈলাসে ফিরবেন নৌকায় যা মূলত শস্য বৃদ্ধি ও জল বৃদ্ধির ইঙ্গিতবাহী।

বলা হয়ে থাকে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। বছরের পর বছর এই ভূখণ্ডে হিন্দু-মুসলমান যেমন পাশাপাশি বসবাস করে আসছে, তেমনি তারা একে অপরের ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করেছে। বাঙালি সংস্কৃতি যে অন্তর্নিহিতভাবে সর্বপ্রাণবাদী, নারী তথা মাতৃচরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে, দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে তা ফুটে ওঠে। এই গুণাবলি যতটা ধর্মীয় বিশ্বাস, ততটাই সংস্কৃতির প্রাণরসে ঋদ্ধ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সম্প্রীতির পরিবেশ কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে একই রকম আনন্দ আয়োজন সম্ভব হয়নি নোয়াখালীসহ কয়েক স্থানে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও এবার সারা দেশে ৩২ হাজারের বেশি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হয়েছে। দু-এক জায়গায় ছোটখাটো কিছু সমস্যা হলেও পূজা মণ্ডপগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। মানুষ সাধ ও সামর্থের সমন্বয় করে নতুন জামাকাপড় কিনেছে। প্রায় সব পূজা মণ্ডপে মানুষের উপস্থিতি একটি উৎসবমুখর পরিস্থিতির বার্তাই দিয়েছে। বৃষ্টি কিছুটা অন্তরায় সৃষ্টির চেষ্টা করলেও ভক্তদের অন্তরের টান ঘরবন্দী করে রাখতে পারেনি।

তবে উৎসবটা সবার হওয়ার কথা থাকলেও এবার অন্তত কিছু পরিবারে উৎসবের আমেজ নেই, কতগুলো বাড়িতে নেই আলোর মালা, এমনকি হয়তো জ্বলেনি সন্ধ্যাপ্রদীপও। পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের ঘরে ঘরে এবার উৎসব ছিল না, উচ্ছ্বাস ও আনন্দেরও প্রকাশ ছিল না। যাদের বাবা কিংবা মা কিংবা ভাই কিংবা বোন অথবা অন্য কোনো আত্মীয়কে চিতার আগুনে ভস্ম করা হয়েছে অথবা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি যাদের, তাদের মনে যে বেদনার স্রোত বইছে, তা দূর করতে পারবে না ৫ দিনের উৎসবের বর্ণালী ঢেউ। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে এক নৌ-দুর্ঘটনায় ৬৯ জন নারী-পুরুষ-শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শোকগ্রস্ত করেছে। স্বাভাবিক কারণেই পঞ্চগড় জেলার পূজামণ্ডপগুলো ছিল বিষাদে ঢাকা।

করতোয়া পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলা অর্থাৎ দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করে এর গতি পথে জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে ৪ উপজেলাকে (তেতুলিয়া, পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ) কয়েক ভাগে বিভক্ত করে প্রবাহিত হয়েছে। পঞ্চগড় জেলায় করতোয়া নদীর ওপর সেতু রয়েছে ৩টি। সর্ব উত্তরের দিক থেকে প্রথম সেতুটি আছে ভজনপুরে যা তেতুলিয়া উপজেলা ও পঞ্চগড় জেলা শহরকে সংযুক্ত করেছে, দ্বিতীয় সেতুটি রয়েছে পঞ্চগড় শহরে যা পঞ্চগড় শহরকে সংযুক্ত করেছে। এ জেলার তৃতীয় সেতুটি হলো দেবীগঞ্জে যা এন ইএচ থ্রি বা জাতীয় মহাসড়ক ৩-এর আওতায় দেবীগঞ্জ উপজেলা এবং পঞ্চগড় জেলাকে সংযুক্ত করেছে। লক্ষণীয় বিষয় চতুর্থ উপজেলা বোদাকে করতোয়া নদী বিভক্ত করলেও এই উপজেলায় কোনো সেতু নেই। অথচ জেলার প্রাচীন ও বিখ্যাত বদেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার-আসার জন্য আউলিয়া ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর মহালয়া বা অন্য বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় বদেশ্বরী মন্দিরে। মন্দিরটি নদীর এক পাড়ে হওয়ায় অন্য পাড়ের মানুষের পারাপারের একমাত্র উপায় ছিল নৌকা।

করতোয়া দেশের সর্বোত্তরের অন্যতম প্রধান নদী। এই অঞ্চলের নদীগুলো সুপ্রশস্ত কিংবা সুগভীর না হলেও অত্যন্ত খরস্রোতা। ভৌগোলিক ভাবে পঞ্চগড় মূলত হিমালয় পর্বতমালার পায়ের তলায়। সমুদ্র সমতল থেকে পঞ্চগড় ১৫০ থেকে ১৬০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এখানকার নদীগুলো তীব্র স্রোতে ভাটির দিকে বয়ে যায়। এখন বর্ষার শেষে আশ্বিন মাস চলছে, তার আগে টানা বৃষ্টিপাত, ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢল করতোয়াকে প্রমত্তা চেহারা প্রদান করেছে। এতই প্রমত্তা যে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভাটিতে মৃত মানুষের লাশ ভেসে উঠেছে।

দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটল? নদীর ওপারে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য হাজার হাজার সনাতন মানুষ আউলিয়াঘাটে উপস্থিত হন। কিন্তু খেয়াঘাটে নৌকা ছিল মাত্র তিনটি। একটি শ্যালো ইঞ্চিন চালিত এবং বাকি দুটি বৈঠা চালিত। পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় নৈমিত্তিক যাত্রী এবং তীর্থযাত্রীদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এদিকে পূজা যেহেতু প্রহর বা লগ্নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেহেতু লগ্ন পার হয়ে যাওয়া কিংবা পূজার মূল অনুষ্ঠান ধরতে না পারার আশংকায় নৌকাতে একসঙ্গে অনেক মানুষ, প্রায় ১০৪ থেকে ১১০ জন উঠে পড়েন। অন্যান্য অনেক যাত্রী এ অবস্থায় নৌকা নিরাপদে নদী পার হতে পারবে না মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও নৌকার মাঝি নৌকা চালু করেন। ওইসময় জমায়েত নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্য, ঘাট কর্তৃপক্ষ, ধর্মীয় সংগঠক বা প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি এরকম অনেকেই সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেউই এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি। নদী পার হওয়ার আগেই মাঝ নদীতে গিয়ে নৌকার শ্যালো ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয় অথবা ইঞ্জিনটি ওভারলোডে বিকল হয়ে যায়। নদীর তীব্র স্রোতে ইঞ্জিন থেমে যাওয়ায় নৌকার মাঝি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, নৌকা একপাশে কাত হয়ে ডুবে যায়। 

এই দুর্ঘটনা নিয়ে কিছু সাধারণ পর্যবেক্ষণ:

১. করতোয়া নদীর খেয়াঘাটগুলো অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এই ঘাটগুলো নিয়ন্ত্রণ করে জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ আবার এ খেয়াঘাটগুলো সর্বোচ্চ দরদাতাকে এক বছরের জন্য ইজারা দিয়ে থাকে।

গতবছর আউলিয়াঘাট ইজারা দেয়া হয়েছিল ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এ বছর ইজারা হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। ইজারা নিয়েছেন আব্দুল জব্বার নামের এক ব্যক্তি। প্রশ্ন হলো, ইজারা না বেড়ে ৪ লাখ টাকা কম হলো কেন? এটা মনে করা হয় যে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এবং ইজারা পেতে আগ্রহী ইজারাদাররা নিজেদের মধ্যে নেগোসিয়েশন করে অর্থাৎ সমোঝতার মাধ্যমে দাম কমিয়ে বেশি লাভের জন্যে কম মূল্যে সিন্ডিকেট পদ্ধতিতে ঘাট ইজারা নিয়েছেন। ইজারাপত্রে যে শর্তগুলো দেওয়া থাকে সেসব শর্তের কোনোরকম পরিপালন ছাড়াই ঘাট পরিচালনা করে আসছিলেন। এ বিষয়ে ইজারাদাতা প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদের কোনো রকম তদারকি অথবা নিরীক্ষা ছিল না।

আবার ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু দরটাই বিবেচনা করা হয়। ঘাট পরিচালনার অভিজ্ঞতা কিংবা লাইসেন্স এসব কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয় না। এদেশে খেয়া নৌকা পারাপারকারী মাঝিদের কোনো লাইসেন্স বা আর অন্যকোনো পদ্ধতিতে যোগ্যতা ও দক্ষতা নিরুপণের কোনো ব্যবস্থা আছে বলে মনে হয় না।

২. আউলিয়াঘাটে খেয়া পারাপারে ব্যবহৃত নৌকাটি ছিল জরাজীর্ণ। একটি বহু পুরাতন শ্যালো মেশিন দিয়ে নৌকাটি চালানো হচ্ছিল। ঘাটে অথবা নৌকায় জীবন রক্ষাকারী কোনো সরাঞ্জামাদি ছিল না। ঘটনার দিন তো নয়ই এমনকি অতীতের কোনো সময়েই পানিতে জীবনরক্ষাকারী কোনো সরঞ্জাম এই খেয়াঘাট বা নৌকাগুলোতে থাকে না বা ছিল না। 

৩. তীর্থস্থানের আয়োজক কমিটি খেয়াঘাটের ইজারাদারকে ৬টি নৌকার ব্যবস্থা করতে বললেও মোতায়েন ছিল ৩টি নৌকা। এ বিষয়ে পূজা আয়োজক কমিটির আর কোনো তৎপরতা ছিল না। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে জেনেও এই উদাসীনতা একটি সচেতন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবার যোগ্য।

৪. আয়োজক কমিটি তীর্থযাত্রীদের নদী পারাপারে সুশৃঙ্খল সুব্যবস্থার ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন ছিলেন। 

৫. এরকম বড় আয়োজনের জন্য যে ধরনের সমন্বয় দরকার হয়, আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো বলে এলাকাবাসী মনে করেন। 

আমাদের প্রচলিত আইন এবং দেশের সংবিধান জননিরাপত্তার অধিকারকে নিশ্চিত করতে চেয়েছে। কিন্তু আমাদের নির্বাহী বিভাগের আমলাতান্ত্রিক প্যাচ এবং খাই খাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি জননিরাপত্তার বিষয়টিকে চরম অবহেলার নির্দশন বানিয়ে ছেড়েছে। করতোয়ায় নৌকাডুবিতে যে ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে তা থেকে এটা স্পষ্ট দেখা যে ২ বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ এই মর্মান্তিক কাঠামোগত হত্যাযজ্ঞের শিকার। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে শুধু দায়িত্বশীল পদাধিকারী ব্যক্তিদের অবহেলায় এতগুলো পরিবারে এমন দুর্যোগ নেমে এসেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনী। অকালবোধনে তিনি এসেছিলেন অসুরবধ করতে। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ অসুর যে আমরাই, আমাদের নির্লজ্জ স্বার্থপরতা, আমাদের সংকীর্ণ বিচারবোধ, আমাদের অন্ধ সহ্যক্ষমতা অথবা প্রাপ্তির লোভে পাছে কোনো কিছু হারানোর ভয়ের আসুরিক চিন্তা কি দেবী দুর্গা বধ করতে পারবেন? দেবীর বিদায়েও আমাদের দুর্গতি কি বিনাশ হবে?

এদেশে মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন আদালতে যায় এই আশায়, যে সেখানে ন্যায়বিচার মিলবে। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে কত বিষয়েই ব্যাখ্যা দাবি করেন। এই যে করতোয়ায় ৬৯ জনের লাশ হওয়া ও ৩ জন অতল জলে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি কি আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না?