‘চাটন’ এবং ‘চাটুকৃতি’—এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ‘চেটো’, ‘চাটক’ কিংবা ‘চাটুল’ হওয়া এমন কিছু কঠিন নয়, টক-মিষ্টি-ঝাল ‘চাটনী’ চাটতে পারে যে কেউ, কিন্তু চাটনকে শিল্পস্তরে উন্নীত করে যারা, তারা ‘চাটুকার’ বা ‘চাট্যকার’।
Published : 22 Aug 2023, 06:17 PM
প্রিয় স্বজাতির কিছু লোককে অন্তত ঠিকঠাকমতো চিনেছিলেন বলে বঙ্গবন্ধু তাদের নামকরণ করেছিলেন: ‘চাটার দল’। অকৃতজ্ঞ সন্তানেরা যদি জাতির পিতাকে আরও কিছুদিন বাঁচার সুযোগ দিত, তবে তিনি বুঝতে পারতেন যে এই ‘চাটা’ (পড়ুন ‘জুতাচাটা’ হ্যাঁ শ্রেফ জুতা, অন্য কিছু নয়!) সমতট শুধু নয়, বহমান বিশ্বসংস্কৃতির অংশ। প্রমাণ: ফরাসি ভাষায় ‘চাটুকার’-কে বলা হয় ‘লেশ বত’ অর্থাৎ ‘বুট-চাটা’ বা ‘জুতার গোড়ালি চাটা’। ইংরেজিতেও ‘বুটলিকার’ কথাটা আছে। চীন দেশে এক জনের কথাই যেহেতু শেষ কথা, সেখানেও সমানে ‘চাটাচাটি’ চলে আর ওদের সামাজিক গণমাধ্যমের নাম ‘উই চ্যাট’।
‘কী দেবো আপনাকে বস, মুড়ি-বাদাম-বুট সহযোগে চা-টা, নাকি বুটে একটু চাটা? আহারে! জুতার তলাটা আপনার এক্কেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে!’ বসের কৃষ্ণ মুখশ্রী নয়, কৃষ্ণ জুতাশ্রী দেখলেই, বঙ্গোপসাগরে চর জাগার মতো, চাটা দেবার উদগ্র এক ইচ্ছা জাগে বেশির ভাগ বাঙালির মনে, ‘চর চর’ নয়, ‘চাট চাট’ করে উঠে বাঙালি মাত্রেরই জিহ্বাগ্র। ‘আমরা সবাই চাটা, আমাদের এই চাটের রাজত্বে, নইলে মোরা প্রভুর সনে মিলবো কী শর্তে?’
‘ইয়েস স্যার!’ চাকরির একেবারে শুরুর দিনটি থেকে শেষ দিনটি পর্যন্ত সমতটের সর্বত্র, কী আমলাতন্ত্র, কী সেনাতন্ত্র, কী বিচারালয়—সরকারি, বেসরকারি নির্বিশেষে, বিশ্ববিদ্যালয়সহ যাবতীয় প্রশাসনে-প্রতিষ্ঠানে উত্তমরূপে চাটতে, চাটাতে শেখানো হয়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, ঠিক যেমন করে ভালুককে নাচতে শেখানো হয় সার্কাসে, ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে (মাইকেলের ভাষায়:‘অধম ভালুকে শৃঙ্খলিয়া জাদুকর খেলে তারে লয়ে’)। ‘সিচিএস’ বা ‘সমতট চাটা সার্ভিস’-এর পরীক্ষা পাশ করতে পারলে জীবন সার্থক মনে করে অনেকে।
‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত’—এই সব বেহুদা রাবিন্দ্রীক বাণী প্রশাসনে কখনই শোনানো-শেখানো হয় না। সুতরাং ‘চাকরি’ না বলে বলা উচিত ‘চাটরি’? ‘চাকর-বুয়া’-র চাকরি, চাটুকারের ‘চাটরি’। উর্ধ্বতনের জুতা চাটে নিম্নতন, যিনি আবার চাটেন উর্ধ্বতরের পাদুকা। অশ্ব থেকে যেমন ‘অশ্বতর’ বা খচ্চর, ‘উর্ধ্ব’ থেকে সাধিত হতে পারে ‘উর্ধ্বতর’।
মধ্যবিত্ত এবং যৌবন বহুদিন অতিক্রান্ত বাঙালির আইকন ‘উত্তম-সুচিত্রা’। সাইনবোর্ডে বড় বড় অক্ষরে লেখা: ‘সুচিত্রা চাটঘর। নিচে লেখা: এখানে উত্তমরূপে সুচিত্রাদের পাদুকা চাটা হয়।’ ‘সব চাটা এসে মিলে গেলো শেষে তোমারই দুখানি চরণে!’ ‘মুঝে প্যার কি চাটনি চাটা দে পিয়া’—হিন্দি সিনেমার এই আইটেম নাচ দেখে ও গান শুনে লোলচর্ম বৃদ্ধকেও হাতের চেটো দিয়ে মুখ থেকে ‘গড়ায়মান’ লালা মুছতে দেখা যাবে। ‘তোমারে চাটিতে কত যে ভালো, চাঁদ বুঝি তা জানে।’ চাটাতে যে কী আনন্দ, কিংবা চাটতে যে কী আনন্দ বা কষ্ট, চাঁদ না জানলেও চাটক-চাটুকারের জিহ্বা অবশ্যই মর্মে মর্মে তা জানে।
‘চাটন’ এবং ‘চাটুকৃতি’—এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ‘চেটো’, ‘চাটক’ কিংবা ‘চাটুল’ হওয়া এমন কিছু কঠিন নয়, টক-মিষ্টি-ঝাল ‘চাটনী’ চাটতে পারে যে কেউ, কিন্তু চাটনকে শিল্পস্তরে উন্নীত করে যারা, তারা ‘চাটুকার’ বা ‘চাট্যকার’। ‘চাটিয়াল’ রাজকবিরা লেখেন ‘চাটকাব্য’। ‘চুটিয়ে’ প্রেম করা যায়, ‘চাটিয়েও’ যায় না কি? বিশেষ এই কলা কারও জন্মগতভাবে রপ্ত থাকতে পারে, ভাষার ক্ষেত্রে চমস্কি যেমনটা বলেছেন, কিংবা অর্জিতও হতে পারে, স্কিনার যেমনটা দাবি করেছেন। জাতীয় চাট্যকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েও মহান ও কার্যকর এই কলা সহজেই শেখা যেতে পারে।
জিহ্বার ফরাসি প্রতিশব্দ ‘লংগ’, ইংরেজি ‘ল্যাঙ্গুয়েজ’, বাংলায় (নারী/পুরুষের) ‘লিঙ্গ’, পশুর ‘লাঙ্গুল’ সমউৎসজাত ইন্দোইওরোপীয় শব্দ। কুকুর যেমন তার প্রভুকে দেখে খুশিতে লাঙ্গুল নাড়ে, প্রভুর পাদুকা দর্শনমাত্র ভৃত্যস্বভাব মানুষেরও লংগ বা জিহ্বা লকলক করতে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভু বা বসের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা ‘বেশক বে-আদবি’। চোখ নামালে প্রভুর জুতাই শুধু অধঃস্তনের চোখে পড়ে এবং তৎক্ষণার মনের টানে কিংবা প্রাণের দায়ে চাটতে শুরু করে দেয়। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের— স্লোগান ছিল ‘শত ফুল ফুটতে দাও!’। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী — স্লোগান হবে: ‘শত জুতা চাটতে দাও!’
প্রচুর চাটুকার থাকে যে নগরে, তার নাম ‘চাট্যপুর’ কিংবা ‘চাট্যগ্রাম’। কিছু দিনের জন্য চাটা বন্ধ থাকে যে জায়গায়, তার নাম ‘চাটখিল’। চাটলে ‘মোহর’ পাওয়া যায়, অর্থাৎ অর্থাগম হয় যে স্থানে, তার নাম ‘চাটমোহর’। আনন্দে যদি কেউ আটখানা হয়, তবে চেটে বা চাটিয়ে ‘চাটখানা’ হতে সমস্যা কী? তরুণ-তরুণীরা প্রচুর ‘চ্যাট’ করে কি সাধে? চ্যাট জিপিটি অন্য সব কিছুর মতো ‘চাটকর্ম’ বা ‘চাটকাম’ সহজ করে দিতে পারে। শেষোক্ত শব্দটি বিবিধার্থক, কারণ রসিক বাঙালি ‘কাজ’-কে ‘কাম’ বলে।
ব্যক্তি ও জাতির জন্য চাটা কি ক্ষতিকর? যতই ক্ষতিকরই হোক না কেন, ঐতিহ্য আর ধর্মের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। বিচিত্র রুচিহীন আওয়াজে দিনরাত কান ঝালাপালা, শব্দদূষণের কারণে বিচিত্র দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, কিন্তু গাড়ি বা মাইকের আওয়াজ সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে বলার সাহস বা গরজটুকু কারও আছে? আমার চিৎকার আমি করবো, আমার জিহ্বা আমি চাটবো, যার জুতা খুশি চাটবো, তোমার কী! ‘অঘারাম বাস করে অজ পাড়াগাঁয়, চাটা নয় হীনকর্ম কে তারে বোঝায়!
চাটার ভালো দিকও যে নেই একেবারে, তা কিন্তু নয়। চাটার কারণে বসদের জুতা কালি করার লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয় জাতীয়ভাবে, বিশেষ করে এই বর্ষায়, রাস্তার কাদা-পানি লেগে জুতা যখন বেশ নোংরা হয়ে যায়। লক্ষ লক্ষ আপনা স্বার্থ মিলেইতো জাতীয় স্বার্থ, নাকি? দুর্নীতি বা ঘুসের মতো চাটারও নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি কিংবা অর্থনীতিতে চাটার প্রভাব বা ‘ইমপ্যাক্ট’ নিয়ে গবেষণা-সেমিনার-কর্মশালা হওয়া জাতীয় প্রয়োজন। কার্যকরভাবে চাটা শেখানোর জন্য জিলায় জিলায় ‘চাটা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করার কথা ভাবতে হবে এখনই। একে অপরের জুতা চাটছে—এমন একটি গগনচুম্বী ভাষ্কর্য স্থাপন করা যেতে পারে চাটাবাগ কিংবা চাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চাটমল’ চত্বরে। জাতীয় চাট্যশালা কিংবা চাট্যকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে যেন বিলম্ব না হয়।
‘কপালের ফের, নইলে কী আর, জিহ্বাটির এমন ব্যবহার!’ চাটতে বাধ্য জিহ্বা মনে মনে বলে, হিন্দুদের গীতার দাবি অনুসারে পুনর্জন্ম যদি হয়, তবে বঙ্গদেশে এই শ্যালক চাটুকারদের জিহ্বা হয়ে যেন আর না জন্মাই। ইহুদী-খ্রিস্টান-মুসলমানদের গ্রন্থসমূহের দাবি অনুসারে শেষ বিচারের দিনে, প্রত্যেক চাটক-চাটুকারের জিহ্বা, আমি নিশ্চিত, মর্মান্তিক ফরিয়াদ জানাবে, পরোয়ার দিগারের সামনে মূর্ত হয়ে, তমিজের বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে: ‘ওমুক সারমেয়-পুত্রের জিহ্বা বানাইয়া কেন তুমি আমারে দুনিয়ায় পাঠাইছিলা, মাবুদ?’
চাটা দ্য বস! বছরের কোনো একটি দিনকে জাতীয় ‘চাটা দিবস’ ঘোষণা সময়ের দাবি। বেসরকারিভাবেও দিনটি পালিত হতে পারে। সবই সরকারকে করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই, পাবলিক-প্রাইভেট অ্যান্ট্রপ্রনরশিপও হতে পারে। কোন দিনটি চাটা দিবস হলে ভালো হয়? সেদিনটা অবশ্যই সরকারিভাবে ন্যাশনাল হলি (পবিত্র) ডে ঘোষিত হতে হবে। ভোর হতে না হতেই সারা দেশে লাউড স্পিকারে শোনা যাবে কান ঝালাপালা করা ‘চাটুম-চুটুম চ্যান্ড’ সঙ্গীত। প্রত্যুষে যার যার বসের বাড়ির সামনে চাটক সমাবেশে হাজির হয়ে ‘চা’-এ ডুবিয়ে/ভিজিয়ে (চট্টগ্রামের ভাষায় ‘চা-ত বোরাই’) ‘টা’ খেয়ে শুরু করতে হবে চাটা দিবস। তার পর শুরু হবে হেঁড়ে গলায় গান: ‘ওরে চাটক, ওরে আমার খাটাস, অসভ্যদের চাট মেরে দিন কাটাস!’ কিংবা ‘আমরা শক্তি আমরা বল, আমরা চাটকদল। মোদের জিবের তলায় ঘুরছে জুতা, উর্ধ্বে বসের পামসু-তল!’
এ চরণ দুটি দিয়ে আপাতত জাতীয় চাট্য-সঙ্গীত শুরু হলেও চাটিগ্রামের ‘চাটুলস’ ব্যান্ডের কোনো চাটিকারকে চাট্য-সঙ্গীতের চূড়ান্ত গীত ও সুর নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এমনভাবে তিনি চাটুল সুর ও চাটবাণী র্নির্বাচন করবেন, যাতে ‘চাটীয়তাবাদী’, ‘চাটামাত’ (চাটো মাৎ!) কিংবা চাটিউনিস্টরা শতদলীয় চাটাজোট গঠন করে ক্ষমতা জবরদখল করার পর বেজায় চটে গিয়ে (তাদের মতে) অতি দীর্ঘ ‘চাটামি’ আমলে রচিত এই চাট্য-সঙ্গীত পরিবর্তনের ধূয়া না তুলতে পারে। সর্বজনমান্যভাবে চাট্য-সঙ্গীত রচনা করা আজকাল কঠিন নয় মোটেই। চাটুল মানুষ দুই এক লাইন লিখে দিলে চা-টা খেয়ে শেষ করার আগেই ‘চাট জিপিটি’ বাকিটা করে দেবে।
অনতিবিলম্বে বাঙালিকে চাটার জি আই সনদ নিতে হবে, ইলিশ মাছ কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রার মতো। চাটুকারদের জিনমানচিত্রও তৈরি করা প্রয়োজন, জানতে হবে, শরীরে কোন বিশেষ জিন-ভূতের উপস্থিতির কারণে বাঙালি এমন উত্তম চাটাবাজ হয়ে উঠতে পেরেছে। বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে ভালো রকম চাটা দিয়ে দিবসটিকে আন্তর্জাতিক চাটা দিবসও করে ফেলা যেতে পারে? তার আগে দেশের যত বক্তিয়ার আছে, কলিম, সলিম, রফিক, সবাইকে দিয়ে চাটাদিবসের সপক্ষে দিনরাত মিডিয়ায় না বকাতে পারলে এইসব সুমহান উদ্দেশ্য হাসিল হবে না।
কোনো চাটবিদকে দিয়ে ‘চাটা চিরন্তনী’ শিরোনামে একটা চাটুবাক্য সঙ্কলন করা আশু প্রয়োজন। এই সংকলনটি হবে চাট্যদেশের সংশোধন-অযোগ্য চাটাবিধান। চাটার আরও কী কী অপরিহার্য ‘শৃঙ্গার’ থাকা উচিত, সেগুলো জাতীয় চাটা সম্মেলনে স্থির করে নিয়ে ‘চাটবুক’ বা ‘চেটোখাতায়’ লিপিবদ্ধ করে আন্তর্জাতিক চাটা সম্মেলনে পেশ করতে হবে। সরকারিভাবে চেষ্টা করতে হবে যাতে বাঙালির ‘চাটা’ অনতিবিলম্বে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। চাটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি একবার হস্তগত হলে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে ডেকে এনে চেটুন বাগিচা কিংবা চেটে-বাংলা নগরে আন্তর্জাতিক চাটা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে দেরি করা চলবে না। ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্যে কোনো না কোনো বংশবদ ‘চাটিম’ পাওয়াই যাবে।
‘চাটপট’ এগুলো করতে হবে—গড়িমসি, দীর্ঘসূত্রতা করলে, অন্য দেশ প্রস্তাব করে ফেলতে পারে আমাদের আগে, বিশেষ করে মমতাদির পশ্চিববঙ্গতো তক্কে তক্কে আছে। ইনি কিংবা এনাদের মতো তিনি কিংবা তেনাদেরও, অর্থাৎ দুই বাংলার নেতানেত্রীদেরই চাটনী খুব প্রিয়। বিরানী-চাইনিজ খেতে খেতে মুখ যখন মেরে আনে, চাটনী মুখে দিলে রুচিটা ফিরে আসে। ধর্ম কিংবা দেশ যার যার, চাটাতো সবার।
তবে কী জানেন, আমার কথায়তো কিছু হবে না, প্রভু কিংবা প্রভুরা যা বলেন, তাই হবে। ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’ কিনা। প্রভূর পাদুকা-চাটামৃত যেন অন্তিম শয়ানে এই অধম এবং তার অধস্তন চৌদ্দ পুরুষের একমাত্র আরাধ্য হয়। চাটিস্তান জিন্দাবাদ! জয় চাট। চাটন চিরজীবী হোক। ছোট মুখে চ্যাটাং চ্যাটাং অনেক বড় কথা বলে ফেললাম, আশা করি অধমকে প্রভু নিজগুনে ক্ষমা করবেন। ‘আমার কথাটি ফুরোলো, চটে গাছটি মুড়োলো।’ ‘রেখো মা চাটারে মনে, এ চাটুতি করি পদে!’ অমর চাট্যবাণী দিয়ে পিন্ডি চাটকানো চাটুকথার ইতি টানলাম।