একাত্তরের বাহান্ন, বাহান্নের একাত্তর: মুক্তির স্বপ্ন আর কতদূর

এ বছর যেমন বাহান্নর ভাষা সংগ্রামের ৭১ বছর পূর্তি, ঠিক তেমনি একাত্তরের মুক্তিসংগ্রাম ৫২ বছর পূর্ণ করল। কিন্তু সম্মিলনীর অপরূপ মেলবন্ধনের এ সময়ে দাঁড়িয়ে একটি প্রশ্ন মানসপটে উঁকি দিচ্ছে বারবার, আমাদের মুক্তির স্বপ্ন আর কতদূরে?

এম আর খায়রুল উমামএম আর খায়রুল উমাম
Published : 21 Dec 2023, 11:41 AM
Updated : 21 Dec 2023, 11:41 AM

বাঙালির জীবনে কিছু মাস-দিন-সময় আছে, যে দিন কিংবা মাস কিংবা সময়ে তারা যা নয়, তারা যেমন নয়, নিজেদের তেমন প্রমাণ করার প্রতিযোগিতায় নামে। হঠাৎ সৃষ্ট  প্রতিযোগিতার এ স্রোতে অনেকে হারিয়ে যায়, পিছিয়ে পড়ে। আবার যখন স্রোতের টানের সঙ্গে চলা মানুষগুলো হারিয়ে যায়, তখন পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো ধীরগতিতে সামনে এগিয়ে চলার পথ পায়। ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এদুটি মাসেই বাঙালি কখনও মাতৃভাষা রক্ষার কখনওবা দেশ রক্ষাকারী হিসেবে ঐতিহ্যের ধারক-বাহক সাজার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় নিবেদিত হয়ে পড়ে। এতে করে বাংলা ভাষার বা স্বদেশের কি লাভ হয় বা বাংলা কিংবা দেশের কি উন্নয়ন ঘটে তা কেউ বিবেচনা করে বলে বোধ হয় না।

এবছর ইতিহাসের এক অপরূপ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা বিজয় দিবস, বিজয়ের মাস উদযাপন করছি। এবছর যেমন বাহান্নর ভাষা সংগ্রামের ৭১ বছর পূর্তি, ঠিক তেমনি একাত্তরের মুক্তিসংগ্রাম ৫২ বছর পূর্ণ করল। কী অদ্ভুত এক ইতিহাস সম্মিলনী। কিন্তু সম্মিলনীর অপরূপ মেলবন্ধনের এ সময়ে দাঁড়িয়ে একটি প্রশ্ন মানসপটে উঁকি দিচ্ছে বারবার। আমাদের মুক্তির স্বপ্ন আর কতদূরে? 

আমাদের ভাষাসংগ্রামের ঐতিহ্য আজ দেশ ছেড়ে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্ব দিনটি পালন করছে। বাঙালির এমন অর্জন দ্বিতীয়টি আর আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু বাঙালি কি নিজেরা নিজেদের এ অর্জনের প্রতি ন্যূনতম সম্মান রাখতে সক্ষম হয়েছে? যে বাংলা ভাষার জন্য একদিন বাঙালি সংগ্রাম করেছিল, তার বর্তমান অবস্থা এবং বাংলাদেশে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের মাতৃভাষা রক্ষার জন্য আমাদের অবদান হিসেব করা আজ জরুরি হয়ে পড়েছে। অতীতে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য বিদেশিদের কাছ থেকে যে ব্যবহার আমরা পেয়েছি আজ আদিবাসীদের জন্য আমাদের অবস্থান অনুরূপ পর্যায়ে আছে কিনা তা একবার পেছন ফিরে দেখাও খুবই জরুরি। 

জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, ১৯৭২ সালে সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের সরকারি যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল তা ইংরেজিতে ছিল। ভাষা সংগ্রামের মাত্র বিশ বছরের মাথায় বাহান্নর অবস্থা এমন হলে একাত্তরে বাহান্নর কী অবস্থা তা সহজে অনুমান করা যায়। আশা করা যায় বর্তমানে এবং অদূর ভবিষ্যতে আমাদের অনেক প্রত্যাশা, অনেক ক্ষোভ, অনেক অভিমান, অনেক ব্যর্থতার মৃত্যু হবে। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসটাই ভাষার মাস হিসেবে, বইমেলার মাস হিসেবে বেঁচে থাকবে। একদল বই লিখবে আর একদল পথে প্রান্তরে ভাষা সংগ্রামকে ভাষা আন্দোলনে রূপান্তরের কথামালা শোনাবে। সাধারণ মানুষ এসব মানুষের যুক্তিগ্রাহ্য সব কথা শুনবে, নিজেদের বিবেকের দ্বারা দংশিত হবে কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে যে তিমিরে সাধারণ মানুষ ছিল সেখানেই থেকে যাবে। কারণ এদের খুব যে কিছু করার সুযোগ আছে তা বিশ্বাস করা কঠিন। একসময় এরাও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা মানুষগুলোর মতোই সব কিছু ভুলে নতুনের সন্ধানে ছুটে চলবে। এই যেমন ফেব্রুয়ারি মাস যেমন ভাষার মাস ঠিক তেমনি মার্চ মাস আসলেই সবাই একযোগে স্বাধীনতার মাস পালনে নিবেদিত হয়ে পড়বে। ভাষার মাস আগামী বছরের জন্য তুলে রাখবে। মার্চের শেষে আসা ডিসেম্বরে আবার ফেব্রুয়ারি, মার্চ সবকিছু ভুলে যাবে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর কথা ভুলে যাবে। স্বাধীনতার স্বপ্নকে ভুলে যাবে, গণহত্যার কথা ভুলে যাবে, মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর কথা ভুলে যাবে। বাংলাকে মর্যাদাবান ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়কে তুলে রাখবে, জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের ষষ্ঠ ভাষাকে নিজেরাই সম্মান করতে ভুলে যাবে। সব ভুলে মেতে উঠবে বিজয়ের আনন্দে, আলোকোজ্জ্বল দিবস উদযাপনে।

বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য, বাঙালি দার্শনিকেরা নিজ ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। বিদেশি ভাষায় দেশি দার্শনিকরা যতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তার এক শতাংশও বাংলায় করেন না। ফলে একাত্তরে দাঁড়িয়ে থাকা বাহান্ন কিংবা বাহান্নতে দাঁড়িয়ে থাকা একাত্তরে দেশের উচ্চশিক্ষা এবং উচ্চ আদালতে বাংলাকে পাশ কাটিয়ে চলা হচ্ছে। শুধু পাশ কাটিয়ে চলা হচ্ছে বললে অন্যায় করা হবে। প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষার অবস্থান এখন কোথায় তার জন্য আণুবীক্ষণিক সমীক্ষার প্রয়োজন। ভাষা বিবেচনায় দেশে আজ আকাশছোঁয়া বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা এখন বিত্তহীনের ভাষা হয়েছে। গ্রামের ভাষা হয়েছে।

বাংলাদেশে কাজীর খাতায় অনেক কিছু যেমন আছে তেমনি বাংলার জন্যও সবকিছু আছে। সাধারণ মানুষের জন্য, বাংলা ভাষার জন্য একের পর এক উপহার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রাখা হয়নি শুধু চাকরির বাজার, বাণিজ্যের ক্ষেত্র আর মানসম্মত বাংলা শিক্ষার সুযোগ। ভাবলে হতবাক লাগে, দেশে যে শত শত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে, সেগুলোর কয়টিতে বাংলা ভাষা পড়ার ব্যবস্থা আছে? সবাই জানে বাংলা পড়ে জীবনটাকে তৃতীয় শ্রেণির একটা জীবনে পর্যবেশিত করার কোনো মানেই হয় না। আবার যারা ভাষার মাসে বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন তারা তা নিজেদের সন্তানদের জন্য করেন না। সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য তারা মাতৃভাষা বাংলার কথা বলেন এবং বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন কারণ ততদিনে তাদের নিজের সন্তানদের মাতৃভাষা ইংরেজি হয়ে গিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী বাস্তবতা বিবেচনায় ইংরেজি ভাষা আজ দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে উঠেছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বত্র ইংরেজি ভাষার ব্যবহার বেড়েছে। বিপরীতে আমাদের করণীয় যা ছিল সেক্ষেত্রে আমরা কি করলাম? বিশ্বে বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের চাইতে অনেক কম মানুষ ব্যবহার করে এমন ভাষার স্বীকৃতিও আমরা দেখি। এরা মাতৃভাষার জন্য রক্ত না দিলেও ভাষার জন্য তাদের ভালোবাসার কোনো ঘাটতি নেই। মাতৃভাষার প্রতি সম্মানের কোনো কমতি নেই। বিশ্বগ্রাসী ইংরেজি ভাষা হলেও মাতৃভাষাকে তারা পেছনে ফেলে রাখেনি। বিপরীতে বাঙালি রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার্থে প্রাণ দেবার পরেও বাংলাভাষাকে নিজেদের মধ্যে অচ্ছুত ভাষা করে রেখেছে। বারো মাসের একটা মাসে, একটা দিনে শুধু বাঙালি মনে করে বাংলা তার মাতৃভাষা। তারপর শুরু হয় সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের ইংরেজিতে সরকারি নির্দেশ জারির মতো কার্যক্রম। নীতিনির্ধাবকদের সন্তানদেরকে বহুদিন ধরেই ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে। বিদেশে সেকেন্ড হোম করার প্রতিযোগিতা চলছে। আর এসবের ফাঁকে প্রতি বছর দেশ থেকে লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। যে যত বড় দেশপ্রেমিক তার ঝোলা তত বড়। সরকারি সংস্থা যখন বলে শুধু হুন্ডির মাধ্যমে বছরে দেশ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে তখনও কারো কিছু দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। তেমনি কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায় না। দেশে এরা সাধারণ জনগণের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণকারী। তাই এরা দেশ, মানুষ, মাতৃভাষার উন্নয়নে নিবেদিত হবেন এমন আশা করার কোনো সুযোগ আছে বলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

ক্ষমতাবলয়ের মধ্যে থাকা নিজেদের প্রিয় মানুষগুলোর সার্বিক কল্যাণ, ভালো থাকা, অভিজাত জীবনযাপন নিশ্চিত করা, সন্তানদের বিদেশে শিক্ষার ব্যবস্থা করা, চৌদ্দ পুরুষের রাজত্ব নিশ্চিত করাই যেন আজ প্রাথমিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। প্রিয় মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা হলে তারপরই তো সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তা করার সুযোগ আসবে। একাত্তর যখন বাহান্ন পূর্ণ করেছে তখনও সরকার ক্ষমতাবলয়ের মধ্যে থাকা মানুষদের ভাগ্য নিশ্চিত করতে পারেনি। সাধারণ জনগণকে শিখণ্ডী বানিয়ে ক্ষমতাবানদের ভাগ্য পরিবর্তনে আরও কত উন্নয়ন প্রয়োজন তার সীমা-পরিসীমা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। বিপরীতে দেশের সাধারণ জনগণ ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ পোস্টার বুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ভালোই আছে, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করার দাবি নিয়ে ভালোই আছে। সাধারণ জনগণের আসলে ভালো না থেকে কোনো উপায় নেই। সাধারণ কিছু পাঠ্যবিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাই নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিচ্ছে, যদিও তা সংশোধন করা হবে একটি বছর পর। সরকার যেহেতু শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ করে থাকে। কোটি কোটি পাঠ্য বই আর তা ছাপাতে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়ে থাকে। সেই পাঠ্যবই তো বললেই সংশোধন করা যাবে না। যারা এ কর্মটা করেছেন, তারা যথেষ্ট ক্ষমতাবান, তাই কাউকে কিছু বলা যাবে না । তাই মরতে মরণ সানাইদারের হোক।

সাধারণ জনগণের জন্য একে তো রয়েছে সাধারণ শিক্ষা তার উপর সে শিক্ষার মাধ্যম বাংলা। এ শিক্ষা দেশ, জাতির কি উপকার করতে পারবে? তাইতো দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত কত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চলেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত জনেরা কিন্তু কোনো সুফল বয়ে আনতে পারছেন না বরং বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের মাথা পরিবর্তনের মোড়কে কোচিং, প্রাইভেট টিউশনি আর গাইড বইয়ের চাপে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। শতভাগ পাশের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। মানহীন শিক্ষিত বেকারদের জন্য নির্ধারিত চাকরির বাজারে বিদেশ নির্ভর ব্যক্তি ও শিক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মাতৃভাষার জন্য রক্ত দেওয়া ভাষার বর্তমান অবস্থা এখন কিন্তু এখানে এসেই দাড়িয়ে আছে। প্রকৃত মুক্তির ভাবনা থেকে ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র এখন অনেক দূরে সরে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা এখন শুধু এক মাস স্বপ্নের মধ্যে বাস করে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে তাদের দায়িত্ব শেষ করে। তারপর অপেক্ষা শুরু হয় আবার ঘুরে কবে ভাষার মাস আসবে। গর্বের ৭২ ইঞ্চি ছাতি নিয়ে তেনারা আবার জাতির সামনে দাঁড়াবে।

এখন তো আবার ভাষা দিবস, শহীদ দিবস নয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের গর্ব সীমাহীন। কিন্তু বিশ্বে প্রতিনিয়ত যে সব মাতৃভাষা বিলীন হয়ে যাচ্ছে তার কাতারে বাংলাকে আমরা নিয়ে যাবার দায়িত্ব পালন করছি কিনা সে ভাবনার সময় এসেছে। বইমেলায় বই প্রকাশ আর বই বিক্রির হিসেব প্রদান বাংলা একাডেমির বাংলা ভাষা রক্ষার একমাত্র কার্যক্রম বিবেচনা আমাদের কতটা প্রশান্তি দিতে সক্ষম তা বোধগম্য হয় না। প্রয়োজন সর্বত্র বাংলা ভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা, বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে দেশ-বিদেশে যে সব উন্নত বিষয়, উন্নয়নের বিষয়, অগ্রগতির বিষয় প্রকাশিত হচ্ছে তা বাংলায় অনুবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা। ইংরেজি ভাষা প্রয়োজনীয় মনে হলে এভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা কিন্তু কোনোভাবেই ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাকে উৎসাহিত করা থেকে বিরত করা। রাজনীতিবিদরা চাইলে কয়েক হাজার অনুবাদকের পদ সৃষ্টি করে বাংলাকে সমৃদ্ধ করতে পারে। যে কোনো মানুষ মাতৃভাষায় সমৃদ্ধ হলে বিদেশি ভাষা রপ্ত করা সহজ হয়ে যায়।

আমাদের মেধাবী সন্তানরা এখনো বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে অনেক দেশের ভাষা শিক্ষার পর উচ্চশিক্ষা শেষ করে। এটি যদি সম্ভব হয় তবে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ কি হচ্ছে? একাত্তরে দাঁড়িয়ে বাহান্নতে কিংবা বাহান্নতে দাঁড়িয়ে একাত্তরে ভয়মুক্ত শঙ্কাহীন চিত্তে আমরা কী আমাদের জাতিগত মুক্তির পথকে ত্বরান্বিত করতে পারি না?