বৈধ অর্থে কেন পাচারের দায় থাকবে প্রবাসীদের?

দেশ থেকে যারা তাদের অর্জিত বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বৈধ অর্থ-সম্পদ বিদেশে নিয়ে আসছেন সেটাকেও পাচার বলা হচ্ছে। আসলে কি তাই?

মঞ্জুরে খোদামঞ্জুরে খোদা
Published : 7 Feb 2023, 12:10 PM
Updated : 7 Feb 2023, 12:10 PM

বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে আমরা কানাডায় লুটেরা ও বেগমপাড়াবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। এই সংগ্রামকে ঘিরে কিছু প্রশ্ন ও বিতর্ক তৈরি হয়, সেগুলো হচ্ছে-

  • সরকার যদি বৈধভাবে বিদেশে অর্থ আনতে বাধা দেয় তাহলে তো তা হুন্ডি ও পাচার হয়েই আসবে। কারণ বৈধভাবে একজন ব্যক্তি দেশ থেকে বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার ডলারের বেশি নিতে পারে না।

  • যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করে কানাডার অভিবাসী হয়েছেন তারাই কি শুধু খারাপ? আরও অনেকে যারা অনৈতিক জীবনযাপন করছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য নেই কেন?

  • কেউ কেউ বলেন দেশের ইস্যু বাইরে কেন? সমস্যা তো দেশে, এগুলো নিয়ে এখানকার কমিউনিটিতে বিভেদ-বিতর্ক করার দরকার কী? ইত্যাদি।

কিছু মানুষ এসব আলাপ-বিতর্কে ব্যস্ত! কে ছোট চোর, কে বড় চোর? তাকে বললে, ওকেও কেন বলা হবে না? অনেকে মূল ইস্যু বাদ দিয়ে ওকে, তাকে, যদি, কিন্তু, তাহলে নিয়ে ব্যস্ত হলো!

গ্লোবাল ফাইনান্স ইন্টিলিজেন্স (জিএফআই) একটি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এদের কাজ প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে থেকে কি পরিমাণ অর্থ, কোন প্রক্রিয়ায়, কোন কোন দেশে পাচার হয় তার গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা। সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকেও আমরা এবং বিশ্ববাসী এসব তথ্য জানতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)-এর পানামা ও প্যারাডাইস পেপারেও বাংলাদেশের অর্থপাচারের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তারমানে অর্থ পাচারের সংবাদ আমরা দেশ থেকে নয় বিদেশ থেকে জানতে পারি। ‌এমন সময় একশ্রেণির মানুষ এমন অহেতুক বিতর্ক জুড়ে দেয় যে, তাতে বিস্মিত হতে হয়। তবে এ বিতর্ক আপাত নির্বোধ মনে হলেও তা আসলে নিরীহ নয়, উদ্দেশ্যমূলক।

বিতর্ক হয়– কে পাচারকারী আর কে পাচারকারী নয় এই বিষয়ে। যারা তাদের বৈধ অর্থ নানাভাবে বিদেশে নিয়ে আসেন তাদেরকেও কেউ কেউ পাচারকারী বলে অভিহিত করে কূটতর্ক জুড়ে দেন। ওই বিতর্কের জবাব দিতে লুটেরাবিরোধী মঞ্চ, কানাডার পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়। তা হচ্ছে, যারা বা যে সব ব্যক্তির চরিত্র-কর্মকাণ্ড সমষ্টি স্বার্থের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতি করে, যারা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও সম্পদের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। এখানে পরিষ্কার, যে সব ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গ পরিকল্পিতভাবে, সূদুরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে সমষ্টির স্বার্থের ক্ষতি করে, সাধারণ মানুষের ব্যাংকের আমানত আত্মসাৎ করে, নামে-বেনামে অবৈধ সম্পত্তির মালিক হয়, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলা আছে, যাদের সাজা হয়েছে, আত্মগোপনকারী পলাতক আসামী তাদের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন। এখানে প্রচলিত কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ ও পক্ষ-বিপক্ষ নেই।

আমরা এখানে ব্যক্তির চরিত্র, ব্যক্তির বিশ্বাস ভঙ্গ, ব্যক্তির অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলছি না। এসব প্রশ্ন যারা করছেন তারা আসলে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর। আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, কোনো প্রতিহিংসা থেকেও নয়। আপাত কোনো ব্যক্তির অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চরিত্রের পক্ষে সাফাই গাওয়া নয়, বিরোধীতাও নয়। তারপরও ওই বিতর্ক সেখানে থেমে থাকেনি।

এখানে দুটো বিষয় রয়েছে। এক, নিজের/নিজেদের বৈধ ব্যক্তিগত অর্থ-সম্পদ স্থানান্তর, অন্যটি হচ্ছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে, প্রতারণা করে, অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ব্যবসা-বিনিয়োগের নামে শত-শত বা হাজার-হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মসাৎ করে ওই অর্থ বিদেশে পাচার করে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এখানে ব্যক্তির বৈধ ব্যক্তিগত সম্পদের ভালমন্দ নিয়ে আমরা কথা বলছি না। কারণ ব্যক্তির বৈধ অর্থ-সম্পদের স্থানান্তর অন্যের স্বার্থের ক্ষতি করে না। দেশীয় আইনে প্রবাসীদের অর্থ স্থানান্তরের আইনি জটিলতা ও বাধ্যবাধকতার স্তর থাকায় সেটা তারা করতে পারছে না। একটার সাথে অন্যটার তুলনা চলে না। এই ভিন্ন দুই বিষয়কে অভিন্ন সমীকরণে দেখা মতলববাজি বৈ কিছু নয়।

পাচার নিয়ে যে সংজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছি, তার সাথে এমন ভাবনা সংগতিপূর্ণ নয়। ব্যক্তি ও পারিবারিক বৈধ অর্থ-সম্পদ ব্যক্তির আইনি হক। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে, মানুষের আমানত আত্মসাৎ করে এটি অর্জিত হয়নি। তবে যেহেতু বিদেশে অর্থ নেয়ার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে সেক্ষেত্রে তা না মানা অন্যায়(?) কিন্তু এ দুটোকে অভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা সমীচীন নয়। এটা অযৌক্তিক আইনি কাঠামোর দায়।

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের আলাপ অনেক পুরনো। তবে এই প্রবণতা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি। পাচারবিরোধী আন্দোলন যখন সামাজিক রূপ নিচ্ছে তখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশ-বিদেশে এই আলাপকে সামনে আনা হচ্ছে।

দেশ থেকে যারা তাদের অর্জিত বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বৈধ অর্থ-সম্পদ বিদেশে নিয়ে আসছেন সেটাকেও পাচার বলা হচ্ছে। আসলে কি তাই? বাংলাদেশের কোনো আইনি কাঠামো এমন ধরনের বক্তব্য প্রদান করেনি। সেটা পাচার বা অপরাধ কিনা সেটা ঠিক করবে আদালত। কারণ এ বিষয় নিয়ে যৌক্তিক আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

গত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি থাকলে দেশের আয়কর রিটার্নে দেখাতে চাইলে ১৫ শতাংশ আয়কর দিতে হবে। এ ছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির ওপর ১০ শতাংশ এবং পাচার হওয়া টাকা দেশে আনলে সেই টাকার ওপর ৭ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে দেখাতে পারবেন যে কেউ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে না সরকার। তাঁকে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।” সংসদের এ বিল পাশ না হলেও এমন ভাবনা আলোচিত হয়েছে। কিন্তু তা ছিল কাদের স্বার্থে? সেটা ছিল যারা তাদের অবৈধ অর্থসম্পদ বিদেশে পাচার করে বেগমপাড়া গড়েছে তাদের জন্য।

এখানে নীতিনির্ধারকরা বলতে পারেন যে অর্থ দেশে থাকবে সে অর্থের ক্ষেত্রে সরকার ছাড় দিচ্ছে কিন্তু যে অর্থ বিদেশে যাবে তা বৈধ হলেও এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তাহলে গত সংসদে বিদেশে যাদের অবৈধ সম্পদ আছে সেক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে যে বৈধ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল তা কিসের ভিত্তিতে, কাদের স্বার্থে? সে সম্পদও তো দেশে ফিরে আসত না, তাই না?

বৈধ অর্থের জন্য মানুষ কর দেয়। কম কর দিয়ে অবৈধ, অপ্রদর্শিত ও পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ থাকলে কেন সে অসাধু পথ অবলম্বন করবে না, বলতে পারেন? এতে কম কর দিয়ে অধিক লাভবান হওয়া যাবে। তারমানে সরকার নাগরিকদের চোরাই পথ অবলম্বনে উৎসাহিত করছে। এতে যারা সৎ উপায়ে, পরিশ্রম করে, সরকারকে কর দিয়ে, আয়-উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে তারা নিজেদের বঞ্চিত-প্রতারিত মনে করতেই পারেন।

১০ শতাংশ কর দেয়ার মাধ্যমে সরকার কালো টাকা সাদা করার জন্য ১৮ বার সুযোগ দিয়েছিল কিন্তু খুব একটা ফল পাওয়া যায়নি। পাচারের অর্থ ফেরতের ক্ষেত্রেও ফল পাওয়া যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর পাচারকারীদের এমন সুযোগ দেয়া হবে দেশের সৎ উদ্যক্তা ও করদাতাদের জন্য হবে বড় আঘাত। একে সুযোগ না বলে বরং অপরাধের দায়মুক্তিই বলা যায়।

বিদেশে শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণ, কেনাকাটা নিষিদ্ধ নয় কিন্তু এক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে কিসের ভিত্তিতে? একজন ব্যক্তি বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার ইউএস ডলার পর্যন্ত বিদেশে নিতে পারেন। কিন্তু মানুষ চিকিৎসা-ভ্রমণের জন্য পরিবার নিয়ে যখন বিদেশে যায় তখন নিশ্চয়ই এর থেকে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে যান। ওই অর্থ নিশ্চয়ই বৈধ পথে নিয়ে যান না তারা। মানে এখানে কিন্তু আরেকটা দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয়ে আছে।

কিন্তু যারা বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে তাদের বিষয়টি তো আলাদ, তারা তাদের বৈধ অর্থ-সম্পদ ওই ঠিকানায় স্থানান্তর করবে সেটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে আইন বাধা হলে তারা অনৈতিক পথের আশ্রয় নেবে, নিচ্ছে। সেটা কি বন্ধ করা গেছে, যাবে? কিন্তু মাঝখান থেকে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। সরকার বড় অংকের কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দুই বছর আগে টিআইবির এক গবেষণায় বলা হয়, দেশের ২১টি খাতে ৪৪টি দেশের ২ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি নাগরিক কাজ করছে। এর মধ্যে কর দিচ্ছে মাত্র ৯ হাজার ৫শ জন। বাকি ২ লাখ ৪১ হাজার অবৈধ। এরা দেশ থেকে বছরে ২৬ হাজার ৪শ কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। যা প্রায় পদ্মা সেতুর মোট ব্যয়ের সমান। এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে ১২ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলার। সবমিলিয়ে বিদেশি কর্মীদের মোট বার্ষিক আয় সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার। প্রায় সমপরিমাণ অর্থ ঋণের জন্য সরকার আইএমএফের কাছে আবেদন করেছে।

অবৈধভাবে বসবসকারী বিদেশি নাগরিকরা যদি বাংলাদেশ থেকে তাদের আয় বিনা করে নিজেদের দেশে নিয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রবাসীরা কেন পারবে না? স্বদেশী হিসেবে তাদের এ সুযোগ আরও অধিক থাকার কথা। নয় কি?

কানাডা সরকার আগামী দু-বছর বিদেশীদের জন্য কানাডায় বাড়ি-ঘর কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কানাডা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণ হচ্ছে, গত কয়েক বছরে কানাডায় বাসা-বাড়ির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার মনে করছে, বিদেশ থেকে ধনী ব্যক্তিরা টাকা নিয়ে এসে এখানে বাড়ি-সম্পদ করছে, আর সে কারণেই এগুলোর দাম বাড়ছে। বাড়ির শুধু দাম বাড়ছেই না, সাথে সাথে বাসা ভাড়াও অত্যাধিকহারে বাড়ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই বাসা-বাড়ির দাম না বেড়ে বরং কমেছে এবং কমতির দিকে। এই অবস্থা কতদিন থাকবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দ্বিধাগ্রস্থ হলেও আপাত ফল দিতে শুরু করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কানাডা সরকার তার দেশের নাগরিকদের স্বার্থ-সামর্থ্য ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের উচিত যারা তাদের বৈধ অর্থ-সম্পদ বিদেশে নিয়ে যেতে চান, বিনিয়োগ করতে চান, সেক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত আইন তৈরি করা। মানুষ যখন তার/তাদের বৈধ সম্পদ (অর্জিত ও উত্তরাধিকাসূত্রে প্রাপ্ত) স্থানান্তর করতে অপারগ হয় তখন সে অবৈধ পথ অবলম্বন করে। অবৈধ অর্থ বৈধ করতে যদি সরকার নানা সুযোগ দিতে পারে তাহলে এই বৈধ অর্থের ক্ষেত্রে কেন দেয়া হবে না? হুন্ডি বা অন্যভাবে অর্থ বিদেশে নিয়ে গেলে সরকারের লাভ হয় না কিন্তু তাদের একটি অংশের অবৈধ উপার্জনের পথ তৈরি হয়।

আইএলও-এর এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসীরা প্রতি বছর যে পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠান তার মধ্যে ৪০ শতাংশ আসে ব্যাংকিং চ্যানেলে। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ নগদ আকারে এবং অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ আসে হুন্ডির মাধ্যমে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার একটা বড় অংশই আসে হুন্ডির মাধ্যমে। সেটা দেশের জন্য একটা বড় সমস্যা। ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এমনটা ঘটছে। এ অবস্থা কাটাতে সরকারকেই উদ্যেগ নিতে হবে।

প্রবাসী যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী তাদের জন্যও এমন আইন বাধা হবে। কারণ তারা যখন দেশ থেকে মুনাফা বা কোনো কারণে তাদের বিনিয়োগ তুলে আনতে চাইবে এই বাস্তবতা কোনোভাবেই তাদেরকে উৎসাহিত করবে না। এক্ষেত্রে সরকারকে বিষয়টি পুনর্মুল্যায়ন করতে হবে। পাচারকৃত অর্থ বৈধ করতে আইন করতে চান কিন্তু প্রবাসীদের বৈধ অর্থ বিদেশে নিয়ে যেতে কোনো স্থায়ী নির্দেশনা রাখছেন না, বিষয়টি খুব রহস্যজনক। তার মানে কি দাঁড়াচ্ছে, সরকার অবৈধ অর্থের মালিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল বৈধ অর্থের প্রতি নয়!