দশকের পর দশক একটি নিপীড়িত নিষ্পেষিত বঞ্চিত জাতি নিজভূমে পরবাসী। বিশ্বের মোড়লরা কতবার ক্যাম্প ডেভিড, অসলো, জাতিসংঘে রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সম্ভাবনা, শান্তির ললিতবাণী শোনাল; কিন্তু এখনও ফিলিস্তিনিরা বিশ্বে এতিম।
Published : 09 Oct 2023, 05:11 PM
গত শনিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের রকেট বৃষ্টির মাধ্যমে শুরু হওয়া এই হামলা-পালটা হামলা নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে এনেছে গাজায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে টানা গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে হামাসের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামাসও পাল্টা গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে।
হামাস যে এভাবে অতর্কিতে ইসরায়েলের ওপর এমন আক্রমণ চালাবে, সেটা ইসরায়েলের ভাবনায় ছিল না। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নতুন কোনো বিষয় নয়। এটা বিশ্বের চলমান দীর্ঘতম সংঘাতগুলোর একটি। সেই সংঘাত নতুন মোড় নিয়েছে গত শনিবার ভোরে। হঠাৎ করেই ফিলিস্তিন ভূখণ্ড থেকে হাজার হাজার রকেট ছুটে যায় ইসরায়েলে। হামাস সদস্যরা ঢুকে পড়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। নির্বিচার বিমান হামলায় তাৎক্ষণিক এর জবাব দেয় ইসরায়েলও।
আগের সব সংঘাতে ইসরায়েলের শক্তির কাছে একতরফা মার খেয়ে গেছে ফিলিস্তিনিরা। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। ইসরায়েলের ঘরের মধ্যে ঢুকে তাদের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামনাসামনি লড়াই করছে হামাস যোদ্ধারা। রোববার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৮টি জায়গায় লড়াই চলছিল।
হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে, দেশের দক্ষিণে বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইসরাইলি সৈন্যদের সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে তাদের।
প্রশ্ন হলো, ‘ইসরাইলের ভূখণ্ড’ নিয়ে! কোনটা ইসরাইলের ভূখণ্ড? এই ভূখণ্ড তারা পেল কোথায়? কে, কারা তাদের দিল? এটা তো ফিলিস্তিনেরই ভূখণ্ড, তারা দখল করে ছিল, আছে। ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ড উদ্ধার করেছে মাত্র। যদিও এই অসম যুদ্ধে তারা টিকতে পারবে না, তাদের হয়তো এখান থেকে চলে যেতে হবে। তবে ক্ষতি হবে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন।
ইরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “হামাস সদস্যদের খুঁজতে গাজার প্রতিটি কোণে তল্লাশি চালানো হবে। তাদেরকে এবার এমন শায়েস্তা করা হবে যা আগে কখনো ঘটেনি। তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে যাতে তারা আর কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।”
ইসরায়েল-হামাস উভয় পক্ষ হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। দুই পক্ষের এগারো শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজার হাজার। শতশত সৈন্যকে জিম্মি করা হয়েছে। ইসরায়েল গাজার কেন্দ্রস্থলে এবং জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে বিমান হামলা করছে। ইতোমধ্যেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে।
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বিশ্বের অন্যতম সেরা গোয়েন্দা বিভাগ, তারা হামাসের এত বড় একটা হামলার বিষয়ে আগেভাগে কিছুই জানতে, বুঝতে পারল না সেটা অবিশ্বাস্য! নাকি এখানে অন্য কোনো সমীকরণ আছে। যার মধ্যে দিয়ে তারা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের সংগ্রামকে দুর্বল ও বিনাশ করে দিতে চায়? ওই প্রশ্নের উত্তর পেতে কিছুটা সময় লাগবে না। অতীতে তাদের গোয়েন্দাদের হাতে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতা। কখনো ড্রোন, জিপিএস ট্র্যাকার, মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ, বিষাক্ত রাসায়নিকের মাধ্যমে এ কাজ করেছে তারা।
মার্কিন-ব্রিটিশ অক্ষ আগের মতোই ইসরাইলের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে চলেছে। এই ঘটনায় তারা ইরানের ইন্ধনের কথা বলছে, তাদের দোষারোপ করছে। আর ইসরায়েল তার সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে এবার মরণ কামড় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের ওপরও কি এবার হামলার নিশানা করা হচ্ছে? ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কি আরও সংকুচিত হয়ে পড়বে। বিশ্ব আরও এক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে প্রবেশ করল। পরিস্থিতি ভয়াবহ!
কোনো দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন তা নিক্তি দিয়ে চুলচেরা মাপতে বিশ্বের মোড়লরা খুব উৎসাহী। ইসরাইলের ভেতরে হামলা চালানো হামাসের হয়তো হঠকারিতা। কিন্তু দশকের পর দশক একটি নিপীড়িত নিষ্পেষিত বঞ্চিত জাতি নিজভূমে পরবাসী। বিশ্বের মোড়লরা কতবার ক্যাম্প ডেভিড, অসলো, জাতিসংঘে রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সম্ভাবনা, শান্তির ললিতবাণী শোনাল; কিন্তু এখনও ফিলিস্তিনিরা বিশ্বে এতিম। সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকতে যে আশ্রয়টুকু ছিল তা-ও এখন নেই। আরবরাও কেটে পড়ছে। ‘সশস্ত্র গ্রুপ’, ‘সন্ত্রাসী’, ‘চরমপন্থী’ বলে অভিহিত হামাস-হিজবুল্লাহই কেবল অপরাধী? নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পিএলওকে তো পশ্চিমা বিশ্ব কাজ করতেই দিল না। হামাসের হামলার প্রত্যুত্তরে ইসরাইলের বাহিনী অধিকৃত ফিলিস্তিনে নিরস্ত্র মানুষের ওপর যে নির্বিচার নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে তা মানবাধিকারের মাপকাঠিতে কতটুকু ধরা পড়ে? মানবাধিকারের প্রথম কথা হচ্ছে বেঁচে থাকার অধিকার। অধিকৃত ফিলিস্তিনে বেঁচে থাকার অধিকার কতটুকু? মার খেতে খেতে একটু রুখে দাঁড়ালে তা হয় ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘হঠকারিতা’। আর ইসরাইল সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতে বোমা ফেললে তা হয় ‘আত্মরক্ষার অধিকার’। পশ্চিমা বিশ্বের মোড়লরা এই নীতি নিয়েই সাত দশক চলছেন। হামাসের একদিনের হামলার পরেই এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘আত্মরক্ষার জন্য’ ইসরাইলকে আরও অস্ত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন। ফিলিস্তিনের দিকে তাকিয়ে বলতে হয়, বাংলাদেশ বা দেশবিশেষের মানবাধিকার পরিস্থিতির বার্ষিক রিপোর্ট নয়, বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি সাধারণ রিপোর্ট দরকার।
২.
এবারের এই সংঘাতের জন্য অনেক বিশ্লেষক ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ব্যর্থতাকেই দুষছেন। কিন্তু এমন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারকারী গোয়েন্দা সংস্থা কীভাবে ব্যর্থ হলো, তার জবাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশ্য ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজের কলাম লেখক জিডিওন লেভি মনে করেন, “এই ব্যর্থতার একটা কারণ হতে পারে, ইসরায়েল বরাবরই নিজেকে বেশি শক্তিশালী মনে করে এসেছে। তারা ধরেই নিয়েছে, অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম ব্যবহারকারী ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিশ্বের সেরা। কোটি কোটি ডলার খরচ করে ইসরায়েল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েই ভেবেছে, তারা নিরাপদ। আরেকটি কারণ অবশ্যই সরকারের নীতি। পশ্চিম তীরে ক্রমাগত তারা বসতি স্থাপন করে চলেছে। ফলে সামরিক বাহিনীর সিংহভাগ মনোযোগ সেখানেই। এই সুযোগে দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত অনেকটা অরক্ষিত। আর সেই সুযোগই নিয়েছে হামাস।”
কিছুদিন আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘে দেওয়া দাম্ভিক এক ভাষণে বলেছেন, নতুন এক মধ্যপ্রাচ্যের উদয় ঘটতে চলেছে, যার কেন্দ্রে থাকবে ইসরায়েল এবং আরব অংশীদারেরা। সেই ভাষণে তিনি একবারের জন্যও ফিলিস্তিনিদের নাম উচ্চারণ করেননি। তার কাল্পনিক সেই নতুন মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রেও নেই তারা। সেই ফিলিস্তিনিরাই এখন তাকে বাকরুদ্ধ করেছে, রাজনৈতিক ও কৌশলগত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।
হামাসের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। প্রথমত, তারা ইসরায়েলের দখলদারি, দমন-পীড়ন, অবৈধ বসতি স্থাপন এবং জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে অবমাননার শাস্তি দিতে চায়, প্রতিশোধ নিতে চায়। দ্বিতীয়ত, তারা আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। হামাসের সবশেষ চাওয়া হতে পারে, বন্দিবিনিময়ের মাধ্যমে ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি রাজনীতিকদের মুক্ত করা।
ইসরায়েল যে এবারই প্রথম অপ্রস্তুত হয়েছে, তা কিন্তু নয়। যদিও দেশটির নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের অপ্রতিরোধ্য ভেবে আসছেন। দিনে দিনে তাদের দম্ভোক্তিও বেড়েছে। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে আকস্মিক আরব হামলার পর থেকেই ইসরায়েল বারবার তাদের হাতে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়েছে। ১৯৮২ সালে লেবাননে অভিযানের সময় আচমকা প্রতিরোধে তারা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিল। আশির দশক ও একুশ শতকের প্রথম দশকে একের পর এক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ তাদের অপ্রস্তুত করেছে।
হামাসের এই হামলা নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে নেবেন, তা অনুমেয়ই ছিল। আর সেই ব্যক্তিগত ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে যে তিনি অতিপ্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তা-ও জানা ছিল। তার সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর প্রভাব পড়বে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আঞ্চলিক অংশীদারদের মধ্যেও। তারা প্রতিমুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। কাজেই বিভাজন তৈরি হতেই পারে। ভবিষ্যতে যা-ই ঘটুক, নেতানিয়াহুর এই ব্যর্থতা এরই মধ্যে তার অর্জনকে ছাপিয়ে গেছে। এমনকি তিনি হয়তো ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাসকেও ব্যর্থতার চোরাগলিতে টেনে নিয়ে যাবেন। কারণ, মাহমুদ আব্বাসও রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত। তিনি ভারসাম্য রাখার নামে ইসরায়েলি দখলদারির নিন্দা জানিয়ে যাচ্ছেন আর তাদের সঙ্গেই নিরাপত্তা সমন্বয় করছেন।
তবে বিষয়টি দুটি জাতির বিষয়। ফিলিস্তিনিরা শনিবার পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারা নতজানু হয়ে মরতে চায় না, স্বাধীনতা আর ন্যায়বিচারের জন্য লড়তে চায়। কাজেই ইসরায়েলের উচিত হবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
৩.
হামাস-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা অনেক দেশ। অপরদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত ও লেবাননসহ বেশ কিছু আরব দেশ।
তবে এই সংঘাতের অবসানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলাদা দুই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছে চীন। রোববার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের বর্তমান উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার, সংযম চর্চার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় এবং পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সে জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
চীনা কর্মকর্তা বলেন, “সংঘাতের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে যে, শান্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা চলতে পারে না। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে, অর্থাৎ ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার মূল উপায়।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে আলোচনা বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। চীন সেই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে চীনের এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেলআবিব। বেইজিংয়ে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউভাল ওয়াকস বলেছেন, ইসরায়েল চীনের কাছ থেকে হামাসের হামলার বিষয়ে ‘কঠোর নিন্দা’ দেখতে পাওয়ার আশা করেছিল। কারণ তারা চীনকে ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে দেখে। এখন দেখার বিষয়, ইসরায়েল সংযত হয় কিনা এবং বিশ্ব মোড়লরা শান্তি, নাকি সংঘাত জিইয়ে রাখতে চায়?