ট্রাম্প নির্বাচিত হলেই বেশি খুশি হবেন আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রাম্প যদি মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈরিতা শুরু করেন, হাসিনা অবশ্যই তার সুযোগ নেবেন।
Published : 28 Oct 2024, 08:44 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি প্রচারণা শেষপ্রান্তে। নির্বাচন হবে ৫ নভেম্বর। ডনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস এখন বাছাই করা রণক্ষেত্রের অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচারণা চালাচ্ছেন, যদি আরও কিছু ভোটারের মন জয় করা যায়। নির্বাচনকর্মীরা এখন নিজ দলের ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে নিতে ফোন করতে ব্যস্ত। জনমত যাচাই সংস্থাগুলো ভোটারদের মনের মতিগতি শেষবারের মতো যাচাই করছেন, কোথায় কী পরিবর্তন হলো। নির্বাচন বিশ্লেষকরা খুঁজছেন, নির্বাচনের সুপ্ত সূত্রগুলো যা ভোটাররা মুখে প্রকাশ করেন না। এর মধ্যে আছে নারী বিদ্বেষ, অনেক ঘাওরা (রেড নেক) ডেমোক্র্যাট পুরুষ ভোটার কমলাকে ভোট দেবে না। অনেক রিপাবলিকান ভোটার ট্রাম্পের মাস্তানিতে দারুণ বিরক্ত, তারা এখন ভেতরে ভিতরে ট্রাম্পবিরোধী। জর্জ বুশের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ইরাক যুদ্ধের স্থপতি ডিক চেনি প্রকাশ্যে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন।
ডনাল্ড ট্রাম্পের যত উদ্ভট কথাবার্তা
আমি গত ৮টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণা দেখেছি। এবারের নির্বাচনের মতো এত বাজে কথাবার্তা আগের কোনো নির্বাচনে শুনিনি, এমনকি ট্রাম্পের মুখে ২০১৬ সালের নির্বাচনেও শোনা যায়নি এমনটা। এখানে ট্রাম্পের কথার কিছ নমুনা দিচ্ছি:
— “আমি কমলার চেয়ে দেখতে অনেক সুন্দর।”
— “কমলা হলো মার্ক্সিস্ট কমিউনিস্ট, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। সে প্রেসিডেন্ট হলে ২০২৪ সালের নির্বাচনই হবে আমেরিকার শেষ নির্বাচন।”
— “মিথ্যাবাদী কমলা হ্যারিস মানসিক প্রতিবন্ধী। আমার মানে হয় জন্ম থেকেই সে প্রতিবন্ধী। মনে হয় তার (অঙ্গ-প্রতঙ্গে) কিছু ঘাটতি আছে, আমি ঠিক জানি না সেটা কি। আপনারাই ধরে নিন।”
— “বড্ডো মজার ব্যাপার হলো হিলারি ও কমলা তাদের স্বামীদের (পুরুষাঙ্গ নিয়ে) কুকাজ দ্বারা প্রভাবিত।”
— “আমার দরকার হিটলারের মতো জেনারেল। ভালো কথা, হিটলার কিছু ভালো কাজও করেছিলেন।”
— “কমলা হলো আলসের হদ্দ। সে কি বেশি মদ খায়? সে কি ড্রাগে বুদ্ হয়ে থাকে?”
— “কমলা শুধু আজেবাজে কথা বলে। ...”
অভিবাসীরা আমেরিকানদের কুকুর-বিড়াল সব খেয়ে ফেলছে
ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার একটা মূলমন্ত্র হলো অভিবাসী বিশেষভাবে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নাগরিকদেরকে খেপিয়ে ভোট আদায় করা। ট্রাম্পের অভিযোগ এরা মার্কিন সমাজে খুনখারাপি ও ধর্ষণযজ্ঞ চালাচ্ছে; এবং অল্প পয়সায় কাজ করে দেশের নাগরিকদের বেকার করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট সংখ্যক মানুষ ট্রাম্পের সঙ্গে একমত হয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে প্রাণসঞ্চার করছে। অভিবাসীদের দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্পের দাদাও এখানে এসেছিলেন জার্মানি থেকে। এখন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পীয়দের অভিবাসী বিরোধিতা তুঙ্গে।
ওহাইও-এর একটা ছোট্ট শহর স্প্রিংফিল্ডে হাইতি থেকে আগত কঠোর পরিশ্রমী কিছু শ্রমজীবী মানুষ বাস করেন। সম্প্রতি ট্রাম্প দাবি করেছেন, সেখানকার লোকদের সব কুকুর-বিড়াল হাইতিয়ানেরা খেয়ে ফেলছে। স্প্রিংফিল্ডের রিপাবলিকান মেয়র বলেছেন ট্রাম্পের এই দাবি মিথ্যা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ট্রাম্প অনবরত বলেই যাচ্ছেন একই কথা।
নির্বাচনি সভায় ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা
আমি মাঝে মাঝে টিভিতে নির্বাচনি প্রচারণা দেখি, বেশিরভাগই ট্রাম্পের। কারণ প্রতিটি সভায় তিনি এত অদ্ভুত ও উদ্ভট কথা বলেন যা নিজের কানে না শুনলে বিশ্বাস করা যায় না। এ বছরের জুলাইয়ের ১৩ তারিখ। সন্ধ্যার সময় ট্রাম্পের নির্বাচনি বক্তৃতা শুনতে বসলাম টিভির সামনে। উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছি, আজকে না জানি ট্রাম্প আরও উদ্ভট কী বলে!
পেনসিলভেনিয়ার বুটলের ফার্মের খোলা মাঠে সন্ধ্যায় ৬টার দিকে ট্রাম্প মঞ্চে উঠেছেন। চারিদিকে ট্রাম্পের উৎফুল্ল সমর্থকরা। ট্রাম্পও তার স্বভাবমতো হাত-মুখ নেড়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করার পর বক্তৃতা শুরু করেছেন। হঠাৎ টিভির পর্দা কেঁপে উঠল, শোনা গেল গুলির শব্দ। দেখলাম ট্রাম্প সামনের উঁচু টেবিলটার (লেকট্রন) পেছনে পড়ে গেলেন বা বসে গেলেন। তার চারপাশের সিক্রেট সার্ভিসের সিকিউরিটি লোকেরা ঘেরাও করে বসে গেল, অনেকক্ষণ কোনো সাড়াশব্দ নেই।
জনগণ সব হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যে জানানো হলো আক্রমণকারীকে স্নাইপার পুলিশ দুটো গুলি করে মেরে ফেলেছে। আক্রমণকারী পাশের একটা একতলা ঘরের চালার ওপর দাঁড়িয়ে গুলি করছিল। দশ মিনিট পর ট্রাম্পকে দেখা গেল উঠে দাঁড়াতে। তার ডান কান হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। সৌভাগ্যক্রমে গুলি তার ডান কানের পাশ দিয়ে আঘাত করে ছিটকে গেছে। বেঁচে গেলেন ট্রাম্প। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়া হলো পরীক্ষা করার জন্য।
আরব, মুসলমান ও বাংলাদেশি ভোট
ছুটির দিনে আমাদের এক বন্ধুর বাসায় বাঙালি পার্টি, শুধু নিকট বন্ধু-বান্ধবরা আমন্ত্রিত। আমি ভালো খাবারের খোঁজে চলে এলাম তাড়াতাড়ি। খাবার টেবিলে মূল খাবার আসার আগেই, চা হাতে কথাবার্তা, হৈ চৈ বেশ জমে উঠল। পার্টিতে তুমুলভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি আলোচনা করা বাঙালি পার্টির পুরানো নিয়ম। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না— ব্যতিক্রম শুধু, আগে যারা চড়া গলায় কথা বলতেন তাদের গলা স্তিমিত, আর যারা থাকতেন চুপচাপ তারা আজ বেশ উজ্জীবিত। আজ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি আলোচনা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বাঙালিদেরকে তেমন কোনো মাথা ঘামাতে দেখেনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ভোটার বলতে গেলে নগণ্য। বেশিরভাগ বাঙালি সবসময় ডেমোক্র্যাট সমর্থক, সুতরাং নির্বাচনে কে কাকে ভোট দেবেন তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা খুব জমত না। এবার কিন্তু ভিন্ন। গাজায় ইসরায়েলিদের গণহত্যা বাংলাদেশিদেরকে দারুণভাবে আহত করেছে। বাঙালি তরুণ-তরুণীদেরকে দেখেছি অন্যান্য মুসলমান কমিউনিটির সঙ্গে একত্র হয়ে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে। বাংলাদেশি যারা ভোটার, ইসরায়েলকে সাহায্য ও সমর্থন করার কারণে তারা কমলাকে ভোট দেয়ার ব্যাপারে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত।
একই কারণে আরব ও মুসলমান ভোটাররা বিভক্ত, কাকে ভোট দেবেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসী যুদ্ধ, যেখানে তারা ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমান ও আরব নাগরিকদেরকে দারুণভাবে ক্রুদ্ধ করেছে। গাজায় যুদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে অস্ত্রশস্ত্র ও নগদ অর্থ অনুদান দিয়েছে। আরবদের অনেকেই খ্রিস্টান যারা লেবানন ও ফিলিস্তিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, তারাও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। আরব ও মুসলিম ভোটের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে মিশিগানে, যেখানে ১৫টি নির্বাচনি ভোট। এখনকার জনমতে দুজনের যে কেউ পেতে পারে ওই ভোট। যাদের ভোট মিশিগানে নির্বাচনি ফল ওলট-পালট করে দিতে পারে, ওই আরব এবং মুসলমান জনমত তিন ধারায় বিভক্ত: ১) কমলা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ পছন্দ। বাইডেনের বলয় থেকে বের হওয়ার পর তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরও মানবিক হবেন। ২) ট্রাম্প যুদ্ধ-বিগ্রহ পছন্দ করেন না। তাই তিনি এসেই যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। ফিলিস্তিনিরা একটু হাফ ছেড়ে বাঁচবে। ৩) এই দুজনের কেউ নয়। হয়ত ভোট দেবে না বা কোনো তৃতীয় পার্টির প্রার্থীকে ভোট দেবে। তবে প্রথম দলই সম্ভবত সংখ্যায় বেশি। আরব-মুসলিম ভোট ছাড়া কমলা হ্যারিস মিশিগান জয় করতে পারবেন না, আর মিশিগান ছাড়া সম্ভবত তিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হতে পারবেন না।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কে কাকে চাচ্ছেন
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসলে কারও হবে পৌষ মাস আবার কারও সর্বনাশ।
ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বন্ধুত্ব অনেক পুরোনো। ট্রাম্প এর আগে যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিডের টিকার সংকটের সময় ট্রাম্প কংগ্রেসকে না জানিয়ে চুপিচুপি পুতিনের দেশে কোভিডের টিকা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে বাইডেন ইউক্রেইনকে যুদ্ধসরঞ্জাম দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাহায্য করছেন, সেখানে ট্রাম্প ঘোর ইউক্রেইন যুদ্ধবিরোধী। সুতরাং পুতিন যে ট্রাম্প বিজয়ী হলে উৎফুল্ল হবেন, তা ধরেই নেয়া যায়।
অপরদিকে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো ট্রাম্পকে নিয়ে দারুণ শঙ্কিত। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ন্যাটো জোট বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ইউরোপীয় দেশগুলোকে রুশ-চীন কমিউনিস্ট হুমকি থেকে রক্ষা করে আসছিল। ন্যাটোর অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক কার্যবিধির সব অর্থায়ন মূলত যুক্তরাষ্ট্রই দিয়ে আসছে। ট্রাম্প প্রয়োজনবোধে ন্যাটোকে ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি চান যুক্তরাষ্ট্রের দায় কমাতে অন্যান্য দেশগুলোকে আরও বেশি চাঁদা দিতে হবে। কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলে ইউরোপীয়রা খুশি হবেন। তবে ন্যাটো দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরি ব্যতিক্রম। একনায়ক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান এককাট্টা ট্রাম্প সমর্থক।
বাইডেন ও কমলা ইসরায়েলকে গণহত্যা চালাবার জন্য নেতানিয়াহু যা চেয়েছেন তাই দিয়েছেন। কিন্তু নেতানিয়াহু চাচ্ছেন ট্রাম্পকে। ট্রাম্প একশতভাগ ফিলিস্তিনবিরোধী এবং নেতানিয়াহুর পুরোনো বন্ধু।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্ভবত তেমন মাথাব্যথা নেই। ট্রাম্প ও কমলা দুপক্ষের সঙ্গেই তার সম্পর্ক ভালো। তবে কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তাই ভারতীয়রা কমলাকে নিয়ে দারুণ গর্বিত। অপরপক্ষে সৌদি আরব ও আরব দেশগুলোর কায়দা হলো দুপক্ষকে দুভাবে সামলানো। ট্রাম্পের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার জন্য তারা মোটা অংকের ডলার রাখবেন। আর কমলাকে বাইডেনের যুদ্ধাংদেহী পলিসি চালিয়ে যাওয়ার সমর্থন যোগাবেন।
বাংলাদেশ কাকে চাইবে? ড. ইউনূসের সঙ্গে সখ্যতা বেশি ডেমোক্র্যাট নেতৃবৃন্দের। বাইডেন, হিলারি, ক্লিনটন এবং ওবামা ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত বন্ধু। যারা ডেমোক্র্যাট নেতৃবৃন্দের বন্ধু, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তাদেরকে কোণঠাসা করতে সব চেষ্টা করবেন। ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের জন্য আগেভাগে কিছু পরিকল্পনা করে রাখতে হবে।
অপরদিকে, ট্রাম্প নির্বাচিত হলেই বেশি খুশি হবেন আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রাম্প যদি ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈরিতা শুরু করেন, হাসিনা অবশ্যই তার সুযোগ নেবেন।
নির্বাচনের সর্বশেষ অবস্থা
আগেই বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের জন্য সব অঙ্গরাজ্যের দিকে তাকানোর দরকার নেই। শুধু সাতটা রণক্ষেত্রের জনমতের হিসেবে নিলেই হবে। এখন পর্যন্ত এই সাতটা অঙ্গরাজ্যের জরিপের গড় ৫০ শতাংশ দুজনেরই। সব জরিপেই প্রতিটা অঙ্গরাজ্যে হয়ত ট্রাম্প বা কমলা ২ বা ১ শতাংশে এগিয়ে।
নেট সিলভার একজন প্রখ্যাত মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ। বিভিন্ন ফ্যাক্টর যেমন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জনমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের মডেল নিয়ে কাজ করা তার পেশা ও নেশা। তিনি ২৭ অক্টোবর মন্তব্য করেছেন, “এখন যে সংখ্যা আমরা দেখছি, একমাত্র সম্মানযোগ্য উত্তর— জয়ের সম্ভবনা দুজনেরই ৫০-৫০। তবে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন তোমার অন্তর্দৃষ্টি কি বলছে? তখন আমি বলব ট্রাম্পই জয়ী হবেন। অবশ্য, আপনাকে আমার অন্তর্দৃষ্টি বিশ্বাস করতে হবে তা আমি বলছি না।” সিলভার মনে করেন, ট্রাম্পের অনেক ভোটার গ্রামগঞ্জে থাকেন, যারা আগে ভোট দিতেন না এবং জরিপকারীদের পক্ষে এদের কাছে পৌঁছানো এবং কথা বলা প্রায়ই অসম্ভব। এরা ট্রাম্পের সুপ্ত ভোটা।
সবাই যে তা সঙ্গে একমত হবেন তা নয়। ডেমোক্র্যাটরা বলবেন, হ্যারিসেরও সুপ্ত ভোট আছে, অনেক রিপাবলিকান এইবার হ্যারিসেকে ভোট দেবেন। আসলে জনমত যেখানে ৫০-৫০, সেখানে কারও পক্ষে তেমন শক্ত যুক্তি নেই। আমরাও আর যুক্তিতর্ক নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে এখানেই নির্বাচনপূর্ব আলোচনা শেষ করব এবং নির্বাচনি রাতের জন্য অপেক্ষা করব, যখন ফল ঘোষিত হবে।
আরও পড়ুন: