এখন যেভাবে কথিত মানহানির অভিযোগে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়—নতুন সাইবার আইনে তার পুনরাবৃত্তি হবে কি না বা ভিন্নমত দমনের জন্য নতুন কোনো কৌশল নেয়া হবে কি না, তা অবশ্য এখনই বলা মুশকিল।
Published : 08 Aug 2023, 11:35 AM
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় যেদিন একশবারের মতো পেছানো হলো, সেদিনই বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। দুটিই ন্যায়বিচারের ইস্যু; কো-ইনসিডেন্স!
সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করা হবে এবং সাইবার নিরাপত্তার জন্য যে নতুন আইন করা হবে, সেই আইনে ওই ধারাগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধন হবে এবং বাকি ধারাগুলো বহাল থাকবে। কিছু নতুন ধারাও সংযোজন হবে। কিন্তু সেই নতুন সংযুক্ত ধারাগুলো কেমন হবে; সেই ধারাগুলোর রাজনৈতিক প্রয়োগ হবে কি না—তাও আলোচনায় আসবে।
স্মরণ করা যেতে পারে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্কের মুখে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছিল এবং ৫৭ ধারার বিধানগুলোকে আরও বিস্তৃত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তাতে করে আইসিটি আইনের চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ আরও বেশি হয়। অতএব সমালোচনার মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধন এবং নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পরে সাইবার দুনিয়ায় নাগরিকের সুরক্ষা কতটুকু নিশ্চিত হবে আর এখন যেভাবে কথিত মানহানির অভিযোগে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়—নতুন সাইবার আইনে তার পুনরাবৃত্তি হবে কি না বা ভিন্নমত দমনের জন্য নতুন কোনো কৌশল নেয়া হবে কি না, তা এখনই বলা মুশকিল।
আইনে যা-ই বলা থাক না কেন, সেটির প্রয়োগ অথবা অপপ্রয়োগ নির্ভর করে সরকারের অভিপ্রায়ের ওপর। যেমন শুরু থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব অভিযোগে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে এই আইনের উদ্দেশ্য ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাবানদের সম্মান সুরক্ষা। ডিজিটাল আইন প্রণয়নের পর থেকে এ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকার বা ক্ষমতাবানরা অসন্তুষ্ট হয় বা বেজার হয়, এমন কোনো সংবাদ বা প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধই এই আইনের লক্ষ্য। আবার বিভিন্ন সংবাদ ও কার্টুন প্রকাশিত হওয়ার পরে এই আইনে যেরকম গণহারে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাতে অনেকে এটিকে গণমাধ্যমকর্মী নিয়ন্ত্রণ আইন বলেও অভিহিত করেছেন।
এ আইনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ফেইসবুক পোস্ট ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। সিজিএস ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ১ হাজার ২৯৫টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। তাতে উঠে এসেছে, এসব মামলার মধ্যে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৫৫ জন সাংবাদিককে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী আইনের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয়ই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার (মূলত অপব্যবহার) দেখে যে কারও মনে হতে পারে, এখানে ব্যক্তি বলতে শুধু ক্ষমতাবানরাই—যেটি সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থি।
এসব কারণে গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানবাধিকারকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টরা এ আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অনেকে আইনের সংশোধন নয়, বরং পুরোপুরি বাতিলও চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের তরফে বারবারই আশ্বস্ত করা হচ্ছিল যে, এই আইন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জন্য নয়। বাস্তবতা হলো, এই আইনে অসংখ্য মামলা হয়েছে সংবাদ প্রকাশের কারণে। অনেক সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। জেল খেটেছেন। দ্বিতীয়ত, আইনমন্ত্রী অনেকবার বলেছেন যে আইনটির প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে। কিন্তু সেটিও ঝুলেছিল দীর্ঘদিন। অবশেষে সিদ্ধান্ত এল এমন সময়ে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েন স্পষ্ট এবং এরইমধ্যে মার্কিন ভিসানীতি ক্ষমতার বলয়ে থাকা অনেকের জন্যই বিরাট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বিতর্কিত এই আইনটি সংশোধনের পেছনে অভ্যন্তরীণ নানা কারণের বাইরেও মার্কিন ভিসা নীতিও যে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে, তা বলাই বাহুল্য। আর এই সংশোধনী ডিজিটাল দুনিয়ায় নাগরিকের বাকস্বাধীনতার অধিকার কতটুকু সুরক্ষিত রাখবে এবং এটি ভিন্নমত ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জন্য ব্যবহার করা হবে কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে।
২.
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ধারা রহিত হয় এবং এই ধারাগুলোর অধীনে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা নতুন এই আইনের অধীনে নেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হয়। যদিও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার আলোকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯ ধারা তৈরি করা হয়। পার্থক্য শুধু শাস্তির পরিমাণে।
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার ভয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কিছু লিখতে গিয়ে যেমন তটস্থ থাকতেন, ধারাটি রহিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই ভয় অনেকটা কাটবে বলে মনে করা হলেও কার্যত হয়েছে উল্টো। উপরন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং পরবর্তীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও যেমন ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞা এবং ঠিক কোন কথাটি লিখলে ‘মানহানি’ বলে গণ্য হবে সেটি স্পষ্ট ছিল না বলে যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করতে পারতেন, নতুন আইনেও এই ‘ইচ্ছাকৃত অস্পষ্টতা’ থাকলে যে লাউ সেই কদু হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তায় যে নতুন আইন হবে সেটি নতুন বোতলে পুরোনো মদ অর্থাৎ কি না—সেটি এক বিরাট প্রশ্ন।
তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ইস্যুতে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো, আইনের কোন কোন ধারা বাতিল বা সংশোধন করা হবে এবং এই আইনে চলমান মামলাগুলোর কী হবে?
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, নতুন আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা উসকানির অভিযোগে সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছরের কারাদণ্ড থেকে কমিয়ে দুই বছর করা হবে। এটি আগে অজামিনযোগ্য ছিল, সেটিকে জামিনযোগ্য করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থাকা কারদণ্ডের বিধান বাতিল করে নতুন আইনে শুধু জরিমানার বিধান করা হবে। তবে মানহানির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কেউ জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করতে পারলে তখন ৩ থেকে ৬ মাসের কারদণ্ড দেওয়া যাবে। সংসদের আগামী অধিবেশনে সাইবার সিকিউরিটি আইন পাস হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ৭ আগস্ট ২০২৩)।
তবে শুরু থেকেই সরকারের তরফে যে বলা হচ্ছিলো এই আইনটি গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জন্য ব্যবহার করা হবে না, অর্থাৎ কোনো সংবাদ প্রকাশের জেরে মামলা করা যাবে না—এমন বিধান নতুন আইনে যুক্ত করা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলাগুলোর কী হবে? নিয়ম হচ্ছে নতুন আইন হলে আগের আইনে দায়ের করা মামলাগুলো কীভাবে চলবে, সেটি নতুন আইনে উল্লেখ থাকে। সুতরাং আগামী সেপ্টেম্বরে যদি সাইবার সিকিউরিটি আইন নামে নতুন আইন পাস হয় তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ে নিশ্চয় নতুন আইনে নির্দেশনা থাকবে। অর্থাৎ নতুন আইন হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাগুলো খারিজ হয়ে যাবে, সেটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
তবে দিন শেষে মোদ্দা কথা রাষ্ট্র বা সরকার আসলে কী চায়? তারা কি সত্যিই সাইবার দুনিয়ায় নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় নাকি নিজেদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সমালোচনা প্রতিহত করতে চায়? কেননা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ তথা দমনের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগও দেখা গেছে। মূলধারার গণমাধ্যম যখন রাষ্ট্রীয় নানা চাপের কারণে অনেক খবর চেপে যায় বা খণ্ডিত আকারে প্রকাশ করে, তখন ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাগরিকরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তখন প্রতিবাদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে ফেইসবুক। ফলে রাষ্ট্রযন্ত্র সব সময়ই এই বিকল্প মাধ্যমকে ‘ভয়’ পায় এবং সে কারণেই এই মাধ্যমকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। সরকার ডিজিটাল প্লাটফর্মে দেশের স্বার্থ এবং নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় নাকি তার উদ্দেশ্য ভিন্ন—সেটি বরাবরই একটি বিরাট তর্কের বিষয়।
অতএব নাম তার তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাকি সাইবার নিরাপত্তা আইন—তাতে কিছু যায় আসে না। মূল কথা আইনের উদ্দেশ্য কী এবং আইনপ্রয়োগকারীরা যাদের নির্দেশে আইনের প্রয়োগ করবেন তাদের ইনটেনশন বা নিয়ত কী। আর যারা প্রয়োগ করবেন তাদের আন্তরিকতাই বা কী? তারা নাগরিকদের হয়রানি করে পয়সা কামানোর জন্য এই আইনকে ব্যবহার করছেন নাকি সত্যি সত্যিই সাইবার দুনিয়ায় নারী-শিশুসহ দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করে একটি নিরাপদ সাইবার দুনিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে করছেন—সেটিই প্রশ্ন।
নতুন আইন প্রণয়নের পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি বিধিমালা করে আইনে বর্ণিত সংজ্ঞা ও বিধিবিধানগুলো স্পষ্ট করতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতি ও মানহানির সংজ্ঞা স্পষ্ট থাকতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি স্পষ্ট থাকতে হবে। সরকার, ক্ষমতাসীন দলের নেতা বা এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা লিখলেই কিংবা সংবাদ প্রকাশিত হলেই অতি উৎসাহীরা যাতে মামলা করতে না পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যার মানহানি হয়েছে বলে মনে হবে, তিনিই মামলা করতে পারবেন, অন্য কেউ নন, এমন বিধান থাকা জরুরি। সবচেয়ে বড় কথা, সরকার এই আইনটি কেন করছে, তার উদ্দেশ্য কী, সেটি স্পষ্ট থাকতে হবে। কেননা ডিজিটাল প্লাটফর্মে নাগরিকের সুরক্ষার কথা বলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলেও এই আইন কাদেরকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, সেটি স্পষ্ট।
মনে রাখতে হবে, অনলাইন প্লাটফর্ম কিংবা টেলিভিশন চ্যানেল অথবা যেকোনো মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা এমনকি সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য কিবা রসিকতা করাও (শালীনতা বজায় রেখে) রাজনীতির অংশ। গণতন্ত্রে এটুকু অধিকার স্বীকৃত। এসব বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিলেও কিছু যায় আসে না। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হওয়ার পর থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইস্যুতে কোনো কিছু লেখার বিষয়ে মানুষ যে ভীতসন্ত্রস্ত ও আতঙ্কিত থাকে, নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনেও এমন কোনো ধারা থাকবে কি না; সেটিও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে নাগরিকদের এরকম আতঙ্কের মধ্যে রাখবে কি না; দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে নতুন করে এমন কোনো আইন করা হবে কি না যেটি সাইবার দুনিয়ায় নাগরিককে সুরক্ষা দেয়ার বদলে তাদের বাকস্বাধীনতাকে আরও বেশি সংকুচিত করবে—তা এখনই বলা মুশকিল। কেননা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপনের ফলে কী হয়েছে, সেটি গত পাঁচ বছর ধরেই দেশবাসী দেখছে।