নতুন রকেট জিএসএলভি (এমকে-৩)এর সফল উৎক্ষেপণ করে মহাশূন্যে প্রথম মানুষ পাঠানোর পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
Published : 18 Dec 2014, 06:32 PM
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় ভারতের সবচেয়ে বড় এবং মানুষ পাঠানোর উপযোগী ওই রকেটটি।
৬৩০ টনের ত্রিস্তরীয় এই রকেটে রয়েছে পরীক্ষামূলক ক্রু মডিউল অ্যাটমসফিয়ারিক রি-এন্ট্রি এক্সপেরিমেন্ট(কেয়ার)।‘দ্য ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন’ (ইসরো) জানিয়েছে, এই কেয়ার মডেলে একসঙ্গে দুই থেকে তিনজন মহাকাশচারী থাকতে পারবে। ১৬শ’ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ রোধেও সক্ষম এ ক্যাপসুলগুলো।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে সবচেয়ে ভারী এবং অত্যাধুনিক এ রকেটটি ভারী কৃত্রিম উপগ্রহও মহাশুন্যে বয়ে নিয়ে যেতে পারবে। ভারত সম্প্রতি অনেক হালকা উপগ্রহ মহাশূন্যে পাঠালেও ভারী উপগ্রহ পাঠাতে সমস্যায় পড়েছে।
নতুন রকেটটি ৪ হাজার কেজি ওজনের কমিউনেকেশন স্যাটেলাইটও মহাকাশে বহন করতে সক্ষম। ফলে ভারতকে এখন থেকে স্যাটেলাইট মহাশূন্যে পাঠানোর জন্য বিদেশি উৎক্ষেপকের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
রকেট উৎক্ষেপণ করে ইসরোর চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণান বলেন, “আজ ভারতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রকেটের সফল উৎক্ষেপণের জন্য বিজ্ঞানীদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ক্যাপসুলটি উৎক্ষেপণের পর ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২৬ কিলোমিটার ওপরে উঠে পর ফের নামতে শুরু করে গিয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে।
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল চেয়ে আসছে ইসরো। এখন বৃহত্তম এই রকেট উৎক্ষেপণের পর তাদের এ চেষ্টা আরো গতি পাবে, বলছেন সংবাদদাতারা।